করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ও মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ কমে আসায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগত যাত্রীদের হেলথ ডিক্লেয়ারেশন ফরম (এইচডিএফ) পূরণ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে, দেশে আগত সব যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রম চলমান থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে সই করেছেন অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।এতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসকে এবং এই বছরের ২৩ জুলাই মাঙ্কিপক্সকে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন (পিএইচইআইসি) হিসেবে ঘোষণা করে।
এ সময়ে আন্তর্জাতিক বন্দর (বিমান বন্দর, স্থল বন্দর ও সমুদ্র বন্দর) সমূহে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা ও হেলথ ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্দেশনা ছিল। এখন পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনলাইন হেলথ ডিক্লেয়ারেশন ফরম (এইচডিএফ) চালু রয়েছে, যা বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীদের (১২ বছর ঊর্ধ্ব) যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পূরণ করতে হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে আগত শ্রমিক, স্বল্পশিক্ষিত জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠসহ অনেকের এই ফরম পূরণ করতে সমস্যা হচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিডকে প্যানডেমিক পর্যায় থেকে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন হিসেবে অবনমন করেছেন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাত্রীদের হেলথ ডিক্লেয়ারেশন ফরম পূরণ করার প্রয়োজন হচ্ছে না। এমতাবস্থায় বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের হেলথ ডিক্লেয়ারেশন ফরম পূরণ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। কিন্তু হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। অতএব ওই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে মহাপরিচালক মহোদয়ের সদয় অনুমোদন রয়েছে।
এ বিষয়ে সদয় অবগতির জন্য চিঠির অনুলিপি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।