আগামী জুনে ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এবারই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সাফ। দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্টে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াকে। এই দুই দেশই সাফে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তাদের অপারগতা প্রকাশ করেছে।
৩০ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি ও মালয়েশিয়ার অবস্থান জানানোর কথা থাকলেও এর আগেই সাফকে তারা অবহিত করেছে। আট দলের টুর্নামেন্ট করতে সাফ ইতোমধ্যে আরো বেশ কয়েকটি দেশ আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম জর্ডান, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েতসহ আরো কয়েকটি। এদেরকে ৩ মে’র মধ্যে তাদের অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে সাফের পক্ষ থেকে।
দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দল পাওয়া তুলনামূলক কঠিন হওয়ার কারণ সম্পর্কে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘আমাদের টুর্নামেন্টটি ফিফা ক্যালেন্ডারের বাইরে পড়েছে। এজন্য অনেক দেশের খেলোয়াড়রা ক্লাব থেকে রিলিজ হতে পারবে না। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার ঘরোয়া লিগই রয়েছে। সৌদি,মালয়েশিয়া আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে না করেছে। আমরা অন্য দেশগুলোর অপেক্ষায় থাকব ৩ মে পর্যন্ত’।
১২-২০ জুন ফিফা উইন্ডো। সাফ এই সময়েই টুর্নামেন্ট করতে চেয়েছিল। টুর্নামেন্ট পেছানোর কারণ সম্পর্কে সাফ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ফিফা উইন্ডোতেই সূচি রেখেছিলাম। ভারতের আবার সেই সময় অন্য খেলা রয়েছে। তাদের অনুরোধে ও অন্য দেশগুলোর সম্মতিতেই ফিফা উইন্ডোর বাইরে টুর্নামেন্ট হচ্ছে।’ সাফের বাইরে দলকে আমন্ত্রণের ধারণা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনই সাফকে দিয়েছে।
৩ মের মধ্যে একটি দেশ থেকে সম্মতি পেলে সাত দল নিয়েই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা, ‘একটি দল পেলে তখন সাত দল নিয়েই হবে। আর না পেলে তো ছয় দল নিয়েই করতে হবে’-বলেন সাফ সম্পাদক।
দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা ফিফার নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাফের বাইরে দু’টি দেশ আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সাফ। শেষ পর্যন্ত কয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হয় সেটার জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।