ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে বরকতলা শাহ (রা:) মাজার ভাংচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলা কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন ।

আজ রোজ শুক্রবার ৪ই এপ্রিল ২০২৫ ইং সকাল ১০ ঘটিকার সময় ৫ নং ওয়ার্ডের মরহুম সুবেদার আমির হোসেন সাহেবের বাড়ি উত্তর পাশে ।আমির হোসেন সাহেব নিজ বাড়িতে দীর্ঘ প্রায় ৩০০ বছর আগের মাজার হযরত বরকতুল্লাহ ( রা:) নামে একজন আধ্যাত্মিক অলি মাজার । সবাই এখানে আসে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন এবং এখান থেকে অনেকেই বলেছেন তিনি অত্যন্ত একজন বুজুর্গ। ব্যক্তি ছিলেন । পরহেজগার এবং আধ্যাত্মিক অলি হিসেবে সবাই চিনেন । এখান থেকে অনেক লোক এসে যেকোনো মান্নত করে সুফল পেয়েছেন। বিদায় সবাই এখানে আসেন মোমবাতি আগরবাতি এবং আল্লাহ নামে জিকির করেন। প্রতিবছর এই মাজারের নামে এখানে ওরশ মোবারক পালন করে আসছে। এই মহল্লার হঠাৎ কিছু শিক্ষিত ব্যক্তিরা এসে এই মাজারটিকে এখান থেকে রাস্তার অজুহাত দেখিয়ে সরানোর পাঁয়তারা করে। বর্তমান মরহুম সুবেদার আমির হোসেন সাহেবের তিন ছেলে মধ্যে দুই ছেলে প্রবাসী এক ছেলে বর্তমানে সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত হাসান শাহরিয়া বাবু কে রাস্তার অজুহাত দেখিয়ে মাজারটিকে ভেঙ্গে ফেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রাজিব চৌধুরী কাছে ফোন করে মাজাটি ভেঙ্গে ফেলানোর হচ্ছে জানানো হলে।
তিনি তাৎক্ষণ নবীনগর থানা ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক স্যার কে তড়িৎ গতিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
নবীনগর থানা ইনচার্জ জনাব আব্দুর রাজ্জাক সাহেব শিবপুর ফাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেব কে তড়িৎ গতিতে এসে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। শিবপুর ক্যাম্পের আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেব এসে দেখে । আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেব আসার খবর পেয়ে অনেকেই সরে গেছেন। পরে তিনি মাজারে এসে ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি তুলেন এবং মাজারটি নাম কবে থেকে মাজারটি এখনো আছে সব খবরা খবর তিনি নিয়ে কাগজে লিপিবদ্ধ করেন।
এমন অবস্থায় মহল্লার শিক্ষিত ব্যক্তিরা এসে শিবপুর ক্যাম্পের আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেবকে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শিবপুর ক্যাম্পের আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেব বলেন মাজার টি ভাঙ্গার কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন ।জবাবে সাবেক মেম্বার মোঃ জামাল সরকার বলেন আমরা কারো কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসি নাই। এই বাড়ির মালিকের ছেলের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি ।সরকারি কোন অনুমতি নিয়ে আসি নাই।এখান দিয়ে মানুষ চলাচল করবে বিদায় মাজারটিকে একটু দক্ষিণ দিকে সরানোর চেষ্টা করেছি এবং বাড়িওয়ালার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। এই রাস্তাটির নামে আইডি আছে। তিনি আরোও বলেন যদি তারা সইচ্চা রাস্তাটুকু ছেড়ে না দেয় তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব। শিবপুর ফাড়ি ক্যাম্পের আইসি বলেন সরকারি ভাবে মাজার মন্দির সহ যেকোনো ধর্মালয় প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা সরকারি ভাবে নিষেধ করা হয়েছে ।
আইসি মোঃ শাহ বলেন ভিডিও ফুটেজ করেছি ওসি স্যারকে দেখাবো । পরে তিনি কি পদক্ষেপ নিবে সেটা আমি বলতে পারব না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে বরকতলা শাহ (রা:) মাজার ভাংচুর

