ঢাকা ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি

কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি ও তার পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয়ে এ হুমকির অভিযোগ করেছেন রিপন মিয়া নিজেই।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ফেসবুক পোস্টে রিপন মিয়া লেখেন, আমি রিপন মিয়া। আপনাদের ভালোবাসা ও সাপোর্টে আমি ২০১৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই স্থানে আসতে পেরেছি। এই সময়ে আমার দ্বারা কারও ক্ষতি করার কোনো রেকর্ড নেই। এমনকি যেকোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটর আমাকে ডাকলে আমি সব সময় সাড়া দিয়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়তে থাকে, তখন আমার পেজ হ্যাকের চেষ্টা থেকে শুরু করে টিভিতে ইন্টারভিউ না দিলে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। আজ সোমবার ঢাকা থেকে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তারা কারও অনুমতি না নিয়ে আমার পরিবারকে ভিডিও করতে থাকেন এবং দূরে ক্যামেরা রেখে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করেন। এমনকি পরিবারের মহিলা সদস্য ঘরে থাকা সত্ত্বেও তারা অনুমতি না নিয়ে ঘরে ঢুকে যান।

আমি সবসময় বলে এসেছি যে আমার শিক্ষা নেই, পড়াশোনা করতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবে আমার পরিবারের কোনো সদস্যই শিক্ষিত নন এবং কখনোই তারা মিডিয়ার মুখোমুখি হননি। আমি কোনো সময় আমার পরিবারকে ফেসবুকে দেখিয়ে টাকা আয় করতে চাইনি। টিভি চ্যানেলের নাম চাইলেই আমি প্রকাশ করতে পারতাম। তবে কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্য কখনোই আমার ছিল না। এই ঘৃণ্য কাজটি যারা করেছেন, তারা নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করুন। এভাবে টাকা আয় করে নিজের পরিবার ও সন্তানদের খাওয়াতে যদি আপনাদের বিবেক না জাগে, তাহলে আমারও আর কিছুই বলার নেই। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া রাখবেন।

এ বিষয়ে জানতে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত অবগত নই, আপনার মাধ্যমে প্রথম জানলাম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের রিপন মিয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ২০১৬ সালে ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে যাত্রা করেন রিপন মিয়া। ভিডিওতে তার ‘হাই আই এম রিপন ভিডিও’, ‘আই লাভ ইউ, এটাই বাস্তব’ সংলাপগুলো ভাইরাল হয়। অল্প সময়েই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয়। বর্তমানে তার ফেসবুক ফলোয়ার ১.৯ মিলিয়ন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি

আপডেট সময় ১০:১৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি ও তার পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয়ে এ হুমকির অভিযোগ করেছেন রিপন মিয়া নিজেই।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ফেসবুক পোস্টে রিপন মিয়া লেখেন, আমি রিপন মিয়া। আপনাদের ভালোবাসা ও সাপোর্টে আমি ২০১৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই স্থানে আসতে পেরেছি। এই সময়ে আমার দ্বারা কারও ক্ষতি করার কোনো রেকর্ড নেই। এমনকি যেকোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটর আমাকে ডাকলে আমি সব সময় সাড়া দিয়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়তে থাকে, তখন আমার পেজ হ্যাকের চেষ্টা থেকে শুরু করে টিভিতে ইন্টারভিউ না দিলে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। আজ সোমবার ঢাকা থেকে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তারা কারও অনুমতি না নিয়ে আমার পরিবারকে ভিডিও করতে থাকেন এবং দূরে ক্যামেরা রেখে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করেন। এমনকি পরিবারের মহিলা সদস্য ঘরে থাকা সত্ত্বেও তারা অনুমতি না নিয়ে ঘরে ঢুকে যান।

আমি সবসময় বলে এসেছি যে আমার শিক্ষা নেই, পড়াশোনা করতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবে আমার পরিবারের কোনো সদস্যই শিক্ষিত নন এবং কখনোই তারা মিডিয়ার মুখোমুখি হননি। আমি কোনো সময় আমার পরিবারকে ফেসবুকে দেখিয়ে টাকা আয় করতে চাইনি। টিভি চ্যানেলের নাম চাইলেই আমি প্রকাশ করতে পারতাম। তবে কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্য কখনোই আমার ছিল না। এই ঘৃণ্য কাজটি যারা করেছেন, তারা নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করুন। এভাবে টাকা আয় করে নিজের পরিবার ও সন্তানদের খাওয়াতে যদি আপনাদের বিবেক না জাগে, তাহলে আমারও আর কিছুই বলার নেই। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া রাখবেন।

এ বিষয়ে জানতে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত অবগত নই, আপনার মাধ্যমে প্রথম জানলাম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের রিপন মিয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রি। ২০১৬ সালে ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে যাত্রা করেন রিপন মিয়া। ভিডিওতে তার ‘হাই আই এম রিপন ভিডিও’, ‘আই লাভ ইউ, এটাই বাস্তব’ সংলাপগুলো ভাইরাল হয়। অল্প সময়েই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয়। বর্তমানে তার ফেসবুক ফলোয়ার ১.৯ মিলিয়ন।