শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস রানা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আমান উল্লাহ আমানকে দেখতে যাচ্ছে।
পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেলা ১১টার দিকে গাবতলীতে আমানের নেতৃত্বে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান আমান উল্লাহ আমান। তখন পুলিশের এক কর্মকর্তা আমানকে নেতাকর্মী নিয়ে সেখান থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলেন। অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি নেই বলে জানান তিনি।
একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চারপাশ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলে। তখনই দুই দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশের সঙ্গে যাওয়ার সময় রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন আমান। প্রায় দু-তিন মিনিট তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছিলেন। তখন পুলিশ তাকে সেখান থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে শেরে বাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগও। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচি পালনে অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো এসএমএসে ডিএমপি কমিশনারকে উদ্ধৃত করে একথা জানানো হয়।
এরপর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি থেকে সরে এসে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই সড়কে অবস্থানের চেষ্টা করে বিএনপি। লাটিসোঁটা হাতে সড়কে নামেন তারা।