ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেস ক্লাবের অনিয়ম: বিদ্যুৎ বিল, লিজমানি ও বাণিজ্য মেলার দুর্নীতি নিয়ে বিতর্ক কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ২৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক দূর্গাপুরে ১৬৪০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষে অনিশ্চিয়তা শিশু সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায়! শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন?

সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এতে এক জেলে নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও তিনজন। এ ছাড়া ৬০ মাঝিমাল্লাসহ ৬টি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।

নিহত জেলের নাম ওসমান গনি, পিতার নাম বাঁচা মিয়া। তিনি শাহপরীরদ্বীপের কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। হতাহতরা সবাই শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়ার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে বলে জানা গেছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভির শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।

অপহরণ করা ট্রলারের মালিকরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতাউল্লাহ এবং উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। ট্রলারগুলোয় ৬০ জন মাঝিমাল্লা রয়েছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার বিকেল আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি করে এবং ৬টি ট্রলার ও ৬০ জন জেলেকে আটক করে। গুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং দুজন আহত হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিকট ১টি নৌকাসহ জেলেদের হস্তান্তর করে। বর্তমানে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ১টি নৌকাসহ মৃত ব্যক্তির মরদেহ ও ১১ জন জেলে নিয়ে কিছুক্ষণ আগে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে অবতরণ করেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্যান্য ৫টি বোটসহ অন্য জেলেদের ছাড়েনি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, বুধবার সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি করে। এতে তার ট্রলারের চার জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে একজন মারা যান। এরপর ৫টি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়। এর মধ্যে আজ তার ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এখনো ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ বলেন, গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ও একজন মারা গেছেন। আহত দুজনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩

আপডেট সময় ০৬:০০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এতে এক জেলে নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও তিনজন। এ ছাড়া ৬০ মাঝিমাল্লাসহ ৬টি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।

নিহত জেলের নাম ওসমান গনি, পিতার নাম বাঁচা মিয়া। তিনি শাহপরীরদ্বীপের কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। হতাহতরা সবাই শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়ার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে বলে জানা গেছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভির শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।

অপহরণ করা ট্রলারের মালিকরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতাউল্লাহ এবং উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। ট্রলারগুলোয় ৬০ জন মাঝিমাল্লা রয়েছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার বিকেল আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি করে এবং ৬টি ট্রলার ও ৬০ জন জেলেকে আটক করে। গুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং দুজন আহত হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিকট ১টি নৌকাসহ জেলেদের হস্তান্তর করে। বর্তমানে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ১টি নৌকাসহ মৃত ব্যক্তির মরদেহ ও ১১ জন জেলে নিয়ে কিছুক্ষণ আগে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে অবতরণ করেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্যান্য ৫টি বোটসহ অন্য জেলেদের ছাড়েনি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, বুধবার সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি করে। এতে তার ট্রলারের চার জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে একজন মারা যান। এরপর ৫টি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়। এর মধ্যে আজ তার ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এখনো ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ বলেন, গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ও একজন মারা গেছেন। আহত দুজনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।