ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন : জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন। তিনি বলেন, সরকার নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে স্বাভাবিক নির্বাচন চায় না। সরকার ও তাদের কিছু মিত্র ছাড়া আর সব দলই নির্বাচনে ইভিএম চায় না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএম-এ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে সব দল চাইলে ব্যালটে নির্বাচন হবে। আসলে নির্বাচন কমিশনের বলা উচিত ছিলো সবাই চাইলে ইভিএম-এ নির্বাচন করা হবে। কারণ, ব্যালট পেপারে নির্বাচন বিদ্যমান এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে নির্বাচন কমিশনের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, উদ্দেশ্য ভালো না হলে কোনো কিছুই ভালো হবে না। নির্বাচন কমিশনের সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে।

দেশের মানুষ ভালো নেই দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যায় সীমাহীন কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। আমাদের দেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো উচিত। আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলো যেনো কমানো হয় সেজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

মহামারি করোনা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বেতন কমানো হয়েছে। এমন বাস্তবতায় প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ হিমশিম অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটে অনেক দেশই সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণমুখী অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করে মানুষের সেবা করেছে বলে উল্লেখ করেছেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট দূর করতে অনেকভাবেই সাহায্য করেছে বিভিন্ন দেশের সরকার। কিন্তু এমন বাস্তবতায় মানুষের কল্যাণে আমাদের সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।

তিনি আরও বলেন, বাজেটে যেটুকু বরাদ্দ দেওয়া হয় তাও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না। মানুষ বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হলে মেগা প্রকল্প বন্ধ রাখা উচিত। রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারি দল এখন এক করে ফেলা হয়েছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমরা সরকারের সমালোচনা করবো, এটা আমাদের কর্তব্য। তাই সরকারের সমালোচনা করলে, রাষ্ট্রবিরোধী মনে করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বিরোধী মামলা দেওয়া হয়।

নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য না হলে সংঘাত আরও বাড়বে বলে দাবি করে তিনি বলেন, কারণ আগামী নির্বাচন হবে অস্তিত্বের লড়াই। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন একটি জায়গায় নেওয়া হয়েছে, সবাই প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে করছে। সবাই মনে করছে পরাজিত হলে তাকে হত্যা করা হবে, যে পরাজিত হবে সে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আসলে এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা চাই না।

জাতীয় মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট পরিষদের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বাবুর সভাতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন : জিএম কাদের

আপডেট সময় ০৬:১৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন। তিনি বলেন, সরকার নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে স্বাভাবিক নির্বাচন চায় না। সরকার ও তাদের কিছু মিত্র ছাড়া আর সব দলই নির্বাচনে ইভিএম চায় না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএম-এ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে সব দল চাইলে ব্যালটে নির্বাচন হবে। আসলে নির্বাচন কমিশনের বলা উচিত ছিলো সবাই চাইলে ইভিএম-এ নির্বাচন করা হবে। কারণ, ব্যালট পেপারে নির্বাচন বিদ্যমান এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে নির্বাচন কমিশনের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, উদ্দেশ্য ভালো না হলে কোনো কিছুই ভালো হবে না। নির্বাচন কমিশনের সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে।

দেশের মানুষ ভালো নেই দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যায় সীমাহীন কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। আমাদের দেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমানো উচিত। আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলো যেনো কমানো হয় সেজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

মহামারি করোনা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বেতন কমানো হয়েছে। এমন বাস্তবতায় প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ হিমশিম অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটে অনেক দেশই সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণমুখী অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করে মানুষের সেবা করেছে বলে উল্লেখ করেছেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট দূর করতে অনেকভাবেই সাহায্য করেছে বিভিন্ন দেশের সরকার। কিন্তু এমন বাস্তবতায় মানুষের কল্যাণে আমাদের সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।

তিনি আরও বলেন, বাজেটে যেটুকু বরাদ্দ দেওয়া হয় তাও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না। মানুষ বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হলে মেগা প্রকল্প বন্ধ রাখা উচিত। রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারি দল এখন এক করে ফেলা হয়েছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে আমরা সরকারের সমালোচনা করবো, এটা আমাদের কর্তব্য। তাই সরকারের সমালোচনা করলে, রাষ্ট্রবিরোধী মনে করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বিরোধী মামলা দেওয়া হয়।

নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য না হলে সংঘাত আরও বাড়বে বলে দাবি করে তিনি বলেন, কারণ আগামী নির্বাচন হবে অস্তিত্বের লড়াই। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন একটি জায়গায় নেওয়া হয়েছে, সবাই প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে করছে। সবাই মনে করছে পরাজিত হলে তাকে হত্যা করা হবে, যে পরাজিত হবে সে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আসলে এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা চাই না।

জাতীয় মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট পরিষদের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বাবুর সভাতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।