ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মেসি ম্যাজিকে আবারও বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

‘ওলে ওলে আর্জেন্টিনা, ভামোস আর্জেন্টিনা’ গানে মুখরিত লুসাইল স্টেডিয়াম। কাতারের এই স্টেডিয়াম যেন আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স। ৮৮ হাজার দর্শকের মধ্যে ৬০ হাজারের বেশি ছিলেন মেসি ভক্তরাই। আর্জেন্টিনার জয় মানে উল্লাস। অন্য ম্যাচের তুলনায় আজ ছিল বেশি। ৩-০ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছে যে!

বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি তার সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপটা রাঙিয়ে তুললেন। নিজে এক গোল করেছেন, আরেক গোল করিয়েছেন, অবদান রেখেছেন আরও এক গোলেও৷ পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুটের যেমন দাবিদার তেমনি গোল্ডেন বলেও সমান দাবি রাখবেন এই আর্জেন্টাইন।

মেসির ঝলকের সাথে এই ম্যাচে আলো কেড়েছেন ইউলিয়ান অ্যালভারেজ। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন তিনি। কিক অফ জোন থেকে বল একাই টেনে নিয়ে গেছেন। দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে গোল করেছেন। অ্যালভারেজের এই গোল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোলকেও যেন স্মরণ করিয়ে দিলো একটু করে।

৩৯ মিনিটে অ্যালভারেজের করা গোলের আগে ম্যাচের লিড এনে দেন অধিনায়ক মেসি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এই মহাতারকা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড অ্যালভারেজকেকে ফাউল করেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ডিফেন্ডার পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্ক করায় তাকেও একটি কার্ড দেন। ক্রোয়েট গোলরক্ষক ব্রাজিলের বিপক্ষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে শট রুখে দিলেও আজকের ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন।

পেনাল্টিতে গোল খাওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাচের চিত্র ছিল ভিন্ন। ক্রোয়েশিয়া দারুণ ভাবে খেলায় ছিল। বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল। আর্জেন্টিনা কাউন্টার অ্যাটাকেই খেলার চেষ্টা করেছে। ত্রিশ মিনিটে বল পজেশন ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টির পরই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া; যারই ফল, পাঁচ মিনিট পর আরও এক গোল হজম!

ক্রোয়েশিয়ার তারকা ফুটবলার লুকা মদ্রিচকেও উঠিয়ে নেন কোচ দালিচ। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ছিল শুধু আর্জেন্টিনার জয়ের অপেক্ষা। শেষে আকাশি-সাদাদের বিপদসীমায় বহুবার আঘাত হেনেছে ক্রোয়াটরা। তবে লাভ হয়নি, চোয়ালবদ্ধ রক্ষণে সব সামলেছেন নিকলাস অটামেন্ডিরা। যাতে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই আর্জেন্টিনা চলে যায় বিশ্বকাপের ফাইনালে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

মেসি ম্যাজিকে আবারও বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

আপডেট সময় ০৩:১৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

‘ওলে ওলে আর্জেন্টিনা, ভামোস আর্জেন্টিনা’ গানে মুখরিত লুসাইল স্টেডিয়াম। কাতারের এই স্টেডিয়াম যেন আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স। ৮৮ হাজার দর্শকের মধ্যে ৬০ হাজারের বেশি ছিলেন মেসি ভক্তরাই। আর্জেন্টিনার জয় মানে উল্লাস। অন্য ম্যাচের তুলনায় আজ ছিল বেশি। ৩-০ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছে যে!

বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি তার সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপটা রাঙিয়ে তুললেন। নিজে এক গোল করেছেন, আরেক গোল করিয়েছেন, অবদান রেখেছেন আরও এক গোলেও৷ পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুটের যেমন দাবিদার তেমনি গোল্ডেন বলেও সমান দাবি রাখবেন এই আর্জেন্টাইন।

মেসির ঝলকের সাথে এই ম্যাচে আলো কেড়েছেন ইউলিয়ান অ্যালভারেজ। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন তিনি। কিক অফ জোন থেকে বল একাই টেনে নিয়ে গেছেন। দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে গোল করেছেন। অ্যালভারেজের এই গোল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোলকেও যেন স্মরণ করিয়ে দিলো একটু করে।

৩৯ মিনিটে অ্যালভারেজের করা গোলের আগে ম্যাচের লিড এনে দেন অধিনায়ক মেসি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এই মহাতারকা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড অ্যালভারেজকেকে ফাউল করেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ডিফেন্ডার পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্ক করায় তাকেও একটি কার্ড দেন। ক্রোয়েট গোলরক্ষক ব্রাজিলের বিপক্ষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে শট রুখে দিলেও আজকের ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন।

পেনাল্টিতে গোল খাওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাচের চিত্র ছিল ভিন্ন। ক্রোয়েশিয়া দারুণ ভাবে খেলায় ছিল। বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল। আর্জেন্টিনা কাউন্টার অ্যাটাকেই খেলার চেষ্টা করেছে। ত্রিশ মিনিটে বল পজেশন ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টির পরই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া; যারই ফল, পাঁচ মিনিট পর আরও এক গোল হজম!

ক্রোয়েশিয়ার তারকা ফুটবলার লুকা মদ্রিচকেও উঠিয়ে নেন কোচ দালিচ। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ছিল শুধু আর্জেন্টিনার জয়ের অপেক্ষা। শেষে আকাশি-সাদাদের বিপদসীমায় বহুবার আঘাত হেনেছে ক্রোয়াটরা। তবে লাভ হয়নি, চোয়ালবদ্ধ রক্ষণে সব সামলেছেন নিকলাস অটামেন্ডিরা। যাতে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই আর্জেন্টিনা চলে যায় বিশ্বকাপের ফাইনালে।