ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা।

রহস্যে ঘেরা সামিয়ার মৃত্যু যাত্রাবাড়ির রহস্যময় সেই হোটেল রংধনু এখনও সেখানে মৃত্যুপুরী অবস্থা সেখানে জিম্মি থাকা নারীদের দেহ ব্যবসা জড়িত করা হয়

প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির মরদেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল, যাত্রাবাড়ীর সেই রংধনু আবাসিক হোটেলটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে নারী ও শিশুদের আটকে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মি এসব নারী শিশু কথা না শুনলে চলে শারীরিক নির্যাতন। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর রংধনু আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে সামিয়া রহমানের লাশ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করেছেন সামিয়ার মামা মোহাম্মদ হাসান শাহী। পুলিশ মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত করছে।লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামান্না আক্তারী। তবে সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সামিয়া রহমান সৃষ্টির মরদেহ উদ্ধারের পরদিন সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উক্ত এই হোটেলটিতে কয়েকজন সাংবাদিক গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কর্মচারীদের আচরণ সন্দেহজনক। সাংবাদিক পরিচয় জানার পর তারা এ প্রতিবেদককে অসহযোগিতা করেন। দোতলার যে কক্ষ থেকে সামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি দেখতে চাইলে কর্মচারীরা বাধা দেন। এসময় এক ব্যক্তি ইশারা দিয়ে অন্যদেরকে বলেন এই প্রতিবেদকদের কে সরিয়ে নিতে। একপর্যায়ে প্রতিবেদককে হোটেল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।হো টেলটিতে যাতায়াত করা কয়েকজন পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, নানা ফাঁদে ফেলে নারীদের জিম্মি করা হয়ে থাকে হোটেলটিতে। একাধিক সূত্র মতে এখনও রংধনু হোটেল কর্তৃপক্ষের হাতে জিম্মি রয়েছে অন্তত ১০ জন নারী ও শিশু। তাদেরকে চাহিদা অনুযায়ী এই হোটেল ছাড়াও বিভিন্ন হোটেলে পাঠিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হয়। এসব হোটেলের মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়িতে অবস্থিত- নিউ পপুলার প্যালেস আবাসিক, নিউ বলাকা (সাবেক প্রভাতি) আবাসিক, নিউ মেঘনা আবাসিক, পদ্মা আবাসিক হোটেল, আয়শা মনি আবাসিক, গ্রীন গার্ডেন আবাসিক হোটেল, রোজ ভিউ আবাসিক হোটেল। হোটেল শাহিন আবাসিক, নাহিদ আবাসিক হোটেল, আল হায়াত আবাসিক। এছাড়া রয়েছে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের ফ্যাসিন হোটেল। এসব হোটেলের যখন যেখানে প্রয়োজন সেই অনুযায়ী নারী-শিশুদের পাঠানো হয়। নারী শিশুদের জিম্মি করার তথ্য এ প্রতিবেদকের কাছে ফাঁস হওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেলটির একটি সূত্র। রংধনু হোটেলের ভবন মালিকের নাম আল আমিন। হোটেলটি ভাড়ায় নিয়েছেন আল আমিন নামে আরেক ব্যক্তি। হোটেলটিতে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীর নাম