রোববারের রাতটা ভুলে থাকতেই চাইবেন মেসি-এমবাপেরা। ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা লঁরিয়ার বিপক্ষে ৩-১ গোলের হার। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের দুয়োধ্বনি কিংবা ম্যাচের মাত্র ২০ মিনিটে লাল কার্ড দেখে আশরাফ হাকিমির মাঠ ছেড়ে যাওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সবশেষ ৬ ম্যাচের ৩টিতেই হেরেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
‘এই ভালো এই খারাপ’-লাইনটা পিএসজির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যায় অনায়াসেই। এক ম্যাচ জিতলে পরের ম্যাচেই হোঁচট খাচ্ছে প্যারিস জায়ান্টসরা। সর্বশেষ গতকাল রাতে নিজেদের মাঠে যেন ভিন্ন এক পিএসজিরই দেখা মিলল। পুরো ম্যাচেই পারফর্মই করতে পারেননি মেসি-এমবাপেরা।
অবশ্য এদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো পিএসজি। ম্যাচের একাদশ মিনিটে চমৎকার পাসে ডি বক্সে এমবাপেকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মেসি। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। এর দুই মিনিট পর আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয়। প্যারিস জায়ান্টসদের সুযোগ মিসের মহড়ায় পঞ্চদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
গোল হজম করার মিনিট পাঁচেক পর ঘরের মাঠে বড় ধাক্কা খায় পিএসজি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আশরাফ হাকিমি। এরপর অবশ্য ম্যাচে সমতায় ফেরে পিএসজি। ম্যাচের শুরুতে সুযোগ মিস করলেও ২৯তম মিনিটে তার গোলেই সমতায় ফেরে গালটিয়ের শিষ্যরা। ফরাসি এই ফরোয়ার্ডকে একজন ফেলে দিলেও ফাউলের বাঁশি বাজাননি রেফারি। গোলরক্ষক হয়তো সেটা লক্ষ্য করেননি, তিনি বল ছুড়ে দেন একটু সামনেই। সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে গিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন এমবাপে! তুমুল প্রতিবাদ জানান লরিয়ঁর খেলোয়াড়রা কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।
তবে প্রথম হাফের আগেই আবারও লিড নেয় লরিয়েন্ট। দ্বিতীয় হাফে আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয় পিএসজি। তবে লরিয়েন্টের ডিফেন্স ভাঙতে পারেন না এমবাপ্পে-মেসিরা। উল্টো ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল খেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে পিএসজি। আহমাদউ বাম্বা দিয়েং লরিয়েন্টের নিশ্চিত জয়ের গোলটি করেন।
ম্যাচ শেষে যখন মেসিরা নিজেদের ডাগআউটে যাচ্ছিলেন তখন দুয়ো দিতে থাকে পিএসজির সমর্থকরা। হয়তো এমন হার মানতে পারেনি তারা। কারণ, শিরোপা জয়ের অনেক কাছেই রয়েছে তারা।
২০২৩ সালে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৯ ম্যাচে হারল পিএসজি। তবে এই ম্যাচে হারলেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে পিএসজি। ৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট মেসি-এমবাপেদের। আর দুইয়ে থাকা মার্সেই’র পয়েন্ট ৬৭।