গত শুক্রবার ঘানাকে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে উরুগুয়ে। সেই ম্যাচের পর মাঠেই ছড়িয়ে পড়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। শেষ ষোলোতে উঠতে না পারার ‘জ্বালায়’ রেফারিকে ঘিরে ধরেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা। রেফারির কিছু সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানান তারা। তবে উরুগুয়ের ফুটবলার হোসে জিমেনেজ যে কাজ করেছেন, তার জন্য বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে তাকে।
ম্যাচের পরেই সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে জিমেনেজকে দেখা গেছে ফিফার কম্পিটিশন ডিরেক্টরকে কনুই দিয়ে আঘাত করতে। মাথার পেছনে আঘাত করেন তিনি। এখানেই থামেননি। চেঁচিয়ে রেফারিদের প্রকাশ্যে ‘চোর’ বলে সম্বোধনও করেন। এটাও বলে দেন, তার কথা রেকর্ড করে রাখতে। অকথ্য ভাষায় আরও অনেক কিছু বলেছেন তিনি।
তার এমন কাণ্ড খুবই কড়া নজরে দেখছে ফিফা। যে কারণে ১৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। ফলে প্রায় এক বছর দেশের হয়ে হয়তো খেলা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন জিমেনেজ। কনুই দিয়ে আঘাত করাকে গুরুতর অপরাধ হিসাবেই বিবেচনা করে ফিফা। ফলে শাস্তির পরিমাণও বেশি হতে পারে।
উরুগুয়ে-ঘানা ম্যাচে রেফারি ছিলেন জার্মানির ড্যানিয়েল সিবার্ট। শেষ কয়েক মিনিট বার বার তার ওপর চাপ দিচ্ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা। কিন্তু তাতে কোনো ফল আসেনি। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে সিবার্টকে ঘিরে ধরেন কাভানিরা। মাঠ ছেড়ে তখন টানেলের দিকে এগোচ্ছিলেন সিবার্ট। কিন্তু উরুগুয়ের ফুটবলাররা তাকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। সেই সময়েই আঘাত করেন জিমেনেজ। রেফারিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা। বাকি সময়টা সিবার্টকে ঘিরে ছিলেন তারা। সাজঘর পর্যন্ত সেভাবেই রেফারিকে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা।
ঘানাকে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে উরুগুয়ে। দু’বারের ট্রফি জয়ী দল হেরে গিয়েছে গ্রুপের অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া পর্তুগালকে হারিয়ে দেওয়ায়।