সাজ্জাদ। তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় ‘ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত। তার আরেক সহযোগী শাহজাহান কচি, তিনি ‘মাদকের কেমিস্ট’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও তাদের সঙ্গে মিলে আবুল কালাম জয়, জাভেল হোসেন পাপন, জাবেদ হোসেন মিঠু, জামাল, পলাশ, সাইদুল ইসলামসহ অনেকে মিলে নিয়ন্ত্রণ করছেন আশপাশের অন্তত আরও চারটি হোটেল। অনৈতিক কাজে বাধ্য করার জন্য তাদের রয়েছে টর্চার সেল। সেখানে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করেন সাইদুল, জামাল, বিল্লাল, হুমায়ুন কবির ওরফে মিরাজ, মুন্না ওরফে সবুজ, সহ আরোও কয়েক জন। অভিযুক্ত সাজ্জাদকে এক নারী প্রতিবেদক একাধিকবার মুঠোফোনে হোটেলের নিচ থেকে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। পরর্বতীতে মুঠোফোনে একজন অসহায় নারী সেজে ক্ষুদেবার্তা দেওয়া হলে তিনি ফিরতি ফোন করেন এবং যাত্রাবাড়ী যেতে বলেন। পরে হোটেলের নিচে প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে ‘চিনি না’ বলে পরবর্তী কল কেটে দেন। রংধনু হোটেলে উপস্থিত শান্ত নামে একজন নিজেকে হোটেলের কর্মচারী বলে পরিচয় দেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হোটেলটিতে পরিবারের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে যে কেউ কক্ষ ভাড়া নিতে পারেন। সামিয়া রহমান সৃষ্টির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপুর ২টার পর পাঠাও মোটরসাইকেল দিয়ে তিনি হোটেলে আসেন। তাকে নিচ থেকে রিসিভ করে নেওয়া হয়। এরপর রুমে গিয়ে জায়নামাজ চান। জায়নামাজ না থাকায় পরিষ্কার বেডশিট দেওয়া হয়। এরপর ইফতারি আনার জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন সামিয়া। ইফতারি দিতে গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় সামিয়ার গলায় ফাঁস দেওয়া। তবে সামিয়া রহমানের মরদেহ খাটে বসা অবস্থায় গলায় ফাঁস নেওয়া ছিল। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি দ্রুত হোটেলে চলে যান রেজিস্ট্রার খাতা আনতে। সেখানে দেখা যায়, রংধনু হোটেলের রেজিস্ট্রারে লেখা আছে, নাম সামিয়া রহমান সৃষ্টি। পিতার নাম সোহানুর রহমান সোহান। মাতার নাম প্রিয়া রহমান। বাসার ঠিকানা উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে। বয়স ৩৩ বছর। পেশা চাকরি। আগমনের উদ্দেশ্য চিকিৎসা। আগমনের সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট করে লেখা রয়েছে, যা অন্য কোনো বর্ডারের ক্ষেত্রে লেখা নেই। রুম নম্বর ২১০। ভোটার আইডি ৪১৭১১…..৯৩ এবং ফোন নম্বর ০১৭৭……..৭৮৯। পাশে সৃষ্টির স্বাক্ষর।

সামিয়া রহমানের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামান্না আক্তারী। বাস্তবতার সঙ্গে সুরতহালের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।সু রতাহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, সামিয়া রহমানের মাথা ও কপাল স্বাভাবিক। কপালের মাঝখানে পুরোনো কাটা দাগ আছে। মুখমণ্ডল স্বাভাবিক, চোখ অর্ধখোলা। দুই ঠোঁটের মাঝখানে জিহ্বা অর্ধকামড়ানো অবস্থায়। গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ। কাঁধ স্বাভাবিক, দুই হাত লম্বালম্বি অবস্থায় হাতের আঙুল অর্ধমুষ্ঠি। বুক, পেট, পিঠ, স্বাভাবিক। কোমরে হালকা কালশিরা দাগ। দুই পা লম্বালম্বি অবস্থায় স্বাভাবিক। দুই পায়ের আঙুল স্বাভাবিক। যৌনাঙ্গ স্বাভাবিক, হালকা সিমেন (বীর্য) পরিলক্ষীত হয়। মলদ্বার স্বাভাবিক। তবে সামিয়া রহমানের মরদেহ খাটে বসা অবস্থায় গলায় ফাঁস নেওয়া ছিল। