রামগঞ্জ উপজেলায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও বীজ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে বোরো ধান রোপণ মৌসুম।
এবার যথাসময়ে পানি নামছে, সেই সাথে আবহাওয়া ভালো রয়েছে। এদিকে এক ফসলি জমিতে বোরো ও শীত থেকে চারা সুরক্ষায় বীজ বপনের এটাই উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। জানা যায়, বর্তমান আবহাওয়া বোরো বীজ বপনের উপযোগী থাকায় উপজেলার সব ইউনিয়নের কৃষকেরা বীজতলা তৈরি ও বীজ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
হাটবাজারের বীজ দোকানগুলোতে দিনের প্রায় সময়ই কৃষকদের ভিড় লেগে আছে। তবে কৃষক একটু চিন্তিত ডিজিলের মূল্য বৃদ্ধিসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণ নিয়ে। কৃষকেরা জানান, ইরি-বোরোর বীজ বপনের সময় আরও কিছুটা হাতে থাকলেও ধান বীজতলা তৈরির কাজটা এবার আগেভাগেই শুরু করেছেন। এ সময় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে অপরিপক্ব বোরো ধানের চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
নষ্ট হয় বীজতলার চারাগাছ। চারা সংকটে ইরি-বোরো রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। তাই এবার একটু আগাম বীজ বপন করছেন তাঁরা। তবে কৃষক একটু চিন্তিত ডিজিলের মূল্যবৃদ্ধিসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে। শুক্রবার সকালে বীজতলা ঘুরে দেখা যায়, অনেক কৃষক বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে জমি চাষ করছেন, কেউ সেচ পানি দিচ্ছেন, কেউ জমির আইল কোটা বাঁধছেন, বীজতলা সমান করছেন, কেউ বীজ বপন করছেন।
সপ্তাহ খানেক ধরে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আরও ১০ থেকে ১২ দিন বীজতলা তৈরিতে সময় লাগবে। গতকাল সকালে আজিমপুর বিলে বীজতলা সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে জমি চাষ দিচ্ছেন, কেউ সেচ পানি দিচ্ছেন, কেউ জমির আইল কোটা বাঁধছেন, বীজতলা সমান করছেন, কেউ বীজ বপন করছেন। এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।
চলতি মাসের ১০ তারিখে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়ছে। আরো ১৫ দিন লাগবে বীজতলা তৈরিতে। বিল থেকে ধীরে ধীরে পানি নামছে আর একটু একটু করে বীজতলা বপন শেষ করছেন কৃষক। তৈরি শেষে একই সাথে হাওরে হাওরে বোরো ধান রোপণ মৌসুম শুরু হবে। কৃষকেরা বলছেন, দিনের বেলায় রোদ ও রাতে কম ঠান্ডা বিরাজ করছে। এখন পর্যন্ত কুয়াশা পড়েনি, শৈত্যপ্রবাহও নেই।
শীত বেশি হলে চারা গজানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই বর্তমান সময়কে উপযুক্ত মনে করে আগাম জাতের ধানের চারা তৈরিতে তাঁদের ব্যস্ত সময় কাটছে। রামগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবার যথাসময়ে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি রোপণ মৌসুমটাও যথা সময়ে শুরু হবে। ডিজেলের মূল্য কিছু বৃদ্ধির কারণে জমিতে হাল চাষ সেচসহ কৃষকের ব্যয়ভার কিছুটা বাড়বে। তবে ধানের দর ভাল হলে কৃষক পুষিয়ে নিতে পারবে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, এ জেলার কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান-৫০, ব্রি ধান-৫৮, ব্রি ধান-৮৯, ব্রি ধান-৮১, ব্রি ধান-৭৪ এবং হাইব্রিড হীরা, তেজ, সাথী, জিনজেনটা জাতের ধান চাষ করে থাকেন।