ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ঘিরে এখনও চাঁদাবাজির তান্ডব চালাচ্ছে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন গোলাম মোস্তফা  মিঠাপুকুরে এমপিএইসভিওয়ের ১১তম বর্ষে পদার্পন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মঠবাড়িয়া আসনে লড়তে চান ক্যানাডা প্রবাসী ব্যারিস্টার আলমগীর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফসলের সাথে শত্রুতা, ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ ইসলামী দলগুলোকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় গেছে আ.লীগ: চরমোনাই পীর উচাই কৃষি কলেজে নবীন-বরণ জাফলং পিয়াইন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২৪ এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত নাটোরের বড়াইগ্রাম সময় টিভির অফিশিয়াল স্টাফ রিপোর্টার এর বাড়িতে আগুনে লেগে এক শিশুর মৃত্যু

আপনি নজরদারির মধ্যে বুঝবেন যেভাবে?

একটি স্মার্টফোন হাতে থাকা মানেই সারা পৃথিবী হাতের মুঠোয়। কিন্তু এই ফোনের মধ্যে থাকে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য যা হাতিয়ে নিতে পারলে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে চলে ডিজিটাল নজরদারি। ফোনে স্পাইওয়্যার প্রবেশ করলে চলতে থাকবে আপনার অজান্তেই। বিভিন্ন সরকার ছাড়াও সাইবার দুষ্কৃতিকারীরা স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালাতে থাকে।

বিভিন্ন ধরনের স্পাইওয়্যার রয়েছে। বেশিরভাগ সময়েই স্পাইওয়্যার ফোনে প্রবেশ কোনো অ্যাপ ইনস্টল করতে গিয়ে। কিছু অ্যাপ ইনস্টল করার সময় ফোনে নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেখাতে থাকে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় কোন কোন ওয়েবসাইট ওপেন করছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে এই স্পাইওয়্যার। কেউ ফোনে কি কপি করছে নজর রাখে সেই দিকেও। কোনো কারণে ইউজারনেইম ও পাসওয়ার্ড কপি করে পেস্ট করলেই তা হ্যাকারদের হাতে পৌঁছে যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে।

আবার উন্নত মানের স্পাইওয়্যার রয়েছে যেটা একবার কারো ফোনে ঢুকলে আরও বিপদে ফেলতে পারে ব্যবহারকারীকে। ফোনে কল করে অথবা কোনো এসএমএস পাঠালেও গোটা ফোনের সব তথ্য দখল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এই স্পাইওয়্যার। সন্ত্রাসবাদী গতিবিধির ওপরে কড়া নজর রাখতে এই ধরনের স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকার।

আপনি নজরদারির মধ্যে বুঝবেন যেভাবে

কোনো স্পাইওয়্যার আপনার ফোনে প্রবেশ করে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে বুঝার সরাসরি কোনো উপায় না থাকলেও কিছুটা অনুমান করা যাবে। কিছু লক্ষণ দেখা দিলে মনে করবেন আপনি নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। যেমন ফোনে কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে বারবার অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখাবে। এসএমএস এর মাধ্যমে কোনো লিঙ্ক আসলে।

এসব ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। ফোনে আসা এই বিজ্ঞাপনগুলোতে কোনোরূপ ক্লিক করা যাবে না। এবং কোনো রকম অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা যাবে না।

স্পাইওয়্যার ডিলিট করার উপায়

আগেই বলা হয়েছে বিভিন্ন রকমের স্পাইওয়্যার রয়েছে। এসবের মধ্যে জটিল স্পাইওয়ার ফোনে আক্রমণ করলে তা ডিলিট করা খুবই কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে ফোন ফরম্যাট করার পরেও স্পাইওয়্যার ডিলিট করা সম্ভব হয় না। এজন্য স্মার্টফোনের গ্রাহকদের কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার দরকার হলে গুগল প্লে স্টোর থেকে নেওয়ার পরমর্শ দেওয়া হয়েছে। সব অ্যাপের তালিকা দেখতে বলা হয়েছে।  যদিও তা স্পাইওয়্যার কিনা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। সন্দেহ হলে সেই অ্যাপ ডিলিট করতে পরমর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন

স্পাইওয়্যার থেকে স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত ইমেল ও অন্যান্য অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলাতে হবে। টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন পাসওয়ার্ড চালু করতে হবে। ফোনের লক স্ক্রিনে প্যাটার্ন অথবা পিন দিতে হবে। আর স্পাইওয়্যার প্রবেশের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে ফোন রিসেট করতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ঘিরে এখনও চাঁদাবাজির তান্ডব চালাচ্ছে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন গোলাম মোস্তফা 

আপনি নজরদারির মধ্যে বুঝবেন যেভাবে?

