ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ অপরিহার্য’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বাবলম্বনের ভিত্তি কৃষি। এ দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রসরতার জন্য আমাদের শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ জরুরি। কারণ, কৃষির উন্নতি হলে তা শহর ও গ্রামীণ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

শুক্রবার (৫ মে) বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর ও গ্রামীণ উন্নয়ন : প্রাক বাজেট বিশ্লেষণ ২০২৩-২৪’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে সরকারের বিভিন্ন সহায়তা ও সুফলকে কাজে লাগিয়ে দেশের অনেক শিক্ষিত বেকার আজ স্বাবলম্বী, প্রতিষ্ঠিত ও সফল। এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বেকারত্ব দূর করতে চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষিতে ভর্তুকি বিনিয়োগও বটে তবে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে আহরিত টাকাই ভর্তুকি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষকই যেন সে ভুর্তকির সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় মন্ত্রী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ ও কৃষি পণ্য বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ করে বলেন, কৃষি শুধু আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সাহায্য করছে তাই নয়, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় আমাদের অপেক্ষাকৃত ক্ষতি কম হয়েছে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের আধুনিক ও লাগসই কৃষি ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ছে, শস্য নিবিড়তা বাড়ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ অপরিহার্য’

আপডেট সময় ১২:২৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বাবলম্বনের ভিত্তি কৃষি। এ দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রসরতার জন্য আমাদের শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ জরুরি। কারণ, কৃষির উন্নতি হলে তা শহর ও গ্রামীণ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

শুক্রবার (৫ মে) বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর ও গ্রামীণ উন্নয়ন : প্রাক বাজেট বিশ্লেষণ ২০২৩-২৪’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে সরকারের বিভিন্ন সহায়তা ও সুফলকে কাজে লাগিয়ে দেশের অনেক শিক্ষিত বেকার আজ স্বাবলম্বী, প্রতিষ্ঠিত ও সফল। এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বেকারত্ব দূর করতে চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষিতে ভর্তুকি বিনিয়োগও বটে তবে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে আহরিত টাকাই ভর্তুকি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষকই যেন সে ভুর্তকির সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় মন্ত্রী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ ও কৃষি পণ্য বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ করে বলেন, কৃষি শুধু আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সাহায্য করছে তাই নয়, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় আমাদের অপেক্ষাকৃত ক্ষতি কম হয়েছে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের আধুনিক ও লাগসই কৃষি ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ছে, শস্য নিবিড়তা বাড়ছে বলেও জানান মন্ত্রী।