শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাঞ্জাবের দরকার ছিল ৯ রান, শেষ বলে ৩। নখ কামড়ানো উত্তেজনা ম্যাচে চেন্নাইয়ে স্বাগতিক দর্শকদের হতাশ করেছেন সিকান্দার রাজা। শেষ বলে ৩ রান তুলে পাঞ্জাবের এই দারুণ জয়ের নায়ক জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। অথচ শেষ বল নাকি খেলতেই চাননি রাজা!
রোববার (৩০ এপ্রিল) চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে শেষ বলের আগে হঠাৎ দেখা যায়, আম্পায়ারের কাছে গিয়ে কিছু একটা বলছেন ব্যাটিং প্রান্তে থাকা সিকান্দার রাজা। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি ওঠে যেতে চাইছেন। যদিও তার আবেদন কানে তোলেননি আম্পায়ার। ফলে আবার ব্যাট করতে যান তিনি।
সেই বল ফাইন লেগ অঞ্চলে মারেন সিকন্দর। বল বাউন্ডারি পার না হলেও দৌড়ে ৩ রান নিয়ে নেন দুই ব্যাটার। ম্যাচ জেতে পাঞ্জাব। দলকে জেতানোর পর মাঠে নেমে অন্য ক্রিকেটাররা রাজাকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করেন।
কিন্তু শেষ বলের আগে কী এমন ঘটেছিল যে ওঠে যেতে চেয়েছিলেন রাজা? অবশ্য ম্যাচ শেষে নিজেই জানালেন কারণ। বলেন, ‘আমি দেখছিলাম সাজঘর থেকে অনেকে হাত নেড়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে। আমার মনে হয়েছিল, আমাদের মধ্যে একজন ব্যাটারকে তুলে নতুন ব্যাটারকে নামাতে চাইছে ওরা। সেটাই আম্পায়ারকে গিয়ে বলি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরাই ম্যাচ শেষ করি।’
এদিন ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে চেন্নাই। ডেভন কনওয়ে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু সেই রান তাড়া করে জিতে যায় পাঞ্জাব। যদিও কোনো ব্যাটারই বড় রান পাননি। দলগত প্রচেষ্টায় অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরল পাঞ্জাব।
পাঞ্জাবের হয়ে প্রভসিমরান সিং ২৪ বলে ৪২ রান করে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন। তবে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ১৫ বলে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ককে হারালেও পাঞ্জাবকে ম্যাচে খুব ভালোভাবেই রেখেছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৪ ছক্কায় ২৪ বলে ৪০ রান করে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে রাখেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জাতীয় দলে তার সতীর্থ স্যাম কারেন। তিনি করেন ২০ বলে ২৯ করেন।
শেষ দিকে জিতেশ শর্মা আর সিকান্দার রাজার ছোট ছোট দুটি কার্যকর ইনিংসেই চেন্নাইয়ের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় পাঞ্জাব। জিতেশ শর্মা করেন ১০ বলে ২১ রান। সিকান্দার রাজা শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৭ বলে ১৩ করে পাঞ্জাবকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন।