অনেকটা আকস্মিকভাবে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়েন। সোহাগের দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার পরপরই আলোচনা তৈরি হয় কে হচ্ছেন বাফুফের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হবেন তা নিয়ে। আজ বিকেলে অনুষ্ঠিত সভায় এর উত্তর মিলবে।
তবে ফুটবলাঙ্গন ও ফুটবল ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বেশ ভালোই আলোচনা চলছে। এই আলোচনার মধ্যে কয়েকটি নাম ঘুরে ফিরে আসছে। বর্তমানে বাফুফে প্রশাসনে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে থেকেই একজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রটোকল বিভাগের প্রধান ইমরান হোসেন তুষারের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। ইমরানের সঙ্গে এ দৌড়ে রয়েছেন কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী, হেড অফ ফিন্যান্স আবু হোসেন ও গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদ।
বাফুফে প্রশাসনে যারা কাজ করছেন সবাই সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের ঘনিষ্ঠজন। ফিফার ৫১ পাতার রিপোর্টে সোহাগের ওপর আনীত অপরাধের সঙ্গে অনেকের নামই সহযোগী হিসেবে এসেছে। বাফুফেতে কর্মরতদের মধ্যে থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত নিয়োগ দেওয়া নিয়ে ফেডারেশনের এক পক্ষের মৌন অসম্মতি রয়েছে।
বর্তমানে বাফুফে প্রশাসনে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে থেকেই একজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রটোকল বিভাগের প্রধান ইমরান হোসেন তুষারের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। ইমরানের সঙ্গে এ দৌড়ে রয়েছেন কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী, হেড অফ ফিন্যান্স আবু হোসেন ও গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদ।
নির্বাহী কমিটির কয়েকজন কর্মকর্তাদের আবার সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর খানিকটা আগ্রহ রয়েছে। নির্বাহী কমিটির কাউকে অবৈতনিক বা সম্মানসূচকভাবে এই পদে বসানোরও হালকা সুর হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ফুটবল ফেডারেশনে অনেক ব্যস্ততা। নির্বাচিত কর্মকর্তা তার ব্যস্ততার মধ্যে দৈনন্দিন এত সময় দিতে পারবে কি না এই নিয়েও সংশয় রয়েছে।
সব সংশয় ও সম্ভাবনার ফলাফল মিলবে বিকেলে সভার পর। সহ-সভাপতিদের জন্য শনিবারের সভা সোমবার করলেও দুই সহ-সভাপতি সশরীরে থাকতে পারছেন না। কাজী নাবিল আহমেদ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাজে লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং আরেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী থাকবেন। কমিটির আরো অনেকে সশরীরে থাকতে না পারলেও জুমে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ২০০৮ সালের আগে সাধারণ সম্পাদকই মূলত পরিচালনা করতেন। নির্বাচিত/মনোনীত ক্রীড়া সংগঠকরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৮ সালের গঠনতন্ত্রে সভাপতিকে সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং ফেডারেশনের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের জন্য বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের বিধান হয়। ২০০৯ সালে প্রথম পেশাদার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পান আল মুসাব্বির সাদী পামেল। তার মৃত্যুর পর ২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ পান আবু নাইম সোহাগ। ২০১৩ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।