আপনার স্বামী কি সব সময় কোনো না কোনো কারণে বিরক্ত, উদ্বিগ্ন বা হতাশ থাকে? মানসিক চাপ, অনিদ্রা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি কারণে এমনটা হতে পারে। নেতিবাচক এই দিকগুলো মানুষকে চূড়ান্ত হতাশ করে দিতে পারে। যার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিজীবন ও সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। মানসিক চাপ ও উদ্বিগ্নতার কারণে আপনার স্বামী হতাশ বোধ করতে পারে। এই সমস্যা থেকে তাকে মুক্ত করে আনতে এই সিনড্রোমের মূল কারণ সম্পর্কে জানতে হবে-
মিজারেবল হাসবেন্ড সিনড্রোম- এর কারণ কী?
দাম্পত্য জীবনে যেভাবে প্রভাব ফেলে
অনেকক্ষেত্রে বিয়ে ভাঙার পেছনে মিজারেবল হাসবেন্ড সিনড্রোম দায়ী হতে পারে। যদিও এটি খুব বেশি পরিচিত নয়। আপনার স্বামী যদি সব সময় মেজাজ খারাপ করে থাকে, ছটফট ও চিৎকার করতে থাকে তবে তার সঙ্গে নিজের অনুভূতিগুলো ভাগ করে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে শেষ পর্যন্ত আপনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং সম্পর্কটি একটি বোঝা মনে হতে পারে কারণ আপনার স্বামী তার অনুভূতিগুলো বুঝিয়ে বলতে পারে না। দু’জনের মধ্যে যদি নীরবতা ভর করে, পরস্পর যদি আর কথা না বলেন তাহলে বিয়ের সম্পর্কটিও মূল্যহীন হয়ে পড়ে। আপনার স্বামীও মিজারেবল হাসবেন্ড সিনড্রোম- এ ভুগছে কি না, এই লক্ষণগুলো দেখে মিলিয়ে নিন-
আপনার সব কাজে ত্রুটি খুঁজে বের করলে
আপনার স্বামী সব সময় আপনার ভেতরে ত্রুটি খুঁজে বের করে। আপনি যাই করুন না কেন তাতেই সে বিরক্ত হবে এবং আপনার সবকিছুতেই অভিযোগ করবে। শেষ পর্যন্ত আপনি বুঝতে পারবেন, যাই করুন না কেন তাকে খুশি বা সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়।
আপনাকে এড়িয়ে চললে
সে যদি আপনার প্রতি কোনো মনোযোগ না দেয় বা আপনাকে এড়িয়ে চলতে থাকে তবে এটি মিজারেবল হাসবেন্ড সিনড্রোম- এর অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। আপনার সব রকম প্রচেষ্টা থাকার পরেও সে একইভাবে উদাসীন থাকতে পারে।
বেশিরভাগ সময় ঝগড়া করলে
আপনার স্বামী যদি খুব বেশি হতাশ থাকে তবে সে আপনার সঙ্গে ঝগরা করার উপায় খুঁজতে থাকবে। তার সমস্ত রাগ, হতাশা আপনার ওপর চাপাতে চেষ্টা করবে। সাধারণ কথপোকথনকেই সে ঝগড়ায় পরিণত করবে এবং আপনাকে আঘাত করার উপায় খুঁজতে থাকবে। যেন সব দোষ আপনার ওপরে চাপাতে পারে সেই সুযোগ খুঁজতে থাকবে।
ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে না চাইলে
এই সিনড্রোমে ভুগলে আপনার স্বামী আপনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনোরকম কথা বলতে চাইবে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলা ও পরিকল্পনা সাজানো প্রত্যেক দম্পতির ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার স্বামী যদি বিষয়টি সব সময় এড়িয়ে যেতে চায়, এই প্রসঙ্গ উঠলেই যে করে হোক কথার মোড় ঘুরিয়ে দেয়, তাহলে তার সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলা জরুরি।