পশমিনা শব্দটি ফারসি শব্দ পাসমিনা থেকে এসেছে যার অর্থ উল থেকে প্রস্তুত। পশমিনা ভেড়া পাওয়া যায় লাদাখ ও হিমালয়ের জম্মু-কাশ্মীরের কিছু অংশে৷ পশমিনা ভেড়ার পশম থেকেই তৈরি হয় বিখ্যাত কাশ্মিরি পশমিনা শাল৷ হাতে তৈরি নিপুণ শিল্পকর্মের নিদর্শন এই শাল। পশমিনা ভেড়ার লোম ছেঁটে কাশ্মিরের শাল শিল্পীরা দীর্ঘ পরিশ্রমে একটি শাল তৈরি করেন৷ তবে আজকাল মেশিনে তৈরি শালকে পশমিনা শাল বলে বিক্রি করছে অনেক বিক্রেতা। আসছে শীতে কীভাবে চিনে নেবেন আসল পশমিনা শাল? জেনে নিন সেটাই।
- শালের নিচের অংশ থেকে একটি সুতা ছিঁড়ে আগুনে পোড়ান। যদি চুল পোড়া ধরনের গন্ধ বের হয়, তবে সেটি আসল পশমিনা শাল। যদি সাদা ভিনেগার বা পোড়া পাতার মতো গন্ধ বের হয়, তবে এটি ভিসকস বা পলিস্টারের তৈরি।
- শালে যদি ট্যাগ বা লেবেল আঠা দিয়ে লাগানো থাকে, তবে সেটি আসল পশমিনা শাল নয়। আসল পশমিনা শালে আঠা লেগে থাকবে না, ট্যাগ বা লেবেল আটকানোর জন্য সেলাইয়ের প্রয়োজন হবে।
- পশমিনা শাল হাতে বোনা হয় বলে বুনন একই ছন্দে হয় না। আলোর সামনে শাল ধরে দেখুন। যদি বুনন একই ছন্দে হয়, তবে বুঝবেন সেটি আসল পশমিনা শাল নয়।