আপডেট সময় ০৭:৩৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

একটি স্মার্টফোন হাতে থাকা মানেই সারা পৃথিবী হাতের মুঠোয়। কিন্তু এই ফোনের মধ্যে থাকে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য যা হাতিয়ে নিতে পারলে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে চলে ডিজিটাল নজরদারি। ফোনে স্পাইওয়্যার প্রবেশ করলে চলতে থাকবে আপনার অজান্তেই। বিভিন্ন সরকার ছাড়াও সাইবার দুষ্কৃতিকারীরা স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালাতে থাকে।

বিভিন্ন ধরনের স্পাইওয়্যার রয়েছে। বেশিরভাগ সময়েই স্পাইওয়্যার ফোনে প্রবেশ কোনো অ্যাপ ইনস্টল করতে গিয়ে। কিছু অ্যাপ ইনস্টল করার সময় ফোনে নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেখাতে থাকে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় কোন কোন ওয়েবসাইট ওপেন করছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে এই স্পাইওয়্যার। কেউ ফোনে কি কপি করছে নজর রাখে সেই দিকেও। কোনো কারণে ইউজারনেইম ও পাসওয়ার্ড কপি করে পেস্ট করলেই তা হ্যাকারদের হাতে পৌঁছে যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে।

আবার উন্নত মানের স্পাইওয়্যার রয়েছে যেটা একবার কারো ফোনে ঢুকলে আরও বিপদে ফেলতে পারে ব্যবহারকারীকে। ফোনে কল করে অথবা কোনো এসএমএস পাঠালেও গোটা ফোনের সব তথ্য দখল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এই স্পাইওয়্যার। সন্ত্রাসবাদী গতিবিধির ওপরে কড়া নজর রাখতে এই ধরনের স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকার।

আপনি নজরদারির মধ্যে বুঝবেন যেভাবে

কোনো স্পাইওয়্যার আপনার ফোনে প্রবেশ করে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে বুঝার সরাসরি কোনো উপায় না থাকলেও কিছুটা অনুমান করা যাবে। কিছু লক্ষণ দেখা দিলে মনে করবেন আপনি নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। যেমন ফোনে কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে বারবার অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখাবে। এসএমএস এর মাধ্যমে কোনো লিঙ্ক আসলে।

এসব ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। ফোনে আসা এই বিজ্ঞাপনগুলোতে কোনোরূপ ক্লিক করা যাবে না। এবং কোনো রকম অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা যাবে না।

স্পাইওয়্যার ডিলিট করার উপায়

আগেই বলা হয়েছে বিভিন্ন রকমের স্পাইওয়্যার রয়েছে। এসবের মধ্যে জটিল স্পাইওয়ার ফোনে আক্রমণ করলে তা ডিলিট করা খুবই কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে ফোন ফরম্যাট করার পরেও স্পাইওয়্যার ডিলিট করা সম্ভব হয় না। এজন্য স্মার্টফোনের গ্রাহকদের কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার দরকার হলে গুগল প্লে স্টোর থেকে নেওয়ার পরমর্শ দেওয়া হয়েছে। সব অ্যাপের তালিকা দেখতে বলা হয়েছে।  যদিও তা স্পাইওয়্যার কিনা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। সন্দেহ হলে সেই অ্যাপ ডিলিট করতে পরমর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন

স্পাইওয়্যার থেকে স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত ইমেল ও অন্যান্য অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলাতে হবে। টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন পাসওয়ার্ড চালু করতে হবে। ফোনের লক স্ক্রিনে প্যাটার্ন অথবা পিন দিতে হবে। আর স্পাইওয়্যার প্রবেশের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে ফোন রিসেট করতে হবে।