বিএনপিকে ফের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কানাডার আদালত। এ নিয়ে দেশটির আদালত বিএনপিকে পঞ্চমবারের মতো সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিল। অভিবাসনসংক্রান্ত মামলার রায়ে দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ জুন টরন্টোর আদালতের এক রায়ে দেখা যায়, মোহাম্মদ জিপসেদ ইবনে হক নামের এক বিএনপিকর্মী দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে কানাডার ফেডারেল কোর্ট তা নাকচ করে দেন। রায়ে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার জন্য আবেদনকারীর দল বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রায়ে বলা হয়েছে, বিএনপি বলপ্রয়োগ ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসী দলের সদস্য হওয়ায় ওই ব্যক্তি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নাকচ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল রিভিউটি দায়ের করেছিলেন। সেটিও খারিজ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন মোহাম্মদ জিপসেদ ইবনে হক।
কানাডার অভিবাসন সুরক্ষা আইনে ৩৪ ধারায় আবেদনকারীকে কানাডায় বসবাসের অযোগ্য হিসেবে রায় দেওয়া হয়। এ ধারার অধীনে দেখা যায়, যেকোনো সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের সঙ্গে সরাসরি কিংবা প্ররোচনায় জড়িত বা একটি গণতান্ত্রিক সরকার, প্রতিষ্ঠান বা প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কাজে জড়িত বা সরাসরি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল। সেসব ব্যক্তি কানাডায় আশ্রয়ের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
আবেদনকারী ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপির সদস্য ছিলেন বলে দাবি করেছেন। কানাডার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ মনে করে, বিএনপি বলপ্রয়োগ এবং নাশকতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছে এমনটি বিশ্বাস করার কারণ আছে।
সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে মোহাম্মাদ জুয়েল হোসেন গাজী নামে ঢাকার মিরপুরের স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন কর্মীর কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হওয়ার পর কানাডার ফেডারেল কোর্টে রিভিউর আবেদনে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হয়।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিএনপির কর্মী হিসেবে মো. মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যক্তি আশ্রয় চাইলে দ্বিতীয় দফায় বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
একই বছরের অক্টোবরে মাসুদ রানা এরপর ২০২২ সালে ছাত্রদল কর্মী সেলিম বাদশার অভিবাসন নাকচ করার সময়ও বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করেন কানাডার আদালত।