মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলায় যোগদানের পর থেকে একের পর এক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন। নিজ দায়িত্বের বাইরেও উপজেলার পরিবেশকে সুন্দর রাখতে তাঁর সু-নজর ছিল সব সময়। উপজেলায় সরকারি সেবা নিতে আসা লোকজনের বসার কোন জায়গা ছিল না।
বসার কোন জায়গা না থাকায় সেবা গ্রহিতারা বিভিন্ন অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এ বিষয়টি লক্ষ্য করে ও উপজেলার সার্বিক পরিবেশ দৃষ্টিনন্দন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানার নিজ উদ্যোগে উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগে নির্মিত হয়েছে একটি গোলঘর। এছাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের দুটি ভবনের মাঝামাঝি অংশের ময়লা আবর্জনা সহ কচুরিপানা পরিষ্কার করে সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছেন। এ জায়গাটিতে এখন সরকারি কর্মকর্তাসহ সেবা গ্রহীতারা তাদের মোটরসাইকেল রাখতে পারছেন।
দৃষ্টিনন্দন গোলঘরটি নির্মাণ হওয়ার পর থেকে সরকারি সেবা নিতে আসা মানুষজন এখানে বসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে। গোলঘরটির পরিবেশ খুবই চমৎকার হওয়ায় বিকেলবেলা দর্শনার্থীরা এখানে বসে সময় কাটান। দর্শনার্থী ও সেবা গ্রহীতাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে বৈদ্যুতিক পাখা ও লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোলঘরের সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ বাড়িয়েছে চারপাশে লাগানো ফুলের টব। উপজেলা নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে আসা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ফুলতলার কোনাগাও গ্রামের জমিলা বেগম বলেন, উপজেলার এ বসার জায়গাটি সত্যিই দৃষ্টিনন্দন। এখানে বসতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২১/২০২২ অর্থবছরে উন্নয়ন তহবিল রাজস্ব প্রকল্পের আওতায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গোলঘরটি নির্মাণ কাজ করে মেসার্স মিথিলা এন্টারপ্রাইজ। আলাপকালে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা বলেন, আমি আমার সাবেক কর্মস্থল দোয়ারাবাজার উপজেলায় অনেক দৃষ্টিনন্দন কাজ করেছি। সৌন্দর্য আসলে মনের ব্যাপার। আমি যে কোন কর্মস্থলে সাধ্যমত সৌন্দর্য বর্ধনের চেষ্টা করি। জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সের সৌন্দর্যবর্ধন ও সরকারি সেবা গ্রহীতাদের একটু স্বস্তি দিতে এ গোলঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে।