২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। আগামী ৩ আগস্ট তাকে ফেডারেল আদালতে ডাকা হয়েছে।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন তিনি। খবর বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র, সাক্ষীর সঙ্গে টেম্পারিং এবং নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রসহ চারটি অভিযোগে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৫ পাতার অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়, ‘নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও, পরাজিত প্রার্থী (ট্রাম্প) ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন। তাই ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দুই মাসের বেশি সময় পর তিনি এই বলে মিথ্যা ছড়িয়েছিলেন যে, নির্বাচনের ফলাফলে জালিয়াতি হয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনিই জিতেছেন। ’
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হন। ওই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প। বাইডেনের জয়ের সত্যায়নে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বসে। সত্যায়ন প্রক্রিয়া ঠেকাতে ট্রাম্পের উসকানিতে তার সমর্থকেরা কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল) হামলা চালান।
এর আগে, গত মার্চ ও জুনে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। এর মধ্যে মার্চে সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। আর জুনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সরকারি গোপন নথি’ নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।