শিক্ষা সহায়তা উপকরণ হিসেবে প্রিয় ল্যাপটপ ব্যাংক থেকে একটি ল্যাপটপ উপহার পেলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুব-অর রহমান। ল্যাপটপটি তার হাতে তুলে দেন প্রিয় সিইও জাকারিয়া স্বপন।
১৮ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে প্রিয়’র ধানমন্ডি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ল্যাপটপটি গ্রহণ করেন মাহবুব।
এ সময় অভিব্যক্তি প্রকাশ করে মাহবুব-অর রহমান জানান, ল্যাপটপটি তার পড়াশোনায় সহায়তা করবে। এটি ক্যারিয়ার গড়তে ভূমিকা রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি ক্যারিয়ার হিসেবে এমন কিছু বেছে নিতে চাই, যেটি আর দশটি চাকরির মতো নয়। আমি স্বাধীনভাবে নিজে কিছু করতে চাই। এজন্য এখন থেকেই আমার দক্ষতা বাড়াতে হবে। নিজেকে তৈরি করতে হবে। আর আধুনিক এই সময়ে কম্পিউটার ছাড়া অনেক কিছু চিন্তা করা যায় না, যেটি আমার এতদিন ছিল না। অবশ্য এখন হয়েছে, এই ল্যাপটপটি এখন আমার দক্ষতা বাড়াবে। আমি এর মাধ্যমে আমার স্কিল ডেভেলপ করব।
ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে চান ঢাকা কলেজে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত মাহবুব। আর এই তিনটি দক্ষতা বৃদ্ধিতে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কোনো বিকল্প নেই।
প্রিয় সিইও ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়ার স্বপ্ন আমার দীর্ঘদিনের। আশা করছি, দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে আমরা ল্যাপটপ পৌঁছে দিতে পারব। আমাদের আহ্বানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন, তাদের মধ্য থেকে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ল্যাপটপও দেওয়া শুরু করেছি। তবে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমরা চাইলেই একদিনে এত পরিমাণে ল্যাপটপ দিতে পারব না। এটা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান্নোয়ন ও শিক্ষাজীবনকে উন্নত করতে অলাভজনক সংস্থা ‘প্রিয় ফাউন্ডেশন’ গঠন করে প্রিয় লিমিটেড। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোসহ শুরু থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা সহায়তামূলক কাজ করছে প্রিয় ফাউন্ডেশন। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম, পরীক্ষা নেওয়া, প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে গিয়ে দেখা যায়, লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী এই কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছে না, যেটি করোনা মহামারীর সময়েও স্পষ্ট হয়েছে। শুধু ল্যাপটপ না থাকায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষা অর্জনের অভিজ্ঞতা থেকে দূরে ছিলেন এবং অনেকেই ঝরেও গেছেন। তাই যেসব শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের কাছে আবেদনের আহ্বান জানায় প্রিয় ফাউন্ডেশন এবং এর নাম দেওয়া হয় ‘প্রিয় ল্যাপটপ ব্যাংক’।
ল্যাপটপ ব্যাংকের ঘোষণা দিলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ল্যাপটপের জন্য আবেদন করেন। করোনার কারণে পুরোদমে কার্যক্রম চালাতে বাধাগ্রস্ত হলেও এখন আবার কাজ শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ল্যাপটপ উপহার পেলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুব। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হবে।