ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভয়ানক তথ্য পাওয়া গেল ‘জুয়া ও কোটিপতির’ গ্রাম নিয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট টঙ্গীতে যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ জাজিরায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু তারেক রহমানের নেতৃত্বেই স্বৈরাচারের পতনের মধ্যদিয়ে দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে: মোস্তফা জামান বিচারের আগে আওয়ামী লীগের কোনো পূর্ণবাসন নয় – হাসনাত আবদুল্লাহ পাঁচবিবিতে মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে আলোচনা সভায় গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও বৈদেশিক নীতির সরলীকরণ: ভোলার হত্যা মামলার পলাতক আসামী ঢাকায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কাশিমপুরে চলছে জমজমাট মেলা নষ্ট হচ্ছে বাচ্চাদের লেখাপড়া।

এবার ফাঁসছেন এনবিআরের আরেক কর্মকর্তা

মতিউর, ফয়সালের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরেক কর্মকর্তার নামে অভিযোগ উঠেছে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের। প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান, তার স্ত্রী কান্তি রহমান ও ছেলে ফাইজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র অনুমোদন পাওয়ার পর এখন চলছে আদালতে দাখিল করার প্রক্রিয়া। দুদক সূত্রে জানা গেছে, শিগগির তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।

এনবিআরের কাস্টমস বিভাগের সদস্য আলোচিত মতিউর রহমান ও কর বিভাগের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

এছাড়া সোমবার (১ জুলাই) রাজস্ব বোর্ডের সাবেক আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়েছে। ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহারের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মোখলেছুর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। মোখলেছুর রহমান ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুদকের কাজে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও আইনগত জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্য এখন চার্জশিটভুক্ত আসামি।

আরও জানা গেছে, গত ২৫ জুন কমিশনের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২ নভেম্বর দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান ১৯৮০ সালের কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি পান। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

দ্বিতীয় আসামি তার স্ত্রী কান্তি রহমান। তার দুই ছেলের মধ্যে একজন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এবং অন্যজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মোখলেছুর রহমান কর অঞ্চল-৪ এবং তার স্ত্রী কান্তি রহমান কর অঞ্চল-১০ এর করদাতা। মোখলেছুর চাকরিকালে নিজ নামে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৮১ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ টাকাসহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ টাকা।

যার বিপরীতে মোট আয় পাওয়া যায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ২২০ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ১১৩ টাকা অবৈধ হিসাব হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অপরদিকে, রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি কান্তি রহমানের নামে তিন কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার ২০৫ টাকার স্থাবর এবং ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট তিন কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ২০৫ টাকার সম্পদের বিবরণ পেয়েছে দুদক। যার পারিবারিক ব্যয়সহ মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭১ টাকা হয়। আর ওই সম্পদের বিপরীতে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় এক কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ৭১৮ টাকা। ৩ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৩ টাকা অবৈধ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের তদন্তে।

একজন সরকারি কর্মচারী তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় স্ত্রী কান্তি রহমান অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। যা ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে, তৃতীয় আসামি ও মো. মোখলেছুর রহমান খানের বড় পুত্র মো. ফয়জুর রহমান খান বর্তমানে বিদেশে থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত অপরাধ মিলেছে দুদকের তদন্তে।

একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় ফয়জুর রহমান ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার সিডব্লিউএন (বি) ব্লকের ৩৬ নং রোডে জেনেটিক রিচমন্ড নামের একটি ভবনে কার পার্কিং স্পেসসহ ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৯ টাকায় ১৯৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। দালিলিক মূল্য ওই টাকা হলেও বাস্তবে ফ্ল্যাটের মূল্য ছিল দুই থেকে তিন কোটি।

