ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

কারো মৃত্যুতে যে কারণে আহাজারি করতে নিষেধ করেছেন নবীজি

মানুষের মৃত্যু অবধারিত। এটা চির অম্লান-সত্য। ফলে জীবনের সময়টুকু পার্থিব এ জীবনের মূলধন। তাই আখিরাতের কল্যাণের কাজে যদি এ জীবন ব্যয় করা হয়, তাহলে অনিঃশেষ সফলতা।

আর যদি তা বিনষ্ট করা হয় গুনাহ ও পাপাচারে— আর এ অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে সে হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘ঈমানদার ব্যক্তি গুনাহকে এমন মনে করে, যেন সে কোনো পাহাড়ের নিচে বসে আছে। আর যেকোনো মুহূর্তে পাহাড়টি তার ওপর ধসে পড়তে পারে।’ (বুখারি : ১১/৮৯)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা আন নিসা, আয়াত : ৭৮)

কারো মৃত্যু হলে তার জানাজা ও দাফন দেওয়া জীবিতদের উপর ফরজে কিফায়া। মৃতের জানাজার নামাজ ও দাফন-কাফনে অংশ নেওয়ার বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে।

সুতরাং প্রিয়জন মারা গেলে ব্যথিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করা উচিত। আর ধৈর্য ধারণ করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি চোখের পানি চলে আসে কিংবা কান্নার মৃদু মৃদু আওয়াজ বের হয়ে যায় তাহলে এটা দোষণীয় নয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘প্রিয়জন মারা গেলে যে বান্দা আমার সন্তুষ্টি অর্জনকল্পে ধৈর্য ধারণ করে তাকে আমার পক্ষ থেকে জান্নাত পুরস্কৃত করা হবে।’ (বুখারী ৬০৬০)

আরেক হাদিস হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি যার কোনো প্রিয়জনকে উঠিয়ে নিই আর সে ধৈর্য ধারণ করে এবং নেকির আশা রাখে আমি তাকে জান্নাত দিয়েই সন্তুষ্ট হব। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪০১)

হজরত ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘আপনজনের কান্নাকাটির কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

কারো মৃত্যুতে যে কারণে আহাজারি করতে নিষেধ করেছেন নবীজি

আপডেট সময় ০২:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

মানুষের মৃত্যু অবধারিত। এটা চির অম্লান-সত্য। ফলে জীবনের সময়টুকু পার্থিব এ জীবনের মূলধন। তাই আখিরাতের কল্যাণের কাজে যদি এ জীবন ব্যয় করা হয়, তাহলে অনিঃশেষ সফলতা।

আর যদি তা বিনষ্ট করা হয় গুনাহ ও পাপাচারে— আর এ অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে সে হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘ঈমানদার ব্যক্তি গুনাহকে এমন মনে করে, যেন সে কোনো পাহাড়ের নিচে বসে আছে। আর যেকোনো মুহূর্তে পাহাড়টি তার ওপর ধসে পড়তে পারে।’ (বুখারি : ১১/৮৯)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা আন নিসা, আয়াত : ৭৮)

কারো মৃত্যু হলে তার জানাজা ও দাফন দেওয়া জীবিতদের উপর ফরজে কিফায়া। মৃতের জানাজার নামাজ ও দাফন-কাফনে অংশ নেওয়ার বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে।

সুতরাং প্রিয়জন মারা গেলে ব্যথিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করা উচিত। আর ধৈর্য ধারণ করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি চোখের পানি চলে আসে কিংবা কান্নার মৃদু মৃদু আওয়াজ বের হয়ে যায় তাহলে এটা দোষণীয় নয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘প্রিয়জন মারা গেলে যে বান্দা আমার সন্তুষ্টি অর্জনকল্পে ধৈর্য ধারণ করে তাকে আমার পক্ষ থেকে জান্নাত পুরস্কৃত করা হবে।’ (বুখারী ৬০৬০)

আরেক হাদিস হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি যার কোনো প্রিয়জনকে উঠিয়ে নিই আর সে ধৈর্য ধারণ করে এবং নেকির আশা রাখে আমি তাকে জান্নাত দিয়েই সন্তুষ্ট হব। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪০১)

হজরত ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘আপনজনের কান্নাকাটির কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়।’