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি দ্রুত হোটেলে চলে যান রেজিস্ট্রার খাতা আনতে। সেখানে দেখা যায়, রংধনু হোটেলের রেজিস্ট্রারে লেখা আছে, নাম সামিয়া রহমান সৃষ্টি। পিতার নাম সোহানুর রহমান সোহান। মাতার নাম প্রিয়া রহমান। বাসার ঠিকানা উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে। বয়স ৩৩ বছর। পেশা চাকরি। আগমনের উদ্দেশ্য চিকিৎসা। আগমনের সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট করে লেখা রয়েছে, যা অন্য কোনো বর্ডারের ক্ষেত্রে লেখা নেই। রুম নম্বর ২১০। ভোটার আইডি ৪১৭১১…..৯৩ এবং ফোন নম্বর ০১৭৭……..৭৮৯। পাশে সৃষ্টির স্বাক্ষর।সামিয়া রহমানের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামান্না আক্তারী বাস্তবতার সঙ্গে সুরতহালের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুরতাহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, সামিয়া রহমানের মাথা ও কপাল স্বাভাবিক। কপালের মাঝখানে পুরোনো কাটা দাগ আছে। মুখমণ্ডল স্বাভাবিক, চোখ অর্ধখোলা। দুই ঠোঁটের মাঝখানে জিহ্বা অর্ধকামড়ানো অবস্থায়। গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ। কাঁধ স্বাভাবিক, দুই হাত লম্বালম্বি অবস্থায় হাতের আঙুল অর্ধমুষ্ঠি। বুক, পেট, পিঠ, স্বাভাবিক। কোমরে হালকা কালশিরা দাগ। দুই পা লম্বালম্বি অবস্থায় স্বাভাবিক। দুই পায়ের আঙুল স্বাভাবিক। যৌনাঙ্গ স্বাভাবিক, হালকা সিমেন (বীর্য) পরিলক্ষীত হয়। মলদ্বার স্বাভাবিক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে সামিয়ার লাশ দেখতে আসা তার চাচা ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় রিপোর্টারদের। তিনি চোখের নিচে কালো নীলা জখমের দাগ দেখেছেন বলে জানান। ওবায়দুর রহমান বলেন, সোহানুর রহমানের ছোট একটা ব্যাংক লোন ছিল ক্রেডিট কার্ডের। সেটা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কিছুটা কথা কাটাকাটি হয় সৃষ্টির। তবে সে মা-বাবাকে একসঙ্গে হারিয়ে শোকে ছিল। মায়ের কথাটা বেশি মনে করত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ভিসেরা রিপোর্টের জন্য মহাখালীতে ফরেনসিক ল্যাবে এবং ডিএনএ রিপোর্টের জন্য সিআইডিতে পাঠিয়েছি। এসব রিপোর্ট আসাপর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সামিয়া তার মা বাবাকে হারিয়ে হতাশায় ভুগছিল। স্বামীর সঙ্গে থাকত না। তবে হোটেলে কী কারণে গেছেন সামিয়া তা জানা যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। হোটেল রংধনু আবাসিকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কিছু তার জানা নেই। এমতাবস্থায় গত ৯/৪/২০২৪ ইং সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় হিউম্যান এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন এর অপরাধ অনুসন্ধানী প্রতিবেদক মোঃ আলমগীর (সেলিম) গোপন সূত্রে জানতে পারেন যাত্রাবাড়ির ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট এর ৪তলায় নিউ পপুলার প্যালেস আবাসিক হোটেল, ও তার উল্টো পাশে 42/2, নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল এর কক্ষে বেশ কিছু মেয়ে নারী পাচারকারী দালালদের মাধ্যমে হোটেল মালিকরা সংগ্রহ করে হোটেল গুলোর রুমে আটক করে রেখেছে। ঐ মেয়েরা হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে রাজি না হওয়ায় তাদের উপর পাশবিক, শারীরিক নির্যাতন চলছিল। উক্ত সংবাদের সত্যতা গোপন সূত্রে জানতে পারেন। ঐ মূহুর্তে মোবাইল সিম নং-01766147760 নাম্বার হতে জরুরী সেবা 999 এ সন্ধ্যা 7 টা 10 মিনিটের সময় ফোন করেন। যার 999 এ কমপ্লিন নং- CFS49450388 উক্ত কল রিসিভকারীকে নিউ পপুলার, নিউ বলাকা, আল হায়াত, শাহিন, মেঘনা, রংধনু হোটেলে আটক নারীদের তথ্য জানান এবং দুইজন মেয়ের নাম ও বলা হয় একজন সাথী অন্যজন সুফিয়া যাদের বয়স 14-16 বছর। ঐ সকল মেয়েদের উদ্ধারে 999 ফোন রিসিভকারী কর্তৃপক্ষ কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি থানার ডিউটি অফিসার এর সাথে কথা বলিয়ে দেন। ডিউটি অফিসার তাৎক্ষণিক তামান্না নামে এক পুলিশ অফিসারের নাম্বার দেন যার নাম্বার 01632563629 ডিউটি অফিসার তামান্নাকে ফোন দিতে বলেন, তখন একই নাম্বারে তামান্নাকে ফোন করা হলে তামান্না তথ্য দাতাকে হোটেলের সামনে থাকতে বলেন তিনি আসছেন। প্রায় 7 মিনিট পর তামান্না আটক মেয়েদের উদ্ধার করতে উক্ত হোটেলের রুম গুলোতে না গিয়ে তথ্য দাতাকে ফোন দিয়ে বলে আমি হোটেলে গিয়ে আটক কোন মেয়েকে খুঁজে পেলাম না। তখন তথ্য দাতা বলেন, আমি হোটেলের পাশেই দাঁড়িয়ে আছি। আপনি না এসেই কেন মিথ্যা কথা বললেন। তখন পুলিশ অফিসার তামান্না লাইনটি কেটে দেন। এর পর প্রায় রাত 9 টা 49 মিনিটের সময় 999 হতে ফোন করে জানতে চান ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে আপনি কোথায়। তখন 999 এর ফোন অপারেটরকে জানানো হয়। এখনও কোন পুলিশ আসে নি। সেখানে প্রায় 50-60 জন নারী যাত্রাবাড়ি নিউ পপুলার সহ আটক রয়েছে। যাদেরকে দিয়ে ঈদ ব্যবসা, অসামাজিক Kvh©Kjvc Kg© করানো হবে। এর পর 999 যাত্রাবাড়ি থানার আরেক পুলিশ অফিসারের মোবাইল নাম্বার এসএমএস এর মাধ্যমে পাঠান। যাহার নাম্বার 01320040516 ঐ অফিসার ও কোন আইনগত ব্যবস্থা নেননি। উল্টো পুলিশের কাছে কমপ্লিনের তথ্য হোটেল মালিক ও মানব পাচারকারী নারী ব্যবসায়ী দালাল সাজ্জাদ, জামাল, সাইদুল, পাপন, মিঠু, বিল্লাল, পলাশ, আলামিন, আবু কালাম জয়, সবুজ ওরফে মুন্না, শফিক, তারেক, ফারুক, ফরিদদের কাছে পৌছে গেছে। রাতেই আটক মেয়েদের কয়েকজনকে হোটেল গুলোতে রেখে নির্যাতনের ফলে অবস্থা শোচনীয় নারীদের হোটেল হতে পালানো গোপন পথে দালালদের বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে আটক করে রেখেছে। এ বিষয়ে হিউম্যান এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুসন্ধান কাযক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে নিউ পপুলার, নিউ বলাকা, রংধনু, মেঘনা, শাহিন, আল হায়াত, গ্রীন গার্ডেন, ডেমরা স্টাফ কোয়াটার ফ্যাসিন, আবাসিক হোটেলে বেশ কিছু মেয়েকে আটক করে অসামাজিক কাযকলাপ কর্ম চলছে কিন্তু পুলিশ জেনে ও না জানার ভান করে থাকছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী

রহস্যে ঘেরা সামিয়ার মৃত্যু যাত্রাবাড়ির রহস্যময় সেই হোটেল রংধনু এখনও সেখানে মৃত্যুপুরী অবস্থা সেখানে জিম্মি থাকা নারীদের দেহ ব্যবসা জড়িত করা হয়

আপডেট সময় ১০:০০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির মরদেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল, যাত্রাবাড়ীর সেই রংধনু আবাসিক হোটেলটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে নারী ও শিশুদের আটকে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মি এসব নারী শিশু কথা না শুনলে চলে শারীরিক নির্যাতন। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর রংধনু আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে সামিয়া রহমানের লাশ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করেছেন সামিয়ার মামা মোহাম্মদ হাসান শাহী। পুলিশ মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত করছে।লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামান্না আক্তারী। তবে সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সামিয়া রহমান সৃষ্টির মরদেহ উদ্ধারের পরদিন সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উক্ত এই হোটেলটিতে কয়েকজন সাংবাদিক গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কর্মচারীদের আচরণ সন্দেহজনক। সাংবাদিক পরিচয় জানার পর তারা এ প্রতিবেদককে অসহযোগিতা করেন। দোতলার যে কক্ষ থেকে সামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি দেখতে চাইলে কর্মচারীরা বাধা দেন। এসময় এক ব্যক্তি ইশারা দিয়ে অন্যদেরকে বলেন এই প্রতিবেদকদের কে সরিয়ে নিতে। একপর্যায়ে প্রতিবেদককে হোটেল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।হো টেলটিতে যাতায়াত করা কয়েকজন পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, নানা ফাঁদে ফেলে নারীদের জিম্মি করা হয়ে থাকে হোটেলটিতে। একাধিক সূত্র মতে এখনও রংধনু হোটেল কর্তৃপক্ষের হাতে জিম্মি রয়েছে অন্তত ১০ জন নারী ও শিশু। তাদেরকে চাহিদা অনুযায়ী এই হোটেল ছাড়াও বিভিন্ন হোটেলে পাঠিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হয়। এসব হোটেলের মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়িতে অবস্থিত- নিউ পপুলার প্যালেস আবাসিক, নিউ বলাকা (সাবেক প্রভাতি) আবাসিক, নিউ মেঘনা আবাসিক, পদ্মা আবাসিক হোটেল, আয়শা মনি আবাসিক, গ্রীন গার্ডেন আবাসিক হোটেল, রোজ ভিউ আবাসিক হোটেল। হোটেল শাহিন আবাসিক, নাহিদ আবাসিক হোটেল, আল হায়াত আবাসিক। এছাড়া রয়েছে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের ফ্যাসিন হোটেল। এসব হোটেলের যখন যেখানে প্রয়োজন সেই অনুযায়ী নারী-শিশুদের পাঠানো হয়। নারী শিশুদের জিম্মি করার তথ্য এ প্রতিবেদকের কাছে ফাঁস হওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেলটির একটি সূত্র। রংধনু হোটেলের ভবন মালিকের নাম আল আমিন। হোটেলটি ভাড়ায় নিয়েছেন আল আমিন নামে আরেক ব্যক্তি। হোটেলটিতে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীর নাম