ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা।

আল্লাহ ছাড়া যে বিষয়গুলো কেউ জানে না

এক জীবনে মানুষ কতটুকুইবা জানতে পারে! জানতে জানতে, জানার চেষ্টা করতে করতেই পার হয়ে যায় জীবনকাল। জন্ম থেকে বুঝতে শেখার পর থেকে জানতে চাওয়ার কৌতুহল, একাডেমিক পড়াশোনা, বিশ্ব, প্রকৃতি, গ্রহ, নক্ষত্র, সব কিছু থেকে জানার, শেখার চেষ্টা করে মানুষ। কবিতার ভাষায় সুন্দরভাবে কবি ফুটিয়ে তুলেছেন এই চিত্র। বলেছেন, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র।’

শেখা-জানা- এই আগ্রহ কখনও শেষ হওয়ার নয়। আমৃত্যু অজানাকে জানার কৌতুহল বয়ে বেড়ায় মানুষ নিজের ভেতরে। তাইতো বলা হয়েছে, ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত বিদ্যার্জন কর।’ কিন্তু এতো আগ্রহ, কৌতুহলের পরেও নিজের গণ্ডি-পরিধির কত জ্ঞানই তো অজানা থেকে যায় মানুষের। এসবের বাইরে অদৃশ্য-ভাগ্য, পরকাল সম্পর্কে অজানাই থেকে যায়, কখনও জানা সম্ভব হয় না। এসবের জ্ঞান শুধু আল্লাহ তায়ালার কাছে রয়েছে।

জানার চেষ্টা করেও মানুষ কখনই জানতে পারে না, এমন পাঁচটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে। বর্ণিত হয়েছে,

‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেই আছে কেয়ামত (সংঘটিত হওয়ার) জ্ঞান, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন জরায়ুতে যা আছে। কেউ জানে না আগামী কাল সে কি অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ দেশে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত।’ -(সুরা লুকমান : আয়াত ৩৪)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য বলেছেন, ‘এ সমস্ত অদৃশ্যলোকের সংবাদ আমি তোমাকে অহি দ্বারা অবহিত করছি, যা এর পূর্বে তুমি জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়ও জানত না।’ -(সূরা হুদ: ৪৯)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই, আর কেয়ামতের বিষয়টি তো চোখের পলকের মতো, বরং তার চেয়েও নিকটবর্তী। আল্লাহ অবশ্যই সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৭৭)

আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘(হে নবী!) বল, আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত আমার নিজের ভালো-মন্দের ওপর আমার কোনো অধিকার নাই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানতাম তবে তো আমি প্রভূত কল্যাণই লাভ করতাম এবং কোনো অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করত না। আমি তো শুধু মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদবাহী।’ -(সূরা আরাফ: ১৮৮)

আরেক আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘(হে নবী!) বল, অদৃশ্যের জ্ঞান তো কেবল আল্লাহরই আছে। -(সূরা ইউনুস: ২০) 

হাদিসে এ বিষয়গুলো স্পষ্ট ও ব্যাখ্যাসহ বর্ণিত হয়েছে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘গায়েবের চাবি হল পাঁচটি; যা আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ জানে না। (তাহলো)-

১. কেউ জানে না যে, আগামীকাল কী ঘটবে।

২. কেউ জানে না যে, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে।

৩. কেউ জানে না যে, মায়ের গর্ভে কী আছে।

৪. কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবে।

৫. কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে। -(বুখারি ১০৩৯)

আরেক হাদিসে বিষয়টি হজরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে এভাবে বর্ণিত হয়েছে, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকসমক্ষে ছিলেন, এমতাবস্থায় তাঁর কাছে একজন লোক উপস্থিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! ঈমান কী? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঈমান হল, আল্লাহ, তার ফেরেশতা, তাঁর কিতাবসমুহ, তাঁর সঙ্গে মুলাকাত, তাঁর প্রেরিত রাসুলদের প্রতি ঈমান আনা এবং শেষ উত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।

তারপর আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ইসলাম কী? রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন,