আপডেট সময় ০৪:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলা কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন ।

আজ রোজ শুক্রবার ৪ই এপ্রিল ২০২৫ ইং সকাল ১০ ঘটিকার সময় ৫ নং ওয়ার্ডের মরহুম সুবেদার আমির হোসেন সাহেবের বাড়ি উত্তর পাশে ।আমির হোসেন সাহেব নিজ বাড়িতে দীর্ঘ প্রায় ৩০০ বছর আগের মাজার হযরত বরকতুল্লাহ ( রা:) নামে একজন আধ্যাত্মিক অলি মাজার । সবাই এখানে আসে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন এবং এখান থেকে অনেকেই বলেছেন তিনি অত্যন্ত একজন বুজুর্গ। ব্যক্তি ছিলেন । পরহেজগার এবং আধ্যাত্মিক অলি হিসেবে সবাই চিনেন । এখান থেকে অনেক লোক এসে যেকোনো মান্নত করে সুফল পেয়েছেন। বিদায় সবাই এখানে আসেন মোমবাতি আগরবাতি এবং আল্লাহ নামে জিকির করেন। প্রতিবছর এই মাজারের নামে এখানে ওরশ মোবারক পালন করে আসছে। এই মহল্লার হঠাৎ কিছু শিক্ষিত ব্যক্তিরা এসে এই মাজারটিকে এখান থেকে রাস্তার অজুহাত দেখিয়ে সরানোর পাঁয়তারা করে। বর্তমান মরহুম সুবেদার আমির হোসেন সাহেবের তিন ছেলে মধ্যে দুই ছেলে প্রবাসী এক ছেলে বর্তমানে সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত হাসান শাহরিয়া বাবু কে রাস্তার অজুহাত দেখিয়ে মাজারটিকে ভেঙ্গে ফেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রাজিব চৌধুরী কাছে ফোন করে মাজাটি ভেঙ্গে ফেলানোর হচ্ছে জানানো হলে।
তিনি তাৎক্ষণ নবীনগর থানা ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক স্যার কে তড়িৎ গতিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
নবীনগর থানা ইনচার্জ জনাব আব্দুর রাজ্জাক সাহেব শিবপুর ফাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেব কে তড়িৎ গতিতে এসে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। শিবপুর ক্যাম্পের আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেব এসে দেখে । আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেব আসার খবর পেয়ে অনেকেই সরে গেছেন। পরে তিনি মাজারে এসে ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি তুলেন এবং মাজারটি নাম কবে থেকে মাজারটি এখনো আছে সব খবরা খবর তিনি নিয়ে কাগজে লিপিবদ্ধ করেন।
এমন অবস্থায় মহল্লার শিক্ষিত ব্যক্তিরা এসে শিবপুর ক্যাম্পের আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেবকে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শিবপুর ক্যাম্পের আইসি মোঃ শাহ আলম সাহেব বলেন মাজার টি ভাঙ্গার কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন ।জবাবে সাবেক মেম্বার মোঃ জামাল সরকার বলেন আমরা কারো কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসি নাই। এই বাড়ির মালিকের ছেলের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি ।সরকারি কোন অনুমতি নিয়ে আসি নাই।এখান দিয়ে মানুষ চলাচল করবে বিদায় মাজারটিকে একটু দক্ষিণ দিকে সরানোর চেষ্টা করেছি এবং বাড়িওয়ালার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। এই রাস্তাটির নামে আইডি আছে। তিনি আরোও বলেন যদি তারা সইচ্চা রাস্তাটুকু ছেড়ে না দেয় তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব। শিবপুর ফাড়ি ক্যাম্পের আইসি বলেন সরকারি ভাবে মাজার মন্দির সহ যেকোনো ধর্মালয় প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা সরকারি ভাবে নিষেধ করা হয়েছে ।
আইসি মোঃ শাহ বলেন ভিডিও ফুটেজ করেছি ওসি স্যারকে দেখাবো । পরে তিনি কি পদক্ষেপ নিবে সেটা আমি বলতে পারব না।