গত ২ রা ডিসেম্বর ২০২২ ইং প্রায় ৪ বছর পর ছাত্রলীগের উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ সম্মেলন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষা , শান্তি ও প্রগতির মাধ্যমে সকল সংকট ও সংগ্ৰামে জনগণের পাশে থেকে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত আছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শ দেন।তিনি আরো বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সম্মেলনের পূর্বে ছাত্রলীগের উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা হতে পারে।উক্ত ঘোষণার পরপরই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা বিভিন্ন ভাবে তাদের অতীত ছাত্র রাজনীতির প্রচার ও প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে কয়েকজনের নাম আলোচনায় আছে। তাদের মধ্যে নুরুদ্দিন হাওলাদার, খন্দকার খালিদ, নিবাস মজুমদার ও সি,এম.পিয়াল হাসান সহ বেশ কয়েকজন আলোচনার শীর্ষে আছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক উপ ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক জনাব নুরুদ্দিন হাওলাদার এক সাক্ষাৎকারে তার পারিবারিক ও ছাত্ররাজনীতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।তিনি তেজগাঁও কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র নেতা ছিলেন।তিনি আরো বলেন, তার স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।তারা পারিবারিক সূত্রে আওয়ামী পরিবার এবং তাদের রক্ত ও আত্মার সাথে আওয়ামী লীগ শব্দটি জড়িত।তার নিজ উপজেলা ভোলার দৌলতখানে ২০০১ ইং বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তার আপন চাঁচা ও ভাগিনা গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাত বরণ করেন।তার পরিবারের সকল সদস্যরা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নুরুদ্দিন হাওলাদার একজন সৎ,আদর্শবান ও ক্লিন ইমেজের ছাত্রনেতা।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। করোনা মহামারীর সময়ে ও তিনি সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন ওলি গলিতে তার নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি করোনা কালীন কৃষকদের ধান কাটা ও কৃষকদের ফসলি জমিতে পোকামাকড় দমনে বিনামূল্যে অসহায় কৃষকদের মধ্যে সার ও কীটনাশক প্রদান করেন। তিনি আশাবাদী যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অবশ্যই সবকিছু জানেন এবং তিনি সৎ,যোগ্য , পরিশ্রমী ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবেন।তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের শেষ আশ্রয়স্থল জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রতি অবিচল থেকে তিনি তার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন।