ডাগআউটে সব বড় বড় নাম। ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজা সৌরভ গাঙ্গুলী থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং কিংবা হাল আমলে ক্রিকেটকে গুডবাই বলা আরেক বিশ্বজয়ী শেন ওয়াটসন। কে নেই! দলকে অনুপ্রেরণা দিতে মাঠে চলে এসেছেন মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়া অধিনায়ক রিশভ পন্তও। তবুও কিছুতে কিছু হচ্ছে না যেন। চলতি আইপিএলে টানা হারের স্বাদ পেল দিল্লি ক্যাপিটালস।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের কাছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে দিল্লি। টানা হারের দিনে টানা জয় পেল হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাটের।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে দিল্লি। যদিও প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও একাদশে সুযোগ মেলেনি প্রাইভেট বিমানে উড়িয়ে নেওয়া টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের।
এদিন টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাট। শুরুটা ভাল হয়নি দিল্লির। শামির পেস সমস্যায় ফেলছিল ওয়ার্নারদের। শামির প্রথম বলই ওয়ার্নারের ব্যাটের পাশ দিয়ে উইকেট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু বেল পড়েনি বা আলো জ্বলেনি। তার ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যান ওয়ার্নার।
অধিনায়ককে ফেরাতে না পারলেও আরেক ওপেনার পৃথ্বী শকে ব্যক্তিগত ৭ রানের মাথায় আউট করেন শামি। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর মিচেল মার্শকে (৪) ফিরিয়ে দিল্লির বিপদ বাড়ান ভারতীয় তারকা এ পেসার।
পরপর ২ উইকেট হারানোর পর ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সরফরাজ খান। ওয়ার্নার ভালই খেলছিলেন। কিন্তু আলজারি জোসেফ বল করতে এসে এক ওভারে খেলার ছবি বদলে দিলেন। ৩৭ রানের মাথায় ওয়ার্নারকে আউট করলেন তিনি। পরের বলেই জোসেফের বাউন্সার বুঝতে না পেরে আউট হন রাইলি রুশো। গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া এ ব্যাটার।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল দিল্লি। শেষদিকে বিপদ বাড়ান রশিদ খান। বিপজ্জনক হওয়ার আগেই অভিষেক ও সরফরাজ খানকে সাজঘরে পাঠান আফগান লেগ কিংবদন্তি।
শেষ দিকে কয়েকটি বড় শট খেলে দিল্লির রান ১৫০ পার করেন অক্ষর পটেল। ৩৬ রান করে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে দিল্লি।
এদিকে রান তাড়া করতে নেমে গুজরাটের ইনিংস ভাল শুরু করেন ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম ওভারেই ১৪ রান করেন তিনি। কিন্তু এনরিখ নর্কিয়ার পেস বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান তিনি। আগের ম্যাচের নায়ক শুভমন গিল এই ম্যাচে রান পাননি। তিনিও ১৪ রান করে আউট হন। অধিনায়ক হার্দিক ৫ রান করে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় গুজরাট।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাই সুদর্শন ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলতে নামা বিজয় শঙ্কর। ধীরে ধীরে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিলেন দুই ভারতীয় ব্যাটার। ৫০ রানের জুটি বাঁধেন তারা। ঠিক যখন মনে হচ্ছে, এই দুই ব্যাটার গুজরাটকে জিতিয়ে দেবে তখনই মার্শের বলে ২৯ রান করে আউট হন শঙ্কর।
যদিও তাতে জিততে খুব একটা সমস্যা হয়নি গুজরাটের। সুদর্শনের সঙ্গে মিলে দলকে জয়ে নিয়ে যান ডেভিড মিলার। মুকেশ কুমারের এক ওভারে দু’টি ছক্কা ও একটি চার মেরে খেলা নিজেদের হাতে নিয়ে নেন মিলার। রান তাড়া করতে নেমে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন সুদর্শন। শেষ পর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যান হার্দিকরা। সুদর্শন ৬২ ও মিলার ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন।