ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির বাংলাদেশ ব্যাংকে বিক্ষোভ, দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ দাবি ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ মহোদয়ের উপস্থিতিতে নরসিংদী জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত। জয়পুরহাটে মা-ছেলের একসঙ্গে গ্রাজুয়েশন বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কেএনএ’র গোপন আস্তানায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর কমিটি পাঁচবিবি বহুমূখী সমবায় সমিতির নির্বাচনে সাংবাদিক সজল কুমার দাসের মনোনয়ন পত্র উত্তোলন অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল

আলোচনার আশ্বাসে রেললাইন থেকে সরলেন অবরোধকারীরা

ঢাকা: প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর রেললাইন থেকে সরলেন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন কর্মচারী নিয়োগের প্রতিবাদে রেললাইনে অবস্থান নেওয়া রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। কর্মকর্তাদের আলোচনার আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কারওয়ান বাজার সংলগ্ন এফডিসি রেলক্রসিং থেকে অবরোধ তুলে রেল ভবনের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা দেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন ও তেজগাঁও জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুককে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হেঁটে রেল ভবনের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।

এর আগে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করতে গিয়ে জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল জুন মাসের পরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লেবার নিয়োগ করব। সেই আউটসোর্সিং কোম্পানির জন্য টেন্ডার ডকুমেন্টে আমরা শর্ত দিয়ে দিয়েছি, আমরা অভিজ্ঞ লোক চাই। আপনারা যারা এখানে আন্দোলন করছেন তাদের আমরা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দেব। আমরা আউটসোর্সিং কোম্পানিকে বলব যেন আপনাদের তারা নিয়োগ দেয়। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আমরা আপনাদের রেলওয়েতে নিয়োগ দেবো— এটা আমাদের ইচ্ছা ও বাসনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করব, আপনারা ট্রেন আটকে দিয়ে মানুষকে হয়রানি করছেন, সেখান থেকে আপনারা সরে আসবেন। আমরা আইনের ভেতর থেকে আপনাদের সর্বোত্তম সহযোগিতা করব।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুক বলেন, আপনাদের (আন্দোলনকারী) সঙ্গে কথা বলতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জিএম এখানে এসেছেন। তিনি বলেছেন, রেলের আউটসোর্সিং নিয়োগের সময় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি আগে যারা অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন তাদেরও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের অফিসে বসে করতে হবে। এটা রেললাইনে বসে করার বিষয় নয়।

তিনি আরও বলেন, আজকে আপনারা যে সকাল থেকে রেললাইনটা বন্ধ করে রেখেছেন, এখানে একজন মুমুর্ষ রোগী থাকতে পারে, একজন চাকরিজীবী থাকতে পারে। মানুষের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমরা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাদের বসতে দেব। এরপর আমাদের যেকোনোভাবেই হোক আপনাদের সরাতে হবে। তাই এখানে আন্দোলন না করে, আপনারা আলোচনা করুন।

এরপর আন্দোলনকারীরা রেললাইন ধরে হেঁটে রেল ভবনের উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সকাল ১০টার দিকে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে ওই রেলক্রসিং অবরোধ করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি সকাল ১০টা ৫ মিনিটে এফডিসি ক্রসিংয়ে আটকে রাখা যায়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টায়ও আন্দোলনকারীরা না সরলে ট্রেনটি কমরাপুর স্টেশনে ফেরত যেতে বাধ্য হয়।

আন্দোলনরত রেল শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো—বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করা এবং নিয়োগবিধি-২০২০ সংশোধন করে আগের মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাস বহাল রাখা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির

আলোচনার আশ্বাসে রেললাইন থেকে সরলেন অবরোধকারীরা

আপডেট সময় ০৪:৫৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

ঢাকা: প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর রেললাইন থেকে সরলেন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন কর্মচারী নিয়োগের প্রতিবাদে রেললাইনে অবস্থান নেওয়া রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। কর্মকর্তাদের আলোচনার আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কারওয়ান বাজার সংলগ্ন এফডিসি রেলক্রসিং থেকে অবরোধ তুলে রেল ভবনের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা দেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন ও তেজগাঁও জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুককে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হেঁটে রেল ভবনের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।

এর আগে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করতে গিয়ে জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল জুন মাসের পরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লেবার নিয়োগ করব। সেই আউটসোর্সিং কোম্পানির জন্য টেন্ডার ডকুমেন্টে আমরা শর্ত দিয়ে দিয়েছি, আমরা অভিজ্ঞ লোক চাই। আপনারা যারা এখানে আন্দোলন করছেন তাদের আমরা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দেব। আমরা আউটসোর্সিং কোম্পানিকে বলব যেন আপনাদের তারা নিয়োগ দেয়। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আমরা আপনাদের রেলওয়েতে নিয়োগ দেবো— এটা আমাদের ইচ্ছা ও বাসনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করব, আপনারা ট্রেন আটকে দিয়ে মানুষকে হয়রানি করছেন, সেখান থেকে আপনারা সরে আসবেন। আমরা আইনের ভেতর থেকে আপনাদের সর্বোত্তম সহযোগিতা করব।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুক বলেন, আপনাদের (আন্দোলনকারী) সঙ্গে কথা বলতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জিএম এখানে এসেছেন। তিনি বলেছেন, রেলের আউটসোর্সিং নিয়োগের সময় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি আগে যারা অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন তাদেরও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের অফিসে বসে করতে হবে। এটা রেললাইনে বসে করার বিষয় নয়।

তিনি আরও বলেন, আজকে আপনারা যে সকাল থেকে রেললাইনটা বন্ধ করে রেখেছেন, এখানে একজন মুমুর্ষ রোগী থাকতে পারে, একজন চাকরিজীবী থাকতে পারে। মানুষের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমরা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাদের বসতে দেব। এরপর আমাদের যেকোনোভাবেই হোক আপনাদের সরাতে হবে। তাই এখানে আন্দোলন না করে, আপনারা আলোচনা করুন।

এরপর আন্দোলনকারীরা রেললাইন ধরে হেঁটে রেল ভবনের উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সকাল ১০টার দিকে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে ওই রেলক্রসিং অবরোধ করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি সকাল ১০টা ৫ মিনিটে এফডিসি ক্রসিংয়ে আটকে রাখা যায়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টায়ও আন্দোলনকারীরা না সরলে ট্রেনটি কমরাপুর স্টেশনে ফেরত যেতে বাধ্য হয়।

আন্দোলনরত রেল শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো—বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করা এবং নিয়োগবিধি-২০২০ সংশোধন করে আগের মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাস বহাল রাখা।