ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে গড়ানোর আশঙ্কা

ঢাকা: পাল্টাপাল্টি অবস্থান থেকে হঠাৎ করেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একেবারে মুখোমুখি অবস্থানে এসে পড়েছে।

শনিবার ঢাকায় ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা পরিস্থিতি সংঘাতের দিকেই চলে যাওয়ার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এ দিন বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। বাসে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সদস্যদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেছেন বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আগের সহিংস অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক দফা দাবি থেকে বিএনপির সরে আসার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এ দাবি আদায়ে দলটি একের পর এক টানা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন সরকারকে দায়িত্বে রেখেই নির্বাচন করতে অনড় রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান থেকে সরবে না দলটি। পাশাপাশি আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরিয়ে আনতেও দেবে না। এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে। আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা দিলে তা প্রতিহত করা হবে বলে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে বিএনপির কর্মসূচির দিন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগেরও কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় থাকার পূর্ব ঘোষণা রয়েছে। শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসুচি দেওয়ার পর আওয়ামী লীগও অনুরূপ কর্মসুচি দেয়। কিন্তু পুলিশ কোনো দলের কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ায় রাতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি রাস্তায় নামে এবং নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ এর আশাপাশে বেশ কিছু প্রবেশ পথে অবস্থা নিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের সদস্যরা আহত হয়েছেন। এ দিন কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ দিন আওয়ামী লীগও কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারতো বলে অনেকেই মনে করছেন।

এ ঘটনার পর সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা অভিযোগ করেছেন বিএনপি পরিকল্পতিভাবেই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ও আওয়ামী লীগ আরও শক্ত অবস্থানে যাবে বলে ওই নীতিনির্ধাকরা জানান।

শনিবার (২৯ জুলাই) এসব ঘটনার পর বিকেলে দলের জরুরি সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যা আশঙ্কা করেছি, তাই সত্যি হয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস, তারা এটাই চেয়েছিল। গতকালই তারা শুরু করত। আমাদের অবস্থান শক্ত ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আগাগোড়াই বলে আসছি, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সেটা তারা লুকিয়ে রাখতে পারেনি, জাতি আজ সেটা দেখল। জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়, তা লুকিয়ে রাখতে পারেনি। তারা বিদেশিদের দিয়ে বাংলাদেশের ওপর স্যাংশন দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু দেশের মানুষ তাদের অতীত কার্যকলাপের কারণে বিএনপির ওপর স্যাংশন দিয়েছে, তা আর প্রত্যাহার করবে না। তারা আজ যেটা ঘটিয়েছে, এটাই তাদের আসল চরিত্র। তবে দেশের মানুষের শান্তি রক্ষায় সরকার যা যা করার দরকার করবে। এসব কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সেটা সরকার জানে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও খুবই শক্তিশালী।

আওয়ামী লীগের সভায় শনিবারের ঘটনা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীতে তারা (বিএনপি) মোট সাতটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করেছে। ধোলাইখাল মোড়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফাকে মারধর করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগ কর্মী মুহিবুর রহমান নয়নের ওপর হামলা করে কবজি কেটে নিয়েছে।

এসব ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (৩০ জুলাই) সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সব উপজেলা ও থানায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনও একই কর্মসূচি পালন করবে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধাকরা আরও জানান, গত কয়েক মাস ধরে বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দিয়ে আসার কারণ ফাঁকা মাঠ পেলেই বিএনপি বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। এ কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারাকর্মীরা মাঠে থাকছে। বিএনপির উদ্দেশ্য এখন সরকার হটানো। এ জন্য দলটি সন্ত্রাস করে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। তারা ২০১৩, ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। ওই সময় দলটি নির্বাচন বর্জন করে দেশে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, জ্বালাও, পোড়াও, সহিংসতা চালায়। আবারও সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে সরকার উৎখাত করতে চাইছে। শনিবারের ঘটনা থেকে সেটাই বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি যেটা করেছে, সেটা সেই ২০১৩, ২০১৪ সালের ঘটনাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সেদিকেই তারা হাঁটছে এটা স্পষ্ট। তাদের সেই পুরোনো রূপই দেখা যাচ্ছে। দেশকে একটা অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে জিয়া, এরশাদের মতো সরকার আনতে চায়। নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি, এত আগে থেকে কোনো দল কি আন্দোলন ধরে রাখতে পারে। এটা আন্দোলন না, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করাই উদ্দেশ্য। এ অবস্থায় তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদেরও কর্মসূচি থাকবে, আমরা আক্রমণ করতে যাব না। কিন্তু গায়ে পড়ে আসলে তো ছাড় দেব না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী

রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে গড়ানোর আশঙ্কা

আপডেট সময় ১০:৪৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

ঢাকা: পাল্টাপাল্টি অবস্থান থেকে হঠাৎ করেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একেবারে মুখোমুখি অবস্থানে এসে পড়েছে।

শনিবার ঢাকায় ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা পরিস্থিতি সংঘাতের দিকেই চলে যাওয়ার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এ দিন বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। বাসে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সদস্যদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেছেন বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আগের সহিংস অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক দফা দাবি থেকে বিএনপির সরে আসার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এ দাবি আদায়ে দলটি একের পর এক টানা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন সরকারকে দায়িত্বে রেখেই নির্বাচন করতে অনড় রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান থেকে সরবে না দলটি। পাশাপাশি আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরিয়ে আনতেও দেবে না। এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে। আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা দিলে তা প্রতিহত করা হবে বলে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে বিএনপির কর্মসূচির দিন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগেরও কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় থাকার পূর্ব ঘোষণা রয়েছে। শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসুচি দেওয়ার পর আওয়ামী লীগও অনুরূপ কর্মসুচি দেয়। কিন্তু পুলিশ কোনো দলের কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ায় রাতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি রাস্তায় নামে এবং নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ এর আশাপাশে বেশ কিছু প্রবেশ পথে অবস্থা নিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের সদস্যরা আহত হয়েছেন। এ দিন কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ দিন আওয়ামী লীগও কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারতো বলে অনেকেই মনে করছেন।

এ ঘটনার পর সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা অভিযোগ করেছেন বিএনপি পরিকল্পতিভাবেই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ও আওয়ামী লীগ আরও শক্ত অবস্থানে যাবে বলে ওই নীতিনির্ধাকরা জানান।

শনিবার (২৯ জুলাই) এসব ঘটনার পর বিকেলে দলের জরুরি সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যা আশঙ্কা করেছি, তাই সত্যি হয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস, তারা এটাই চেয়েছিল। গতকালই তারা শুরু করত। আমাদের অবস্থান শক্ত ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আগাগোড়াই বলে আসছি, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সেটা তারা লুকিয়ে রাখতে পারেনি, জাতি আজ সেটা দেখল। জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়, তা লুকিয়ে রাখতে পারেনি। তারা বিদেশিদের দিয়ে বাংলাদেশের ওপর স্যাংশন দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু দেশের মানুষ তাদের অতীত কার্যকলাপের কারণে বিএনপির ওপর স্যাংশন দিয়েছে, তা আর প্রত্যাহার করবে না। তারা আজ যেটা ঘটিয়েছে, এটাই তাদের আসল চরিত্র। তবে দেশের মানুষের শান্তি রক্ষায় সরকার যা যা করার দরকার করবে। এসব কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সেটা সরকার জানে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও খুবই শক্তিশালী।

আওয়ামী লীগের সভায় শনিবারের ঘটনা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীতে তারা (বিএনপি) মোট সাতটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করেছে। ধোলাইখাল মোড়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফাকে মারধর করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগ কর্মী মুহিবুর রহমান নয়নের ওপর হামলা করে কবজি কেটে নিয়েছে।

এসব ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (৩০ জুলাই) সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সব উপজেলা ও থানায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনও একই কর্মসূচি পালন করবে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধাকরা আরও জানান, গত কয়েক মাস ধরে বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দিয়ে আসার কারণ ফাঁকা মাঠ পেলেই বিএনপি বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। এ কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারাকর্মীরা মাঠে থাকছে। বিএনপির উদ্দেশ্য এখন সরকার হটানো। এ জন্য দলটি সন্ত্রাস করে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। তারা ২০১৩, ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। ওই সময় দলটি নির্বাচন বর্জন করে দেশে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, জ্বালাও, পোড়াও, সহিংসতা চালায়। আবারও সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে সরকার উৎখাত করতে চাইছে। শনিবারের ঘটনা থেকে সেটাই বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি যেটা করেছে, সেটা সেই ২০১৩, ২০১৪ সালের ঘটনাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সেদিকেই তারা হাঁটছে এটা স্পষ্ট। তাদের সেই পুরোনো রূপই দেখা যাচ্ছে। দেশকে একটা অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে জিয়া, এরশাদের মতো সরকার আনতে চায়। নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি, এত আগে থেকে কোনো দল কি আন্দোলন ধরে রাখতে পারে। এটা আন্দোলন না, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করাই উদ্দেশ্য। এ অবস্থায় তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদেরও কর্মসূচি থাকবে, আমরা আক্রমণ করতে যাব না। কিন্তু গায়ে পড়ে আসলে তো ছাড় দেব না।