ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা।

রেজিষ্ট্রি অফিসের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে পদক্ষেপ, কর্মকর্তাকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা

গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনে গ্রাহকদের কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করাসহ দালাল-সিন্ডিকেটদের প্রত্যেকটি অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে সদর সাব রেজিষ্ট্রার মেহেদী হাসান।

দীর্ঘদিনের দালালী এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ায় সকল অপকর্ম এবং অবৈধভাবে অর্থ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাব রেজিষ্ট্রারকে বিভিন্নভাবে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করছে সংঘবদ্ধ চক্রটি।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব রেজিষ্ট্রার মো. মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস একসময় নানা অনিয়ম-দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত হয়েছিল। তবে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ওই সকল সিন্ডিকেট ও দালালদের নিমূর্ল করাসহ দফতরে সকল ধরণের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

মেহেদি হাসানের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো হলো: দীর্ঘদিন যাবত দলিল সম্পাদনে দলিল লেখক সমিতির নাম করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করা,
সাব রেজিষ্টারের স্বাক্ষর জাল করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাবেদা নকল সরবরাহের দায়ে দালালের বিরুদ্ধে মামলা, ২০২৩ এর পূর্বের সাব রেজিষ্ট্রারদের সময়কালে পেঅর্ডার/দলিল জমা না করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা উদঘাটন, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধে ২০০২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বালামভুক্ত না হওয়া প্রায় দুইই শতাধিক দলিল চলমান সময়ে বালামভুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা, সেবা প্রত্যাশি ও জনভোগান্তি কমাতে ১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী সময়ের প্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম সূচিবহি সমুহের পূনর্নকলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি ও আর্থিক আবেদন করা, এবং অত্র সাব রেজিষ্ট্রি অফিসকে দালাল ও সিন্ডিকেট মুক্ত করতে সরাসরি সংশ্লিষ্টদের মৌখিক এবং নোটিশের মাধ্যমে সকলকে সতর্ক করে নোটিশ দফতরের বিভিন্ন অবকাঠামোতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়ছে, সিন্ডিকেট-দালালদের দৌরাত্মে বাধা দেওয়ার বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনিয়মের প্রত্যেকটি স্থানে বাধা দেওয়ায় তারাও (দালাল-সিন্ডিকেট) মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাভাবে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের প্রচেষ্টা মোতাবেক সম্প্রতি “ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী” শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট ভার্ষণে” শুধু ঘুষ দিলেই কাজ করেন, না দিলে করেন নানা টালবাহানা।” শিরোনামে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। নিউজে সরাসরি মেহেদী হাসানকে ইনটেনশনালি এ্যাটাক করা হয়েছে উল্লেখ করে যা অত্যন্ত মানহানিকর দাবি করা হয়।

সংবাদের ব্যাখা করে বিজ্ঞপ্তিতে মেহেদি হাসান উল্লেখ করেন,
উল্লেখিত সংবাদে বলা হয়েছে আমি (মেহেদী হাসান) ঘুষ ছাড়া কোনও কাজই করিনা। যা সম্পূর্ণ মনগড়া। কেননা আমি কার কাছ থেকে, কবে, কেন এবং কত টাকা নিয়েছি? কে আমাকে কেন কত টাকা দিয়েছে? সে সম্পর্কে সংবাদে কিছুই উল্লেখ করতে পারেনি প্রতিবেদক। এছাড়া সংবাদটির এক অংশে যে দুইজন দলিল লেখকের বরাতে অভিযোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে তারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লেখক নন, তারা দালাল। এছাড়া সংবাদে যে দুজন সেবা গ্রহীতার অভিযোগের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তারা গতানুগতিকভাবে ঢালাও অভিযোগ করেছেন। কারো নাম কিংবা মেহেদি হাসানের নামে নির্দিষ্ট করে কেনো অভিযোগ করেন নি।

বিজ্ঞপ্তির শেষ অংশে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের অপেশাদারমূলক আচরণ এবং তার প্রশ্নের ধরণ কর্মকর্তাকে হতাশ করেছে জানিয়ে ওই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমে যার অভিযোগ এবং প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয়।

পদক্ষেপের বিষয়ে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রবীন দলিল লেখক মহসিন আলী সরকার, আবুল হোসেন, আমিনুল ইসলামসহ আরো একাধিক দলিল লেখক বলেন, মেহেদী স্যার আসার পর থেকে আমরা অনেক শান্তিতে আছি। আমাদের ওপর এখন কোন জোর-জবরদস্তি নাই। জুলুম নাই। এরআগেও অনেক অফিসার গেছেন কিন্তু এইবার এই স্যারের নানা পদক্ষেপের কারণে ধীরে ধীরে দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন দেশের ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সাথে সাথে আমি অনেকট চ্যালেঞ্জ নিয়েই এই অফিসের দালাল-সিন্ডিকেট, অনিয়ম বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি। ফলে দীর্ঘদিন যাবত যারা অন্যায়ভাবে সুবিধা নিয়েছিলো তারা আমাকে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করছে। এসময় তিনি সত্য তথ্য সাপেক্ষে প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধেও সংবাদ প্রকাশের কথা জানান। এছাড়া অত্র অফিসের দূর্নীতি ও দালালের দৌরাত্ম বন্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাব রেজিষ্ট্রার মেহেদী হাসানের এসব পদক্ষেপের বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা রেজিষ্ট্রার জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি যেসব সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। মেহেদী হাসান দীর্ঘদিনের একটি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছেন। যার ফলে বর্তমানে মানুষ হয়রানির স্বীকার হচ্ছেনা এবং কোথাও অতিরিক্ত অর্থও দেওয়া লাগছেনা। এসময় তিনি আরও বলেন শুধু আমি না আমার পূর্বেরও যেকোনো অফিসার তার সম্পর্কে ভালো বলতে হবে। তিনি এখানে অনেক অসঙ্গতি দূর করেছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী

রেজিষ্ট্রি অফিসের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে পদক্ষেপ, কর্মকর্তাকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনে গ্রাহকদের কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করাসহ দালাল-সিন্ডিকেটদের প্রত্যেকটি অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে সদর সাব রেজিষ্ট্রার মেহেদী হাসান।

দীর্ঘদিনের দালালী এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ায় সকল অপকর্ম এবং অবৈধভাবে অর্থ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাব রেজিষ্ট্রারকে বিভিন্নভাবে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করছে সংঘবদ্ধ চক্রটি।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব রেজিষ্ট্রার মো. মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস একসময় নানা অনিয়ম-দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত হয়েছিল। তবে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ওই সকল সিন্ডিকেট ও দালালদের নিমূর্ল করাসহ দফতরে সকল ধরণের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

মেহেদি হাসানের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো হলো: দীর্ঘদিন যাবত দলিল সম্পাদনে দলিল লেখক সমিতির নাম করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করা,
সাব রেজিষ্টারের স্বাক্ষর জাল করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাবেদা নকল সরবরাহের দায়ে দালালের বিরুদ্ধে মামলা, ২০২৩ এর পূর্বের সাব রেজিষ্ট্রারদের সময়কালে পেঅর্ডার/দলিল জমা না করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা উদঘাটন, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধে ২০০২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বালামভুক্ত না হওয়া প্রায় দুইই শতাধিক দলিল চলমান সময়ে বালামভুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা, সেবা প্রত্যাশি ও জনভোগান্তি কমাতে ১৯৮০ সালের পূর্ববর্তী সময়ের প্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম সূচিবহি সমুহের পূনর্নকলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি ও আর্থিক আবেদন করা, এবং অত্র সাব রেজিষ্ট্রি অফিসকে দালাল ও সিন্ডিকেট মুক্ত করতে সরাসরি সংশ্লিষ্টদের মৌখিক এবং নোটিশের মাধ্যমে সকলকে সতর্ক করে নোটিশ দফতরের বিভিন্ন অবকাঠামোতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়ছে, সিন্ডিকেট-দালালদের দৌরাত্মে বাধা দেওয়ার বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনিয়মের প্রত্যেকটি স্থানে বাধা দেওয়ায় তারাও (দালাল-সিন্ডিকেট) মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাভাবে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের প্রচেষ্টা মোতাবেক সম্প্রতি “ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী” শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট ভার্ষণে” শুধু ঘুষ দিলেই কাজ করেন, না দিলে করেন নানা টালবাহানা।” শিরোনামে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। নিউজে সরাসরি মেহেদী হাসানকে ইনটেনশনালি এ্যাটাক করা হয়েছে উল্লেখ করে যা অত্যন্ত মানহানিকর দাবি করা হয়।

