কত চন্দ্রভুক অমাবস্যার পর এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। উৎসবে ভাসল একটা জনপদ। তিন যুগের আক্ষেপ ঘুচিয়ে মরুর বুকে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে ধরল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ জয়ের পর স্বপ্নের মতো সময় কাটছে আলবিসেলেস্তেদের। দেশে রাজকীয় বরণের পর এবার প্রীতি ম্যাচের আড়ালে মূলত আরেকবার চ্যাম্পিয়ন বরণ চলছে আর্জেন্টিনায়।
দিনকয়েক আগে পানামার বিপক্ষে ঘরের মাঠ বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্টালে খেলতে নেমেছিল মেসি-ডি মারিয়ারা। শিরোপাজয়ীদের দেখতে বিরল এক রেকর্ডই হয়েছে বলা চলে। প্রীতি ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করতে আগ্রহ দেখায় ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ। যার ভেতর ম্যাচটি কাভার করতে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের আবেদন করে লাখের বেশি সাংবাদিক। কাতারে বিশ্বকাপ জেতার পর প্রথমবারের মতো মাঠে নামে মেসিরা। সেটিও আবার নিজেদের চিরচেনা মাঠে। আর তাই আগ্রহ ছিল আকাশচুম্বী। মেসিরাও হতাশ করেনি আকাশী-সাদা সমর্থকদের। আর্জেন্টাইন মহাতারকার রেকর্ডময় গোলে অনায়াস জয় পায় তারা।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বিরতির দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আগামীকাল (বুধবার) ভোর সাড়ে ৫টায় মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। তবে এ ম্যাচের প্রতিপক্ষ যারা, তাদের নামও শোনেনি আগে অনেকে।
মেসিদের প্রতিপক্ষ অখ্যাত কুরাসাও
দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর ও ডাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দ্বীপদেশ কুরাসাওয়ের আয়তন মাত্র ২৭৬ বর্গমাইল। জনসংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার। অবশ্য কুরাসাওর ফুটবল ঐতিহ্য খুব সমৃদ্ধ না হলেও বেশ পুরনো। ১৯২৪ সালে ফুটবল শুরু দেশটিতে। আধুনিক ফুটবলে প্রবেশ করে ২০১১ সালে। ওই বছরই ফিফার পূর্ণ সদস্যপদ পায় কুরাসাও।
কুরাসাওয়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৭ সালে ক্যারিবিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে কনকাকাফ নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল কুরাসাও। মেসিদের এই প্রতিপক্ষ কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি।
তবে বাছাইপর্ব একদম খারাপ যায়নি তাদের। নিজ অঞ্চলে ৬ ম্যাচ খেলে ৩ জয়ের বিপরীতে ড্র করেছে ২টি, হার মাত্র ১ ম্যাচে। সবকিছুর পুরস্কারও পেয়েছে। আর্জেন্টিনার নজরে আসার চেয়েও বড় বিষয় ফিফা র্যাংকিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৮৬।
প্রীতি ম্যাচে ফলাফল নিয়ে তেমন প্রতিযোগিতা থাকে না। তবে দলটা যখন আর্জেন্টিনা, উত্তাপে কমতি নেই। আর প্রতিপক্ষ নিয়েও আগ্রহ কম নেই মানুষের। নিশ্চয়ই মেসিদের বিপক্ষে খেলতে নেমে ফলাফল ছাপিয়ে গর্বটাই বেশি হবে দ্বীপরাষ্ট্রটির ফুটবলারদের।