সাজ্জাদ। তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় ‘ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত। তার আরেক সহযোগী শাহজাহান কচি, তিনি ‘মাদকের কেমিস্ট’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও তাদের সঙ্গে মিলে আবুল কালাম জয়, জাভেল হোসেন পাপন, জাবেদ হোসেন মিঠু, জামাল, পলাশ, সাইদুল ইসলামসহ অনেকে মিলে নিয়ন্ত্রণ করছেন আশপাশের অন্তত আরও চারটি হোটেল। অনৈতিক কাজে বাধ্য করার জন্য তাদের রয়েছে টর্চার সেল। সেখানে মেয়েদের ওপর অত্যাচার করেন সাইদুল, জামাল, বিল্লাল, হুমায়ুন কবির ওরফে মিরাজ, মুন্না ওরফে সবুজ, সহ আরোও কয়েক জন। অভিযুক্ত সাজ্জাদকে এক নারী প্রতিবেদক একাধিকবার মুঠোফোনে হোটেলের নিচ থেকে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। পরর্বতীতে মুঠোফোনে একজন অসহায় নারী সেজে ক্ষুদেবার্তা দেওয়া হলে তিনি ফিরতি ফোন করেন এবং যাত্রাবাড়ী যেতে বলেন। পরে হোটেলের নিচে প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে ‘চিনি না’ বলে পরবর্তী কল কেটে দেন। রংধনু হোটেলে উপস্থিত শান্ত নামে একজন নিজেকে হোটেলের কর্মচারী বলে পরিচয় দেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হোটেলটিতে পরিবারের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে যে কেউ কক্ষ ভাড়া নিতে পারেন। সামিয়া রহমান সৃষ্টির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপুর ২টার পর পাঠাও মোটরসাইকেল দিয়ে তিনি হোটেলে আসেন। তাকে নিচ থেকে রিসিভ করে নেওয়া হয়। এরপর রুমে গিয়ে জায়নামাজ চান। জায়নামাজ না থাকায় পরিষ্কার বেডশিট দেওয়া হয়। এরপর ইফতারি আনার জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন সামিয়া। ইফতারি দিতে গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় সামিয়ার গলায় ফাঁস দেওয়া। তবে সামিয়া রহমানের মরদেহ খাটে বসা অবস্থায় গলায় ফাঁস নেওয়া ছিল। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তিনি দ্রুত হোটেলে চলে যান রেজিস্ট্রার খাতা আনতে। সেখানে দেখা যায়, রংধনু হোটেলের রেজিস্ট্রারে লেখা আছে, নাম সামিয়া রহমান সৃষ্টি। পিতার নাম সোহানুর রহমান সোহান। মাতার নাম প্রিয়া রহমান। বাসার ঠিকানা উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে। বয়স ৩৩ বছর। পেশা চাকরি। আগমনের উদ্দেশ্য চিকিৎসা। আগমনের সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট করে লেখা রয়েছে, যা অন্য কোনো বর্ডারের ক্ষেত্রে লেখা নেই। রুম নম্বর ২১০। ভোটার আইডি ৪১৭১১…..৯৩ এবং ফোন নম্বর ০১৭৭……..৭৮৯। পাশে সৃষ্টির স্বাক্ষর।

সামিয়া রহমানের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামান্না আক্তারী। বাস্তবতার সঙ্গে সুরতহালের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।সু রতাহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, সামিয়া রহমানের মাথা ও কপাল স্বাভাবিক। কপালের মাঝখানে পুরোনো কাটা দাগ আছে। মুখমণ্ডল স্বাভাবিক, চোখ অর্ধখোলা। দুই ঠোঁটের মাঝখানে জিহ্বা অর্ধকামড়ানো অবস্থায়। গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ। কাঁধ স্বাভাবিক, দুই হাত লম্বালম্বি অবস্থায় হাতের আঙুল অর্ধমুষ্ঠি। বুক, পেট, পিঠ, স্বাভাবিক। কোমরে হালকা কালশিরা দাগ। দুই পা লম্বালম্বি অবস্থায় স্বাভাবিক। দুই পায়ের আঙুল স্বাভাবিক। যৌনাঙ্গ স্বাভাবিক, হালকা সিমেন (বীর্য) পরিলক্ষীত হয়। মলদ্বার স্বাভাবিক। তবে সামিয়া রহমানের মরদেহ খাটে বসা অবস্থায় গলায় ফাঁস নেওয়া ছিল। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি দ্রুত হোটেলে চলে যান রেজিস্ট্রার খাতা আনতে। সেখানে দেখা যায়, রংধনু হোটেলের রেজিস্ট্রারে লেখা আছে, নাম সামিয়া রহমান সৃষ্টি। পিতার নাম সোহানুর রহমান সোহান। মাতার নাম প্রিয়া রহমান। বাসার ঠিকানা উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে। বয়স ৩৩ বছর। পেশা চাকরি। আগমনের উদ্দেশ্য চিকিৎসা। আগমনের সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট করে লেখা রয়েছে, যা অন্য কোনো বর্ডারের ক্ষেত্রে লেখা নেই। রুম নম্বর ২১০। ভোটার আইডি ৪১৭১১…..৯৩ এবং ফোন নম্বর ০১৭৭……..৭৮৯। পাশে সৃষ্টির স্বাক্ষর।সামিয়া রহমানের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামান্না আক্তারী বাস্তবতার সঙ্গে সুরতহালের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুরতাহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, সামিয়া রহমানের মাথা ও কপাল স্বাভাবিক। কপালের মাঝখানে পুরোনো কাটা দাগ আছে। মুখমণ্ডল স্বাভাবিক, চোখ অর্ধখোলা। দুই ঠোঁটের মাঝখানে জিহ্বা অর্ধকামড়ানো অবস্থায়। গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ। কাঁধ স্বাভাবিক, দুই হাত লম্বালম্বি অবস্থায় হাতের আঙুল অর্ধমুষ্ঠি। বুক, পেট, পিঠ, স্বাভাবিক। কোমরে হালকা কালশিরা দাগ। দুই পা লম্বালম্বি অবস্থায় স্বাভাবিক। দুই পায়ের আঙুল স্বাভাবিক। যৌনাঙ্গ স্বাভাবিক, হালকা সিমেন (বীর্য) পরিলক্ষীত হয়। মলদ্বার স্বাভাবিক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে সামিয়ার লাশ দেখতে আসা তার চাচা ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় রিপোর্টারদের। তিনি চোখের নিচে কালো নীলা জখমের দাগ দেখেছেন বলে জানান। ওবায়দুর রহমান বলেন, সোহানুর রহমানের ছোট একটা ব্যাংক লোন ছিল ক্রেডিট কার্ডের। সেটা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কিছুটা কথা কাটাকাটি হয় সৃষ্টির। তবে সে মা-বাবাকে একসঙ্গে হারিয়ে শোকে ছিল। মায়ের কথাটা বেশি মনে করত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ভিসেরা রিপোর্টের জন্য মহাখালীতে ফরেনসিক ল্যাবে এবং ডিএনএ রিপোর্টের জন্য সিআইডিতে পাঠিয়েছি। এসব রিপোর্ট আসাপর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সামিয়া তার মা বাবাকে হারিয়ে হতাশায় ভুগছিল। স্বামীর সঙ্গে থাকত না। তবে হোটেলে কী কারণে গেছেন সামিয়া তা জানা যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। হোটেল রংধনু আবাসিকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কিছু তার জানা নেই। এমতাবস্থায় গত ৯/৪/২০২৪ ইং সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় হিউম্যান এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন এর অপরাধ অনুসন্ধানী প্রতিবেদক মোঃ আলমগীর (সেলিম) গোপন সূত্রে জানতে পারেন যাত্রাবাড়ির ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট এর ৪তলায় নিউ পপুলার প্যালেস আবাসিক হোটেল, ও তার উল্টো পাশে 42/2, নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল এর কক্ষে বেশ কিছু মেয়ে নারী পাচারকারী দালালদের মাধ্যমে হোটেল মালিকরা সংগ্রহ করে হোটেল গুলোর রুমে আটক করে রেখেছে। ঐ মেয়েরা হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপে রাজি না হওয়ায় তাদের উপর পাশবিক, শারীরিক নির্যাতন চলছিল। উক্ত সংবাদের সত্যতা গোপন সূত্রে জানতে পারেন। ঐ মূহুর্তে মোবাইল সিম নং-01766147760 নাম্বার হতে জরুরী সেবা 999 এ সন্ধ্যা 7 টা 10 মিনিটের সময় ফোন করেন। যার 999 এ কমপ্লিন নং- CFS49450388 উক্ত কল রিসিভকারীকে নিউ পপুলার, নিউ বলাকা, আল হায়াত, শাহিন, মেঘনা, রংধনু হোটেলে আটক নারীদের তথ্য জানান এবং দুইজন মেয়ের নাম ও বলা হয় একজন সাথী অন্যজন সুফিয়া যাদের বয়স 14-16 বছর। ঐ সকল মেয়েদের উদ্ধারে 999 ফোন রিসিভকারী কর্তৃপক্ষ কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি থানার ডিউটি অফিসার এর সাথে কথা বলিয়ে দেন। ডিউটি অফিসার তাৎক্ষণিক তামান্না নামে এক পুলিশ অফিসারের নাম্বার দেন যার নাম্বার 01632563629 ডিউটি অফিসার তামান্নাকে ফোন দিতে বলেন, তখন একই নাম্বারে তামান্নাকে ফোন করা হলে তামান্না তথ্য দাতাকে হোটেলের সামনে থাকতে বলেন তিনি আসছেন। প্রায় 7 মিনিট পর তামান্না আটক মেয়েদের উদ্ধার করতে উক্ত হোটেলের রুম গুলোতে না গিয়ে তথ্য দাতাকে ফোন দিয়ে বলে আমি হোটেলে গিয়ে আটক কোন মেয়েকে খুঁজে পেলাম না। তখন তথ্য দাতা বলেন, আমি হোটেলের পাশেই দাঁড়িয়ে আছি। আপনি না এসেই কেন মিথ্যা কথা বললেন। তখন পুলিশ অফিসার তামান্না লাইনটি কেটে দেন। এর পর প্রায় রাত 9 টা 49 মিনিটের সময় 999 হতে ফোন করে জানতে চান ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে আপনি কোথায়। তখন 999 এর ফোন অপারেটরকে জানানো হয়। এখনও কোন পুলিশ আসে নি। সেখানে প্রায় 50-60 জন নারী যাত্রাবাড়ি নিউ পপুলার সহ আটক রয়েছে। যাদেরকে দিয়ে ঈদ ব্যবসা, অসামাজিক Kvh©Kjvc Kg© করানো হবে। এর পর 999 যাত্রাবাড়ি থানার আরেক পুলিশ অফিসারের মোবাইল নাম্বার এসএমএস এর মাধ্যমে পাঠান। যাহার নাম্বার 01320040516 ঐ অফিসার ও কোন আইনগত ব্যবস্থা নেননি। উল্টো পুলিশের কাছে কমপ্লিনের তথ্য হোটেল মালিক ও মানব পাচারকারী নারী ব্যবসায়ী দালাল সাজ্জাদ, জামাল, সাইদুল, পাপন, মিঠু, বিল্লাল, পলাশ, আলামিন, আবু কালাম জয়, সবুজ ওরফে মুন্না, শফিক, তারেক, ফারুক, ফরিদদের কাছে পৌছে গেছে। রাতেই আটক মেয়েদের কয়েকজনকে হোটেল গুলোতে রেখে নির্যাতনের ফলে অবস্থা শোচনীয় নারীদের হোটেল হতে পালানো গোপন পথে দালালদের বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে আটক করে রেখেছে। এ বিষয়ে হিউম্যান এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুসন্ধান কাযক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে নিউ পপুলার, নিউ বলাকা, রংধনু, মেঘনা, শাহিন, আল হায়াত, গ্রীন গার্ডেন, ডেমরা স্টাফ কোয়াটার ফ্যাসিন, আবাসিক হোটেলে বেশ কিছু মেয়েকে আটক করে অসামাজিক কাযকলাপ কর্ম চলছে কিন্তু পুলিশ জেনে ও না জানার ভান করে থাকছে।