ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল শ্রীমঙ্গলে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ইসলামী আন্দোলন কাচিয়া ইউনিয়ন শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মাগুরায় বিচার চাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে প্রবাসী পরিবার ঢাকাস্থ্য মুন্সিরহাট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পাংশায় বর্ষিয়ান কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল মান্নানের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত যশোর লেবুতলা ইউনিয়নে জামায়াতের ইফতার মাহফিল নোয়াখালী বেগমগঞ্জের কাদিরপুরে বিএনপির ইফতার মাহফিল শ্রীপুর গোসিংগা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শরীয়তপুরের জাজিরা দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

লালমনিরহাটে তিস্তা নদী রক্ষায় উত্তর জনপদের মানুষ তীরবর্তী ১০ পয়েন্টে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির প্রস্তুতি

উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট জেলার বুক ঘেঁষে তিস্তা নদীতে বর্ষায় হড়কাবান, শুষ্ক মৌসুমে বালুময় খাল। এমনই এক উভয় সংকটের নাম এখন তিস্তা নদী। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বিগত সরকারের নতজানু দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কবলে পড়ে তিস্তা আজ উত্তর জনপদের দুঃখের আরেক নাম তিস্তা। এ নদী রক্ষায় তাই এবারে একাট্টা উত্তর জনপদের মানুষ। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় আর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিস্তাতীরে লাগাতার ৪৮ ঘন্টা ১৭-১৮ ই ফেব্রুয়ারি সোম ও মঙ্গলবার অবস্থান করবেন উত্তরের পাঁচ জেলার লাখ লাখ মানুষ।
খরা-বন্যায় বিপন্ন আজ তিস্তা তীরের কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা। এ নদীর আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় সহায়সম্বল হারা অগণিত মানুষের হাহাকার। তাই তিস্তা নিয়ে আর রাজনীতি নয়, আশ্বাস নয়, তিস্তা অববাহিকার মানুষজন এবার চান পানির ন্যায্য হিস্যা, চান মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন।

অতীতে তিস্তা নদীর দুঃখ ঘুচাতে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বহু সংগঠন। কিন্তু এবারের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে “তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন” নামের সংগঠন ডাক দিয়েছে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচীর। যার নেতৃত্বে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবীব দুলু। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও অরাজনৈতিক ও ন্যায্য দাবি আদায়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান তাঁর।

আগামী ১৭-১৮ ই ফেব্রুয়ারি সোম-মঙ্গলবার তিস্তার চরের ১০ টি পয়েন্টে উত্তরের পাঁচ জেলার লাখ লাখ মানুষ লাগাতার ৪৮ ঘন্টা অবস্থান করবেন। এ আয়োজনে থাকছে- তিস্তা অববাহিকার চিরায়ত সংস্কৃতি নিয়ে অনুষ্ঠান, সেমিনার, মশাল প্রজ্জ্বলন, তিস্তা কেন্দীক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। উপস্থিত থাকবেন দেশী বিদেশি নদী গবেষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। গণজমায়েতের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে তিস্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তার বার্তা দিতে চান আয়োজকেরা।

তিস্তা রক্ষায় যেমন পানির ন্যায্য হিস্যাটুকু প্রয়োজন, তেমনি এর পরিকল্পিত খননের মাধ্যমে দুই তীর রক্ষা করা আজ সময়ের দাবী। এতে শুধু তিস্তা রক্ষাই নয় গোটা উত্তর অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন করা সম্ভব।

পুনর্ভবা, আত্রাই ও করতোয়ার মিলিত তিন স্রোত বা ত্রিস্রোত তথা ত্রিস্রোতা কালক্রমে নাম ধারণ করেছে এই তিস্তা। এ নদী ভাটির প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশ বহমান। যা শুষ্ক মৌসুমে এমনই মরুময় বালুময়, বর্ষায় ভেঙে খান খান করে এর দুই তীর। তিস্তা তীরের বিপন্ন মানুষগুলোর তাই প্রশ্ন- কবে মিলবে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা, কবে হবে মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন, কবেই বা চিরতরে ঘুচবে সব হারা মানুষের দুঃখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল

লালমনিরহাটে তিস্তা নদী রক্ষায় উত্তর জনপদের মানুষ তীরবর্তী ১০ পয়েন্টে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির প্রস্তুতি

আপডেট সময় ০৩:১৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট জেলার বুক ঘেঁষে তিস্তা নদীতে বর্ষায় হড়কাবান, শুষ্ক মৌসুমে বালুময় খাল। এমনই এক উভয় সংকটের নাম এখন তিস্তা নদী। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বিগত সরকারের নতজানু দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কবলে পড়ে তিস্তা আজ উত্তর জনপদের দুঃখের আরেক নাম তিস্তা। এ নদী রক্ষায় তাই এবারে একাট্টা উত্তর জনপদের মানুষ। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় আর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিস্তাতীরে লাগাতার ৪৮ ঘন্টা ১৭-১৮ ই ফেব্রুয়ারি সোম ও মঙ্গলবার অবস্থান করবেন উত্তরের পাঁচ জেলার লাখ লাখ মানুষ।
খরা-বন্যায় বিপন্ন আজ তিস্তা তীরের কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা। এ নদীর আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় সহায়সম্বল হারা অগণিত মানুষের হাহাকার। তাই তিস্তা নিয়ে আর রাজনীতি নয়, আশ্বাস নয়, তিস্তা অববাহিকার মানুষজন এবার চান পানির ন্যায্য হিস্যা, চান মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন।

অতীতে তিস্তা নদীর দুঃখ ঘুচাতে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বহু সংগঠন। কিন্তু এবারের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে “তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন” নামের সংগঠন ডাক দিয়েছে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচীর। যার নেতৃত্বে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবীব দুলু। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও অরাজনৈতিক ও ন্যায্য দাবি আদায়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান তাঁর।

আগামী ১৭-১৮ ই ফেব্রুয়ারি সোম-মঙ্গলবার তিস্তার চরের ১০ টি পয়েন্টে উত্তরের পাঁচ জেলার লাখ লাখ মানুষ লাগাতার ৪৮ ঘন্টা অবস্থান করবেন। এ আয়োজনে থাকছে- তিস্তা অববাহিকার চিরায়ত সংস্কৃতি নিয়ে অনুষ্ঠান, সেমিনার, মশাল প্রজ্জ্বলন, তিস্তা কেন্দীক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। উপস্থিত থাকবেন দেশী বিদেশি নদী গবেষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। গণজমায়েতের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে তিস্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তার বার্তা দিতে চান আয়োজকেরা।

তিস্তা রক্ষায় যেমন পানির ন্যায্য হিস্যাটুকু প্রয়োজন, তেমনি এর পরিকল্পিত খননের মাধ্যমে দুই তীর রক্ষা করা আজ সময়ের দাবী। এতে শুধু তিস্তা রক্ষাই নয় গোটা উত্তর অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন করা সম্ভব।

পুনর্ভবা, আত্রাই ও করতোয়ার মিলিত তিন স্রোত বা ত্রিস্রোত তথা ত্রিস্রোতা কালক্রমে নাম ধারণ করেছে এই তিস্তা। এ নদী ভাটির প্রায় পুরোটাই বাংলাদেশ বহমান। যা শুষ্ক মৌসুমে এমনই মরুময় বালুময়, বর্ষায় ভেঙে খান খান করে এর দুই তীর। তিস্তা তীরের বিপন্ন মানুষগুলোর তাই প্রশ্ন- কবে মিলবে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা, কবে হবে মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন, কবেই বা চিরতরে ঘুচবে সব হারা মানুষের দুঃখ।