মোঃ ছরওয়ার কামাল চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানাধীন ১ নং বৈরাগ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন (৩৫), ও গ্রাম পুলিশ মোঃ ইলিয়াছ (৫০) দ্বয়ের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়া যায় যে, গত ০৩/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ১২.৩০ ঘটিকার আনোয়ারা থানাধীন ০১নং বৈরাগ ইউপিস্থ, ০৭নং ওয়ার্ড, বৈরাগ চায়না ইকোমিক জোন অফিসের পূর্ব পার্শ্বে জনৈক সিরাজ সওদাগরের পাহাড় ঘেড়া পরিত্যক্ত ব্রিক্স ফিল্ডে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার মৃত দেহ পড়ে আছে। উক্ত সংবাদ ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে গ্রাম পুলিশসহ এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখিতে পাই একজন অজ্ঞাতনামা মহিলা বয়স অনুমান (২৫) এর মৃত দেহ ইট বাটার পাশে টিলা ভূমির পানি প্রবাহের নালার মধ্যে ঝোপের ভিতর পড়ে আছে। মৃত ব্যক্তির পেটের মধ্যে ধারালো আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় গত ০১/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকা হইতে অদ্য ০৩/১০/২০২৪ খ্রিঃ ভোর অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করিয়া হত্যা করতঃ লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে ফেলিয়া যায়। আনোয়ারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ লাশের ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করেন। অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের পরিচয় সনাক্তকরণের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটকে সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ সুপার পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা মহোদয় তাৎক্ষণিক ক্রাইম সিন টিমকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
পুলিশ পরিদর্শক জনাব আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন টিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গমন করে বিশেষায়িত ডিভাইস FIVES Finger Identification and Verification System এর মাধ্যমে ভিকটিমের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সফলভাবে অজ্ঞাত নামা লাশের পরিচয় সনাক্তকরণে সক্ষম হয়। ভিকটিমের নাম- আমেনা বেগম (২৩), পিতা-কামাল উদ্দিন, মাতা-রং মালা, ঠিকানা-বলুয়ার দিঘীরপাড়, আবুল কালাম সওদাগরের কলোনি, থানা- কোতোয়ালী সিএমপি, চট্টগ্রাম, স্থায়ী ঠিকানা-কামাল সওদাগর এর বাড়ি, নাগেরকান্দি, থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভিকটিমের মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।