কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে দিনের ভোট আগের রাতে কেটে নেওয়া হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় না।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। দলটির শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
‘কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না’— ওবায়দুল কাদেরে এই বক্তব্যের কড়া জবাব দেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারি দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতাদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থানের পার্থক্য আছে। তবে নির্বাচন এবং নির্বাচন পদ্ধতির স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বড় ধরনের অবিশ্বাস-অনাস্থা বা বিরোধীতা নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে একদিকে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে যেমন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে বিরোধীদের দমন করতে যেয়ে সরকার রাজনীতিতে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের সংস্কৃতির বিস্তার ঘটিয়ে চলেছে।
এই বামপন্থি নেতা বলেন, গত দুইটি তামাশার জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতার পর দেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের যে অবকাশ নেই, এটা এখন আর কোনো বিতর্কের বিষয় নয়।
সরকারকে জেদ ও অহমিকা পরিহার করে পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করে নির্বাচনকেন্দ্রীক সংকট উত্তরণে অর্থপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান সাইফুল হক।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, শ্রমিক সংহতির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও আবুল কালাম আজাদসহ আরও অনেকে।