মৌসুম জুড়ে ছন্দহীন চেলসি নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। আর সেখানে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনাল তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে ছুটছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড়ে। তাদের কাছ থেকে তাই নিজেদের জন্য শিক্ষণীয় অনেক কিছু দেখছেন চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তিনি মনে করেন, ক্লাবের পুনর্গঠনের মিকেল আর্তেতার দলকে অনুসরণ করতে পারেন তারা।
মৌসুমের শুরু থেকে লিগে ভুগতে থাকা চেলসি এখন আছে দ্বাদশ স্থানে। ব্যর্থতার দায়ে এই মৌসুমেই ছাঁটাই হয়েছেন দুই কোচ টমাস টুখেল ও গ্রাহাম পটার। এখন অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বে আছেন ল্যাম্পার্ড। কিন্তু আলোর দেখা নেই। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া চেলসির সামনে শঙ্কা লিগে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের পর সবচেয়ে খারাপ ফলাফলের। সেবার তারা ১৪তম হয়েছিল।
চেলসির পরবর্তী ম্যাচ মঙ্গলবার, লিগে দুইয়ে থাকা আর্সেনালের বিপক্ষে। এমিরেটস স্টেডিয়ামের যে দল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ২০১৬ থেকে ২০২২ সালে টানা ছয় মৌসুমে শীর্ষ চারে জায়গা করতে পারেনি।
তবে এই মৌসুমে দারুণ ফুটবল খেলে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে জমজমাট শিরোপা লড়াইয়ে আছে আর্সেনাল। আর্সেনালের (৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট) চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে সবার ওপরে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
আর্তেতার হাত ধরে আর্সেনালের এই বদলে যাওয়া ল্যাম্পার্ডের কাছে দারুণ অনুপ্রেরণার। দলটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এই ইংলিশ বললেন, সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারলে তারাও একইভাবে শীর্ষ পর্যায়ে যেতে পারবেন।
“লক্ষ্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া পাড়ি দিতে হয়। (মৌসুমে) শুরুর দিকে মিকেলের (আর্তেতার আর্সেনালের) বিপক্ষে খেলার কথা মনে পড়ছে আমার।”
“তারা রক্ষণে কখনও পাঁচজন, কখনও আবার চারজন খেলিয়েছে; এখন তাদের স্পষ্ট একটা ধারণা রয়েছে। এই দলকে নিয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে। আমাদের পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব? হ্যাঁ। এটা কি সময় সাপেক্ষ হবে এবং ভালো সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে? অবশ্যই হ্যাঁ। কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।”