ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে ভোলায় শীতার্তদের মাঝে কোস্টগার্ডের শীতবস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে মাদক সহ কারবারীকে আটক গোয়াইনঘাটের পিরিজপুর সোনারহাট রাস্তা ওয়ার্ক ওয়ার্ডার না হওয়ায় কাজ হচ্ছেনা চরম জনদূর্ভোগ: ইসহাক চৌধুরী আলিম ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে শীত বস্ত্র প্রদান করেন রাজশাহীতে আধুনিক প্রযুক্তি চিকিৎসা সেবায় পপুলার আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে:আমিনুল হক ফেসবুক আইডি ফিরে পেলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা মনোহরগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবসে ওয়াকাথন ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে মুক্ত আড্ডা

ভারতে জেএমবির ৩ সদস্যের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট থাকার দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। সোমবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালত জেএমবির ওই তিন সদস্যকে এই সাজা দিয়েছে।

এনআইএর একজন মুখপাত্র বলেছেন, দণ্ডপ্রাপ্ত নাজির শেখ ওরফে পাতলা আনাস, হাবিবুর রহমান শেখ এবং মোশারফ হোসাইন নামের জেমএমবির ওই তিন সদস্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল; সেই মামলায় আদালতের বিশেষ বিচারক তাদের জরিমানাও করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, সোমবার ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইন ও অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওই তিনজন।

তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুতে জেএমবির একটি আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ইলেক্ট্রনিকস যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক উপাদান, বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত কন্টেইনার এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং অপরাধমূলক হাতে লেখা নথি জব্দের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল।

এনআইএর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই কর্ণাটক পুলিশ সোলাদেভানাহালি পুলিশ স্টেশনে মামলাটি দায়ের করেছিল। পরে একই বছরের ২৯ জুলাই এএনআই পুনরায় ওই মামলা নথিভূক্ত করে।

এর আগে ২০১৮ সালে ওই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ডাকাতি সংক্রান্ত আরও চারটি মামলা দেশের বিভিন্ন জায়গায় দায়ের করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল সেসব মামলাও পুনরায় নথিভুক্ত করে এনআইএ।

ভারতের এই জাতীয় তদন্ত সংস্থা বলেছে, তদন্ত শেষ করার পর ডাকাতির সব মামলায় জেএমবির ওই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালতে বিচারের সময় এই চার মামলাকে ২০১৯ সালে দায়ের হওয়া মামলার সাথে যুক্ত করা হয়।

এনআইএয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতজুড়ে জেএমবির কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে অভিযুক্তরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডাকাতির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করতেন। পাশাপাশি জেএমবির এই সদস্যরা বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ এবং একটি রকেট লঞ্চারের পরীক্ষা চালিয়েছিল।

ডাকাতির মাধ্যমে লুট করা স্বর্ণ বিক্রি করতেন নাজির শেখ এবং অন্যরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে জেএমবির জন্য তহবিল সংগ্রহ করতেন বলে জানিয়েছেন এনআইএর ওই মুখপাত্র।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে

ভারতে জেএমবির ৩ সদস্যের ৭ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০২:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট থাকার দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। সোমবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালত জেএমবির ওই তিন সদস্যকে এই সাজা দিয়েছে।

এনআইএর একজন মুখপাত্র বলেছেন, দণ্ডপ্রাপ্ত নাজির শেখ ওরফে পাতলা আনাস, হাবিবুর রহমান শেখ এবং মোশারফ হোসাইন নামের জেমএমবির ওই তিন সদস্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল; সেই মামলায় আদালতের বিশেষ বিচারক তাদের জরিমানাও করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, সোমবার ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইন ও অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওই তিনজন।

তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুতে জেএমবির একটি আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ইলেক্ট্রনিকস যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক উপাদান, বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত কন্টেইনার এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং অপরাধমূলক হাতে লেখা নথি জব্দের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল।

এনআইএর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই কর্ণাটক পুলিশ সোলাদেভানাহালি পুলিশ স্টেশনে মামলাটি দায়ের করেছিল। পরে একই বছরের ২৯ জুলাই এএনআই পুনরায় ওই মামলা নথিভূক্ত করে।

এর আগে ২০১৮ সালে ওই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ডাকাতি সংক্রান্ত আরও চারটি মামলা দেশের বিভিন্ন জায়গায় দায়ের করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল সেসব মামলাও পুনরায় নথিভুক্ত করে এনআইএ।

ভারতের এই জাতীয় তদন্ত সংস্থা বলেছে, তদন্ত শেষ করার পর ডাকাতির সব মামলায় জেএমবির ওই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালতে বিচারের সময় এই চার মামলাকে ২০১৯ সালে দায়ের হওয়া মামলার সাথে যুক্ত করা হয়।

এনআইএয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতজুড়ে জেএমবির কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে অভিযুক্তরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডাকাতির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করতেন। পাশাপাশি জেএমবির এই সদস্যরা বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ এবং একটি রকেট লঞ্চারের পরীক্ষা চালিয়েছিল।

ডাকাতির মাধ্যমে লুট করা স্বর্ণ বিক্রি করতেন নাজির শেখ এবং অন্যরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে জেএমবির জন্য তহবিল সংগ্রহ করতেন বলে জানিয়েছেন এনআইএর ওই মুখপাত্র।