আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সরাসরি অংশগ্রহণ চূড়ান্ত হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে পরাশক্তি দলটির বিশ্বকাপে খেলবে, এটি অনেকটাই অনুমেয়। সরাসরি খেলার জন্য প্রোটিয়াদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড সিরিজের দিকে। তিন ম্যাচ সিরিজের সবকটিতে জিতলে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে আইরিশরা। অন্যথায় তাদের বদলে ওঠে যাবে প্রোটিয়ারা। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর নির্ভর আফ্রিকা কিছুটা এগিয়েই থাকবে। তবে প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখতে চায় না দলটি। বিশ্বকাপের আগের মাসেই তারা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।
ভারতের মাটিতে অক্টোবরে বসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। চলতি আইপিএল শেষ হলেই ভেন্যু ও চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করবে বিসিসিআই। তার আগেই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ৮টি সীমিত ওভারের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে স্বাগত জানাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে দল দুটি মুখোমুখি হবে তিনটি টি-টোয়েন্টিতে।
অস্ট্রেলিয়া অনেক আগেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে গতকাল রাত পর্যন্ত তারা ছিল শীর্ষে। এর পরের অবস্থানে ছিল ভারত। কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে টানা চার ম্যাচে হারিয়ে ওয়ানডের শীর্ষস্থান দখল করেছে পাকিস্তান। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের অবনতি হয়েছে।
এই দুই সিরিজ দিয়েই ঘরের মাঠে নিজেদের ২০২৩-২৪ ক্রিকেট মৌসুম শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে। আগামী ৩০ আগস্ট শুরু হবে অজিদের বিপক্ষে তাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। তিনটি ম্যাচই হবে ডারবানে। এরপর ওয়ানডে খেলতে দু’দল ব্লুমফন্টেইনে চলে যাবে। ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর হবে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ। পরে পচেফস্ট্রুম, সেঞ্চুরিয়ন ও জোহানেসবার্গে শেষ তিন ম্যাচ যথাক্রমে ১২, ১৫ ও ১৭ সেপ্টেম্বর।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার এই সফর মূলত ২০২১ সালে কোভিড-১৯ এর কারণে বাতিল হওয়া টেস্ট সিরিজের পরিপূরক। যদিও এবার কোনো টেস্ট খেলবে না তারা। যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দুই দলের টেস্ট সিরিজ আবার হবে আট বছর পর, ২০২৬ সালে।
সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দু’দলের সবশেষ পাঁচ ম্যাচ সিরিজ হয়েছে ২০১৬ সালে। সেটিতেও অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল প্রোটিয়ারা।