রাজধানীর উত্তরখানে একটি বাসায় গ্যাস-লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ এবং সৃষ্টি হওয়া আগুনে একই পরিবারের তিন নারী সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- ডালিয়া আক্তার (৩৫), তার মা আলেয়া বেগম (৫০) ও ভাতিজি আনজানা রহমান লাইজু আক্তার (২৯)। তবে, দগ্ধদের মধ্যে লাইজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার সকালে ডিএমপির উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা এবং তিন নারী দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্হানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে উত্তরখান থানার রাজাবাড়ি আটিপাড়া এলাকার ড্রিম প্যালেস নামে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের তিন জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। বর্তমানে দগ্ধদের মধ্যে দুই জন সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
অপরজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এদিকে, দগ্ধ ডালিয়ার স্বামী দবিরুল ইসলাম জানান, ছুটির দিন থাকায় তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে যান। তার শাশুড়ি আলেয়া ও ভাতিজি লাইজু তখন বাসায় ছিলেন। গতকাল রাতে তারা বাসায় ফেরেন। ফেরার পর তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও ভাতিজি রান্না ঘরে চা বানাতে যান। তখন দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিস্ফোরণ- হয় এবং পরবর্তীতে পুরো রান্নাঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা তিনজন দগ্ধ হন। চুলায় লিকেজ থাকায় গ্যাস পুরো রান্নাঘরে ছড়িয়ে ছিল বলে জানান দাবি করেন তিনি। দবিরুল আরও জানান, বিস্ফোরণে তাদের তিন জনের শরীরে আগুন ধরে যায়। এছাড়া রুমের দরজা, জানালারও গ্লাস ভেঙে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অন্য রুমে থাকায় দবিরুল ও তার মেয়ে দিনিয়ার শরীরে আগুন লাগেনি। তিনি জানান, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর উত্তরখানের রাজাবাড়ি আটিপাড়া ওই বাসাটি ভাড়া নেন তারা। দগ্ধদের পরিবারের লোকজন জানান, পরে দগ্ধ অবস্থায় রাত সাড়ে ১০ টার দিতে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাদের চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওসি আব্দুল মজিদ জানান, দগ্ধদের মধ্যে লাইজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডালিয়ার হাত ও শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আলেয়ারও শরীরের ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকী দুইনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে এবং আলেয়া চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।