ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট-টু-ঢাকা রুটের এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চের স্টাফ কেবিনে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে লঞ্চ লস্কর মফিজ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে দুলারহাট থানা পুলিশ। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট লঞ্চ ঘাটে এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত মফিজ উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়ন চর-যমুনা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. বাদশা মিয়ার ছেলে এবং দুই ভিকটিম কিশোরী পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের বাসিন্দা। একজনের বয়স ১৪ বছর অপরজনের বয়স ১৮ বছর। ভিকটিম ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাতে একটি গার্মেন্টসে চাকরির জন্য ৩০ অক্টোবর ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চে উঠে ডেকে বিছানা করেন দুই কিশোরী।
সন্ধ্যার দিকে এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চের লস্কর মফিজ দুই কিশোরীকে ডেকের ও কেবিনের ভাড়া একই প্রস্তাব করে তাদের নিয়ে যায় ইঞ্চিন রুমের পাশে লঞ্চ ষ্টাফদের কেবিনে। রাত ১২টার দিকে সুযোগ বুঝে মফিজ ওই কেবিনে প্রবেশ করেন এবং ছুরি হাতে নিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এসব বিষয়ে কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই কিশোরীকে লঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন অভিযুক্ত মফিজ। ঘটনার দুই মাস পর ১৪ বছরের কিশোরী জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। পরে কিশোরী বিষয়টি তার বাবাকে জানালে তিনি বাদী হয়ে দুলার হাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। দুলারহাট থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, এ ঘটনায় ১৪ বছরের কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত মফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।