ইসলাম হল, আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক না করা, ফরয নামাজ কায়েম করা, নির্ধারিত জাকাত আদায় করা এবং রমজানের রোজা পালন করা।

আগন্তুক আবার প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ইহসান কী? রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ইহসান হল, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত- বন্দেগী করবে যেন তাঁকে দেখছ; যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে ভাববে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন।

আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, কেয়ামত কখন হবে? রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি অধিক অবহিত নন। তবে হ্যাঁ –

কেয়ামতের কিছু আলামত বর্ণনা করছি, দাসী তার প্রভূকে জন্ম দেবে। এটি কেয়ামতের আলামতের একটি। বিবস্ত্রদেহ, নগ্নপদ লোক হবে জনগণের নেতা; এটা কেয়ামতের আলামতের একটি। আর রাখালদের বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে, এটিও কেয়ামতের একটি আলামত।

পাঁচটি বিষয়ে আল্লাহ ব্যতীত কেউ কিছু জানেনা। এ বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ আয়াতটি) তিলাওয়াত করেন,

اِنَّ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ یُنَزِّلُ الۡغَیۡثَ ۚ وَ یَعۡلَمُ مَا فِی الۡاَرۡحَامِ ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌ مَّاذَا تَکۡسِبُ غَدًا ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌۢ بِاَیِّ اَرۡضٍ تَمُوۡتُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁরই কাছে রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান। তিনি নাযিল করেন বৃষ্টি এবং তিনি জানেন, যা রয়েছে মাতৃগর্ভে। আর কেউ জাননা কি কামাই করবে সে আগামীকাল এবং জাননা কেউ কোন মাটিতে সে মারা যারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব জানেন, সব খবর রাখেন’। (সূরা লূকমান, আয়াত, ৩৪)

হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, তারপর লোকটি চলে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, লোকটিকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন। তাঁরা তাকে আনার জন্য গেলেন। কিন্তু কাউকে পেলেন না। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইনি জিবরীল (আলাইহিস সালাম) লোকদের দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। -(সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন১/ ৫)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী

আল্লাহ ছাড়া যে বিষয়গুলো কেউ জানে না

আপডেট সময় ০৩:২৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

এক জীবনে মানুষ কতটুকুইবা জানতে পারে! জানতে জানতে, জানার চেষ্টা করতে করতেই পার হয়ে যায় জীবনকাল। জন্ম থেকে বুঝতে শেখার পর থেকে জানতে চাওয়ার কৌতুহল, একাডেমিক পড়াশোনা, বিশ্ব, প্রকৃতি, গ্রহ, নক্ষত্র, সব কিছু থেকে জানার, শেখার চেষ্টা করে মানুষ। কবিতার ভাষায় সুন্দরভাবে কবি ফুটিয়ে তুলেছেন এই চিত্র। বলেছেন, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র।’

শেখা-জানা- এই আগ্রহ কখনও শেষ হওয়ার নয়। আমৃত্যু অজানাকে জানার কৌতুহল বয়ে বেড়ায় মানুষ নিজের ভেতরে। তাইতো বলা হয়েছে, ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত বিদ্যার্জন কর।’ কিন্তু এতো আগ্রহ, কৌতুহলের পরেও নিজের গণ্ডি-পরিধির কত জ্ঞানই তো অজানা থেকে যায় মানুষের। এসবের বাইরে অদৃশ্য-ভাগ্য, পরকাল সম্পর্কে অজানাই থেকে যায়, কখনও জানা সম্ভব হয় না। এসবের জ্ঞান শুধু আল্লাহ তায়ালার কাছে রয়েছে।

জানার চেষ্টা করেও মানুষ কখনই জানতে পারে না, এমন পাঁচটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে। বর্ণিত হয়েছে,

‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেই আছে কেয়ামত (সংঘটিত হওয়ার) জ্ঞান, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন জরায়ুতে যা আছে। কেউ জানে না আগামী কাল সে কি অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ দেশে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত।’ -(সুরা লুকমান : আয়াত ৩৪)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য বলেছেন, ‘এ সমস্ত অদৃশ্যলোকের সংবাদ আমি তোমাকে অহি দ্বারা অবহিত করছি, যা এর পূর্বে তুমি জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়ও জানত না।’ -(সূরা হুদ: ৪৯)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই, আর কেয়ামতের বিষয়টি তো চোখের পলকের মতো, বরং তার চেয়েও নিকটবর্তী। আল্লাহ অবশ্যই সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৭৭)

আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘(হে নবী!) বল, আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত আমার নিজের ভালো-মন্দের ওপর আমার কোনো অধিকার নাই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানতাম তবে তো আমি প্রভূত কল্যাণই লাভ করতাম এবং কোনো অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করত না। আমি তো শুধু মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদবাহী।’ -(সূরা আরাফ: ১৮৮)

আরেক আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘(হে নবী!) বল, অদৃশ্যের জ্ঞান তো কেবল আল্লাহরই আছে। -(সূরা ইউনুস: ২০) 

হাদিসে এ বিষয়গুলো স্পষ্ট ও ব্যাখ্যাসহ বর্ণিত হয়েছে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘গায়েবের চাবি হল পাঁচটি; যা আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ জানে না। (তাহলো)-

১. কেউ জানে না যে, আগামীকাল কী ঘটবে।

২. কেউ জানে না যে, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে।

৩. কেউ জানে না যে, মায়ের গর্ভে কী আছে।

৪. কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবে।

৫. কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে। -(বুখারি ১০৩৯)

আরেক হাদিসে বিষয়টি হজরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে এভাবে বর্ণিত হয়েছে, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকসমক্ষে ছিলেন, এমতাবস্থায় তাঁর কাছে একজন লোক উপস্থিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! ঈমান কী? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঈমান হল, আল্লাহ, তার ফেরেশতা, তাঁর কিতাবসমুহ, তাঁর সঙ্গে মুলাকাত, তাঁর প্রেরিত রাসুলদের প্রতি ঈমান আনা এবং শেষ উত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।

তারপর আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ইসলাম কী? রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন,

ইসলাম হল, আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক না করা, ফরয নামাজ কায়েম করা, নির্ধারিত জাকাত আদায় করা এবং রমজানের রোজা পালন করা।

আগন্তুক আবার প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ইহসান কী? রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ইহসান হল, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত- বন্দেগী করবে যেন তাঁকে দেখছ; যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে ভাববে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন।

আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, কেয়ামত কখন হবে? রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি অধিক অবহিত নন। তবে হ্যাঁ –

কেয়ামতের কিছু আলামত বর্ণনা করছি, দাসী তার প্রভূকে জন্ম দেবে। এটি কেয়ামতের আলামতের একটি। বিবস্ত্রদেহ, নগ্নপদ লোক হবে জনগণের নেতা; এটা কেয়ামতের আলামতের একটি। আর রাখালদের বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে, এটিও কেয়ামতের একটি আলামত।

পাঁচটি বিষয়ে আল্লাহ ব্যতীত কেউ কিছু জানেনা। এ বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ আয়াতটি) তিলাওয়াত করেন,

اِنَّ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ یُنَزِّلُ الۡغَیۡثَ ۚ وَ یَعۡلَمُ مَا فِی الۡاَرۡحَامِ ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌ مَّاذَا تَکۡسِبُ غَدًا ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌۢ بِاَیِّ اَرۡضٍ تَمُوۡتُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁরই কাছে রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান। তিনি নাযিল করেন বৃষ্টি এবং তিনি জানেন, যা রয়েছে মাতৃগর্ভে। আর কেউ জাননা কি কামাই করবে সে আগামীকাল এবং জাননা কেউ কোন মাটিতে সে মারা যারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব জানেন, সব খবর রাখেন’। (সূরা লূকমান, আয়াত, ৩৪)

হাদিস বর্ণনাকারী বলেন, তারপর লোকটি চলে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, লোকটিকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন। তাঁরা তাকে আনার জন্য গেলেন। কিন্তু কাউকে পেলেন না। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইনি জিবরীল (আলাইহিস সালাম) লোকদের দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। -(সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন১/ ৫)