এ ছাড়া, তার নামে কিশোরগঞ্জে ৫০ শতক জমি ও ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্সসহ অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে মোট ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। যার বিপরীতে প্রমাণযোগ মোট আয় পাওয়া যায় ৪০ হাজার টাকা। এখানে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে তার পিতা মো. মোখলেছুর রহমান খান তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং তিনি তার পিতার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। কৌশল হিসেবে নিজের নামে রেখে তার পিতাকে আমমোক্তার নিয়োগ করেছেন। সে কারণে মো. ফাইজুর রহমান খানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়ানক তথ্য পাওয়া গেল ‘জুয়া ও কোটিপতির’ গ্রাম নিয়ে

এবার ফাঁসছেন এনবিআরের আরেক কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৯:৩০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

মতিউর, ফয়সালের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরেক কর্মকর্তার নামে অভিযোগ উঠেছে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের। প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুর রহমান, তার স্ত্রী কান্তি রহমান ও ছেলে ফাইজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র অনুমোদন পাওয়ার পর এখন চলছে আদালতে দাখিল করার প্রক্রিয়া। দুদক সূত্রে জানা গেছে, শিগগির তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।

এনবিআরের কাস্টমস বিভাগের সদস্য আলোচিত মতিউর রহমান ও কর বিভাগের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

এছাড়া সোমবার (১ জুলাই) রাজস্ব বোর্ডের সাবেক আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়েছে। ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহারের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মোখলেছুর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। মোখলেছুর রহমান ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুদকের কাজে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও আইনগত জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্য এখন চার্জশিটভুক্ত আসামি।

আরও জানা গেছে, গত ২৫ জুন কমিশনের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২ নভেম্বর দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান ১৯৮০ সালের কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি পান। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

দ্বিতীয় আসামি তার স্ত্রী কান্তি রহমান। তার দুই ছেলের মধ্যে একজন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এবং অন্যজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মোখলেছুর রহমান কর অঞ্চল-৪ এবং তার স্ত্রী কান্তি রহমান কর অঞ্চল-১০ এর করদাতা। মোখলেছুর চাকরিকালে নিজ নামে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং দুই কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ৮১ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪৬ টাকাসহ মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৩ টাকা।

যার বিপরীতে মোট আয় পাওয়া যায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ২২০ টাকা। অর্থাৎ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ১১৩ টাকা অবৈধ হিসাব হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অপরদিকে, রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি কান্তি রহমানের নামে তিন কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার ২০৫ টাকার স্থাবর এবং ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট তিন কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ২০৫ টাকার সম্পদের বিবরণ পেয়েছে দুদক। যার পারিবারিক ব্যয়সহ মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭১ টাকা হয়। আর ওই সম্পদের বিপরীতে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় এক কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ৭১৮ টাকা। ৩ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৩ টাকা অবৈধ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের তদন্তে।

একজন সরকারি কর্মচারী তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় স্ত্রী কান্তি রহমান অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। যা ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে, তৃতীয় আসামি ও মো. মোখলেছুর রহমান খানের বড় পুত্র মো. ফয়জুর রহমান খান বর্তমানে বিদেশে থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত অপরাধ মিলেছে দুদকের তদন্তে।

একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় ফয়জুর রহমান ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার সিডব্লিউএন (বি) ব্লকের ৩৬ নং রোডে জেনেটিক রিচমন্ড নামের একটি ভবনে কার পার্কিং স্পেসসহ ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৯ টাকায় ১৯৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। দালিলিক মূল্য ওই টাকা হলেও বাস্তবে ফ্ল্যাটের মূল্য ছিল দুই থেকে তিন কোটি।

এ ছাড়া, তার নামে কিশোরগঞ্জে ৫০ শতক জমি ও ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্সসহ অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে মোট ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। যার বিপরীতে প্রমাণযোগ মোট আয় পাওয়া যায় ৪০ হাজার টাকা। এখানে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে তার পিতা মো. মোখলেছুর রহমান খান তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং তিনি তার পিতার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। কৌশল হিসেবে নিজের নামে রেখে তার পিতাকে আমমোক্তার নিয়োগ করেছেন। সে কারণে মো. ফাইজুর রহমান খানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।