যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল এবং ভবিষ্যতের আন্দোলনের ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকটি শেষ না করে মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১টায় নাগরিক ঐক্যের অফিসে আবার বৈঠকে বসবে দুই পক্ষ।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি হিসেবে বিএনপি ১০ দফা দিয়েছে। আর গণতন্ত্র মঞ্চ যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি হিসেবে ১৪ দফা ঘোষণা করেছে। তাদের ১০ দফা ও আমাদের ১৪ দফার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উভয় পক্ষের দফা থেকে যুগপৎ আন্দোলনের একটি ভিত্তি কীভাবে তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে। আজকের বৈঠক মুলতবি করা হয়েছে। কাল আবার বেলা ১টায় বৈঠক শুরু হবে।
বৈঠকের বিষয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, যুগপৎ আন্দোলের ভিত্তি হিসেবে একটা যৌথ ঘোষণার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। দ্রুত এটা চূড়ান্ত করে যুগপৎ আন্দোলন এগিয়ে নেওয়া হবে। ৩০ ডিসেম্বর যার যার অবস্থান থেকে কর্মসূচি পালিত হবে। পরবর্তী কর্মসূচি সেখান থেকে ঘোষণা করা হবে।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়োজোঁ কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আবুল হাসনাত কায়ুম ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
সরকারের পতন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, সব রাজবন্দির মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে যুগপৎভাবে নামছে সমমনা সব বিরোধী দল।