কাগজে-কলমে আয়ারল্যান্ড দল তেমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নয়। অবশ্য সাদা বল রেখে লাল বলের ক্রিকেটে তো তারা আরও দুর্বল। কেননা এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ড দল খেলেছে মোটে ৪টি টেস্ট। তবে দলটির অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি অবশ্য সাদা পোশাকে নিজেদের ভালো করার উপায় জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ঢাকা টেস্ট হারলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি এই আইরিশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশের মাটিতে একমাত্র টেস্টে সফরকারীরা ৭ উইকেটে হেরে গেছে। অবশ্য ম্যাচ চতুর্থ দিনে গড়ানোর মূল কৃতীত্বও আইরিশ ব্যাটারদের। চার বছর পর টেস্ট খেলতে নেমেও তারা বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত সেই টেস্ট প্রসঙ্গে বালবার্নি বলছেন, ‘দ্বিতীয় দিনের পর কী রকম সেশন যাবে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। কারণ আমরা অনেক দিন টেস্ট ক্রিকেট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলিনি। শেষ ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশকে জয়ের জন্য কিছু রানের লক্ষ্য দিতে পারায় আমি সন্তষ্ট।’
দ্বিতীয় দিনের পর কী রকম সেশন যাবে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। কারণ আমরা অনেক দিন টেস্ট ক্রিকেট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলিনি। শেষ ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশকে জয়ের জন্য কিছু রানের লক্ষ্য দিতে পারায় আমি সন্তষ্ট।
তবে আইরিশ অধিনায়কের চিন্তাজুড়ে ছিল বাংলাদেশ দলের স্পিন আক্রমণ। কেননা মিরপুরের উইকেট স্পিনারদের জন্য সহায়ক থাকে। তবে ম্যাচের চতুর্থ দিনেও মিরপুরের পিচ ছিল ফ্ল্যাট। সেটি উল্লেখ করে আইরিশ অধিনায়কের মন্তব্য, ‘আমরা স্পিন নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম, তবে এই পিচ ফ্ল্যাট ছিল। এখানে সাধারণত ফ্ল্যাট থাকে না, তবুও ম্যাচের শেষ বিকেলেও একই রকম ছিল। সকালটা ভালো হলে আমরা জিততেও পারতাম!’
এরপর টেস্টে নিজেদের ভালো করা উপায় জানালেন বালবার্নি, ‘ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে আরো ভালো ক্রিকেট খেলা নিশ্চিত করতে হবে, আশা করি আমরা এটা করতে পারবো। আমরা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করেছি। তবে একইসঙ্গে আমাদের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ভালো স্ট্রাকচার নিশ্চিত করতে হবে। এই ম্যাচেই আমাদের অনেকের অভিষেক হয়েছে। তাই আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে ভালো করার উপায়।’
ম্যাচের চতুর্থ দিনেও মিরপুরের পিচ ছিল ফ্ল্যাট। সেটি উল্লেখ করে আইরিশ অধিনায়কের মন্তব্য, ‘আমরা স্পিন নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম, তবে এই পিচ ফ্ল্যাট ছিল। এখানে সাধারণত ফ্ল্যাট থাকে না, তবুও ম্যাচের শেষ বিকেলেও এটি একই রকম ছিল। সকালটা ভালো হলে আমরা জিততেও পারতাম!’
তিনি আরও বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য লাল বলের ক্রিকেটে আরো বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। যদিও এটা কঠিন। আপনাকে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলার মধ্যে থাকতে হবে। আরও মনোযোগ দিতে হবে এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ থাকে। সেই সুযোগ টেস্টে নেই। তবে আমাদের ছেলেরা টেস্ট খেলা উপভোগ করছে। আমাদের লাল বলের ক্রিকেটে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলেও, টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এখনও নতুন।’
সদ্য সমাপ্ত এই পূর্ণাঙ্গ সিরিজে প্রথমে ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনটি ম্যাচ খেলে দু’দল। সেসব ম্যাচে তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি সফরকারী আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টি আইনে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচ বাদে বাকি দুটিতেই তারা বড় ব্যবধানে হারে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সেখানে প্রথম দুই ম্যাচ স্বাগতিক টাইগাররা জিতলেও, শেষ ম্যাচে দারুণভাবে জয় পায় আইরিশরা। এরপর ঢাকায় তারা চার বছর পর একমাত্র টেস্টে নামে।
লাল বলের ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে এই ডানহাতি ব্যাটার বলছেন, ‘আমরা সারাবিশ্বে সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি এমসিজি, গ্যাবার মতো মাঠে। এবার ৩৫ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিমের মতো ক্রিকেটারের বিপক্ষে খেললাম। সবমিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে আস্তে আস্তে।’
আমরা সারাবিশ্বে সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি এমসিজি, গ্যাবার মতো মাঠে। এবার ৩৫ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিমের মতো ক্রিকেটারের বিপক্ষে খেললাম। সবমিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে আস্তে আস্তে।
চলতি মাসেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও দুটি টেস্ট খেলবে আয়ারল্যান্ড। সেখানেও খেলা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বালবার্নি, ‘শ্রীলঙ্কায় এরচেয়ে সহজ হবে না, যে কারণেই এর নাম টেস্ট ক্রিকেট। এখানে চার দিনের প্রতিটি মিনিট আমরা উপভোগ করেছি। এই ম্যাচে আমরা দেখিয়েছি দলে ভালো কিছু ক্রিকেটার আছে। লাল বলে আরও খেলার সুযোগ পেলে এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেললে আমরা ভালো একটা টেস্ট দল হতে পারব।’