একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জনের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের রায় আজ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জনের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।
শুনানিতে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ফাঁসি বহাল রাখার জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন। ডেথ রেফারেন্সের শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি আদালতে বলেন, শুধু আসামি পক্ষই যে ন্যায় বিচার পাবে তা নয়, ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদেরও ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আরও শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও ফারজানা শম্পা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, পলাতক রাসেল ও রাজুর পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শুনানি করেন।
২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরার নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক আফতাব আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অপর আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন। পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ ফটোসাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে অনেক দুর্লভ ছবি তোলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।