সংবাদের ব্যাখা করে বিজ্ঞপ্তিতে মেহেদি হাসান উল্লেখ করেন,
উল্লেখিত সংবাদে বলা হয়েছে আমি (মেহেদী হাসান) ঘুষ ছাড়া কোনও কাজই করিনা। যা সম্পূর্ণ মনগড়া। কেননা আমি কার কাছ থেকে, কবে, কেন এবং কত টাকা নিয়েছি? কে আমাকে কেন কত টাকা দিয়েছে? সে সম্পর্কে সংবাদে কিছুই উল্লেখ করতে পারেনি প্রতিবেদক। এছাড়া সংবাদটির এক অংশে যে দুইজন দলিল লেখকের বরাতে অভিযোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে তারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লেখক নন, তারা দালাল। এছাড়া সংবাদে যে দুজন সেবা গ্রহীতার অভিযোগের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তারা গতানুগতিকভাবে ঢালাও অভিযোগ করেছেন। কারো নাম কিংবা মেহেদি হাসানের নামে নির্দিষ্ট করে কেনো অভিযোগ করেন নি।

বিজ্ঞপ্তির শেষ অংশে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের অপেশাদারমূলক আচরণ এবং তার প্রশ্নের ধরণ কর্মকর্তাকে হতাশ করেছে জানিয়ে ওই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমে যার অভিযোগ এবং প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয়।

পদক্ষেপের বিষয়ে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রবীন দলিল লেখক মহসিন আলী সরকার, আবুল হোসেন, আমিনুল ইসলামসহ আরো একাধিক দলিল লেখক বলেন, মেহেদী স্যার আসার পর থেকে আমরা অনেক শান্তিতে আছি। আমাদের ওপর এখন কোন জোর-জবরদস্তি নাই। জুলুম নাই। এরআগেও অনেক অফিসার গেছেন কিন্তু এইবার এই স্যারের নানা পদক্ষেপের কারণে ধীরে ধীরে দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন দেশের ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সাথে সাথে আমি অনেকট চ্যালেঞ্জ নিয়েই এই অফিসের দালাল-সিন্ডিকেট, অনিয়ম বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি। ফলে দীর্ঘদিন যাবত যারা অন্যায়ভাবে সুবিধা নিয়েছিলো তারা আমাকে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করছে। এসময় তিনি সত্য তথ্য সাপেক্ষে প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধেও সংবাদ প্রকাশের কথা জানান। এছাড়া অত্র অফিসের দূর্নীতি ও দালালের দৌরাত্ম বন্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাব রেজিষ্ট্রার মেহেদী হাসানের এসব পদক্ষেপের বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা রেজিষ্ট্রার জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি যেসব সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। মেহেদী হাসান দীর্ঘদিনের একটি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছেন। যার ফলে বর্তমানে মানুষ হয়রানির স্বীকার হচ্ছেনা এবং কোথাও অতিরিক্ত অর্থও দেওয়া লাগছেনা। এসময় তিনি আরও বলেন শুধু আমি না আমার পূর্বেরও যেকোনো অফিসার তার সম্পর্কে ভালো বলতে হবে। তিনি এখানে অনেক অসঙ্গতি দূর করেছেন।