পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ফেরদৌসী বেগম নামের এক অসহায় নারীর বসতঘরে ঢুকার পথ আটকিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ বজলুর রহমান বিশ্বাস ওরফে মামুন ও তার স্ত্রী লিপি বেগমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের উলুবাড়িয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী ফেরদৌসী বেগম উলুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আঃ লতিফ মাষ্টারের স্ত্রী৷ অভিযুক্ত বজলুর রহমান বিশ্বাস ওরফে মামুন একই এলাকার বাসিন্দা মৃত আমির হোসেন বিশ্বাসের ছেলে ও বজলুর রহমান বিশ্বাস ওরফে মামুনের স্ত্রী লিপি বেগম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উলুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আঃ লতিফ মাষ্টার মৃত্যুবরন করার পরে স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম তার বাবা মৃত্যু দেলোয়ার হোসেন বিশ্বাস এর বসত বাড়িতে ছোট ছেলে বায়জিদ হাওলাদারকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। এদিকে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন সময়ে কোন কারন ছাড়াই হুমকি দামকি দেয়া সহ নির্যাতন করে আসছে। একপর্যায়ে কিছুদিন পূর্বে ফেরদৌসী বেগমের বসতঘরের সামনে প্রতিপক্ষরা বেড়া দিয়ে ঢুকার পথ আটকিয়ে দেয়। এতে ভুক্তভোগী ফেরদৌসী বেগম কয়েকদিন যাবত বসতঘরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন, এমন কি প্রতিপক্ষ বজলুর রহমান বিশ্বাস ওরফে মামুন ফেরদৌসী বেগমের বসত ঘরের সামনের উঠানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা চালায়।পরে তার অন্যান্য ছেলে মেয়েরা বিষয়টি জানতে পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ বেড়া কেটে দেয়। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর মেয়ে সালমা বেগম জানান, গত ৫ আগষ্ট সরকার পদত্যাগের পরে অভিযুক্তরা আমার বসতঘর লুটপাট সহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দিলে সেই মামলায় বর্তমানে বজলুর রহমান বিশ্বাস ওরফে মামুন সহ একাধিক আসামীরা জেল হাজতে আছেন। সেই কারনে অভিযুক্তের স্ত্রী লিপি বেগম আমি সহ আমার পরিবারের লোকজনকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে এবং আমার মা ফেরদৌসী বেগমের বসতঘরে ঢুকার পথ আটকিয়ে দেয়। বিষয়টি আমরা জানার পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বেড়া কেটে আমাদের পথ চলতে হয়। আমাদের সাথে অভিযুক্তদের এমন আচারন করার জন্যে সরকারের কাছে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই। বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত বজলুর রহমান বিশ্বাস ওরফে মামুন জেল হাজতে থাকায় তার স্ত্রী লিপি বেগম জানান, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ফেরদৌসী বেগম যে জমি ভোগদখল করতেছে উক্ত জমি আমাদের, আমার শশুরের জমিতে তাদের থাকতে দেওয়া হয়েছে, কারণ ফেরদৌসী বেগমের বাবার সকল সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে তাই তাদের কোনো জমি না থাকায় আমার শশুর তার জমিতে বসবাস করার সুযোগ দিছিলো, এবং তাদের কোন জমির কাগজপত্র নেই। এবিষয়ে যখনই আমরা তাদের জমি ছাড়তে বলি তখনই আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে, বর্তমানে আমার স্বামী বজলুর রহমান বিশ্বাস কে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। তাদের বসতঘরের সামনে তারাই বেড়া দিয়ে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। আমরা তাদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবি চেয়ে বাংলাদেশ সরকার সহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ শিরোনাম ::
মঠবাড়িয়ায় বসতঘরে ঢুকার পথ আটকিয়ে দেয়ার অভিযোগ
- মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
- আপডেট সময় ১০:৩৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
- ৫২৬ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