পরকিয়ার জের ধরে প্রেমিক স্বপনকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকা রত্না খাতুনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার বিকালে পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সামান্য পাড়া গ্রামে। নিহত স্বপন প্রাং (৪২) পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের খয়েরসুতি গ্রামের মোঃ ইমান আলী প্রাং এর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, ৩ সন্তানের জনক স্বপন প্রাং এর সাথে ক্ষেতুপাড়ার সামান্য পাড়ার প্রবাসী মোঃ আরিফের স্ত্রী রতœা খাতুনের সাথে গত ৩-৪ বছর পুর্বে পরকীয়ার সর্ম্পক্য গড়ে ওঠে। নিহত স্বপন প্রাং মাঝে মধ্যেই রত্না খাতুনের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। গত শনিবার সকালে নিহত স্বপন প্রাং কাজের উদ্দ্যেশে তার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ২দিন খোঁজ না থাকায় গতকাল সোমবার বিকালে পরকিয়া প্রেমিকা রতœা খাতুন স্বপনের স্ত্রী মায়া খাতুনকে ফোন করে জানায়, স্বপনের অবস্থা খারাপ তাদেরকে ক্ষেতুপাড়ায় আসতে বলেন। এরপর তারা জানতে পারেন স্বপন মারা গেছে এবং তার মরদেহ সাঁথিয়া থানায় আছে।
সাঁথিয়া থানায় নিহত স্বপনের স্ত্রী ও আত্বিয় স্বজন গিয়ে লাশ সনান্ত করেন। নিহত স্বপনের শরীরে কয়েকটি যায়গায় কাটা দাগ সহ আঘাতের চিহৃ রয়েছে। নিহত স্বপনের পরিবারের অভিযোগ স্বপনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার এসআই আসাদ বলেন, তারা গতকাল সোমবার সন্ধায় খবর পেয়ে প্রেমিকা রতœা খাতুনের বাড়ির পিছন থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। নিহতের হাতে কয়েকটি স্থানে ক্ষতের চিহৃ রয়েছে। তবে তিনি এও জানান, গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর কারন জানতে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে বর্তমানে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের স্ত্রী মায়া খাতুনের অভিযোগ পুলিশ জোর করে একটি কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। পরে জানতে পারেন সেটা অপমৃত্যুর মামলার কাগজ। তবে তিনি তার স্বামীকে হত্যা করার জন্য রতœা খাতুনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান।
সংবাদ শিরোনাম ::
পরকিয়া প্রেমিকার ঘরের খাটের নিচে প্রেমিকের লাশ
-
আব্দুল্লাহ আল পাবনা জেলা প্রতিনিধি - আপডেট সময় ০৪:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
- ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ
























