সাদা পোশাকে বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাকিব আল হাসান। তবে সদ্য শেষ হওয়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ডান হাতের আঙুলের ইনজুরিতে পড়ে অন্তত পাঁচ-ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
ঘরের মাঠে আগামী মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে টাইগাররা। সফরের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১৪ জুন মাঠে গড়াবে। এই ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব না থাকায় নেতৃত্বে কে আসবেন, তা নিয়েই এখন চলছে আলোচনা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এ নিয়ে ভাবনায় পড়েছে।
গুঞ্জন রয়েছে, সহ-অধিনায়ক লিটন দাসকে টেস্টে সাকিবের পরিবর্তে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আর লিটন সেই প্রস্তাবে অনীহা জানিয়েছিলেন। তবে এবার সেই সিদ্ধান্তে বদল এনেছেন উইকেট-রক্ষক এ ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত যদি লিটন দায়িত্ব না নেয়, তাহলে দায়িত্ব পেতে পারেন স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। একমাত্র টেস্টে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে আছেন টপ-অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তও। তবে এই তিনজনের মধ্যে যে কাউকেই এই দায়িত্বে দেখা যেতে পারে। ফলে তাদের কেউ নেতৃত্বে আসলে, সেটি হবে জাতীয় দলের হয়ে সাদা পোশাকে তাদের নেতৃত্বের অভিষেক।
‘হোম অফ ক্রিকেট’ মিরপুরের আকাশে-বাতাসে গুঞ্জন, লিটন অধিনায়ক হতে সম্মতি দিয়েছেন। তাই আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে দেশসেরা এ স্টাইলিশ ব্যাটারকেই টেস্টের নতুন অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে পারে। টাইগারদের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনও গণমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন।
বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানও এ প্রসঙ্গে কথা বলছেন। তার ভাষ্যমতে, এটা ডিপেন্ড করছে বর্তমান ক্যাপ্টেন, সিলেক্টর ও কোচদের ওপর।
তার (আকরাম) দাবি, এটা তো পুরোপুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত। বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে, কে ক্যাপ্টেন হবে না হবে। এখন এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। ওরা (শান্ত-লিটন) তো ফিউচার প্লেয়ার। ওদেরকে পিক করার কিছু সময় তাদের ক্যাপ্টেন্সি গুণও দেখা হয়। এগুলো ওদের মধ্যে আছে।
তিনি আরও যোগ করেন, আপনার প্রায় ৫ থেকে ৬ জন প্রার্থী আছে। এটা ডিপেন্ড করছে; বর্তমান ক্যাপ্টেন, সিলেক্টর ও কোচদের ওপর। ওরা মিলে সিদ্ধান্ত নিবে। সাবেক-বর্তমান ৫ থেকে ৬ জন ক্যাপ্টেন আছে। যাকে পছন্দ হবে তাকেই নেবে।
এদিকে রশিদ খানদের বিপক্ষে সাদা পোশাকের না থাকলেও, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে পেতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ৫, ৮ ও ১১ জুলাই দু’দলের মধ্যকার তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এরপর ১৪ ও ১৬ জুলাই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে।