গত ১৫ বছর ধরে ভারতীয় দলের হয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে যাচ্ছেন ‘হিটম্যান’ খ্যাত রোহিত শর্মা। ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে গত ১৬টি ইনিংসে একদিনের ফরম্যাটে তার ব্যাট থেকে তিন অংকের রান অধরা। তবুও রোহিত শর্মার সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন রাহুল দ্রাবিড়। বরং টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ককে সাদা বলের ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে আরও অনেক বছর ধরে দেখতে চান ‘দ্যা ওয়াল’।
২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে প্রথমবার ওপেনিং করেছিলেন রোহিত। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ২৩ রান করেছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেনার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তারপর সেই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওপেনার হিসেবে ‘হিটম্যান’-এর পারফরম্যান্স সবার জানা।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন দ্রাবিড়। সেখানে ওপেনার রোহিতের সাম্প্রতিক ফর্ম প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। রাহুল বলেন, ‘রোহিত গত কয়েক ইনিংসে শতরান করতে পারেনি বলে আমি একেবারেই চিন্তিত নই। ও একজন অসাধারণ ক্রিকেটার। সেটা সবার মনে রাখা উচিত। রোহিতের সঙ্গে প্রথমবার আলাপ হওয়ার সময় ওর বয়স ১৭-১৮ ছিল। তখন সবে ও অনূর্ধ্ব ১৯ বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলে এসেছে। আমি অনেক তরুণ প্রতিভা দেখেছি। তবে রোহিত সবার চেয়ে আলাদা ছিল। ও কত বড় ব্যাটার, সেটা বছরের পর বছর ধরে পরিশ্রম করে দেখিয়ে দিয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে রোহিত যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে সেটা অতুলনীয়।’
২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৫ ম্যাচে ১৭৭ রান করেছিলেন রোহিত। সঙ্গে ছিল ২টি অর্ধ শতরান। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে রোহিত আরও ভয়ংকর ফর্মে ছিলেন। সেবার ৯ ম্যাচে ৬৪৮ রান করে শীর্ষে ছিলেন ‘হিটম্যান’। গড় ৮১.০০। স্ট্রাইক রেট ৯৮.৩৩। সঙ্গে ছিল ৫টি শতরান ও ১টি অর্ধ শতরান।
সেই দুটি প্রতিযোগিতার কথা মনে করিয়ে দ্রাবিড় ফের বলেন, ‘আমার মতে ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওপেনিং করাই ছিল রোহিতের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট। এরপর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও রোহিতের ধারেকাছে কেউ ছিল না। আমার মনে হয় এই পারফরম্যান্সগুলোই রোহিতকে বাকিদের থেকে আলাদা করেছে।’
২৪০টি একদিনের ম্যাচে ৯৬৮১ রান করেছেন রোহিত। গড় ৪৮.৬৪। স্ট্রাইক রেট ৮৯.৬৬। সঙ্গে রয়েছে ২৯টি শতরান ও ৪৮টি অর্ধ শতরান। এমনকি ৫০ ওভারের ফরম্যাটে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ৩টি দ্বিশতরান করে নজির গড়েছেন রোহিত। তাই দ্রাবিড় দলের অধিনায়কের হয়ে যুক্তি উপস্থাপন করলেন।