বিএনপিকে উদ্দেশ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে, আর আজকের আওয়ামী লীগ সরকার এদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে। আমরা উন্নয়নের শিখরে চলে গেছি এবং আমরাই এই উন্নয়নের ধারা সমুন্নত ও অব্যাহত রাখব, যেকোনো মূল্যে। গণতন্ত্রের নামে আপনারা এখন বিধ্বংসী আচরণ করছেন, সন্ত্রাসী আচরণ করে প্রমাণ করেছেন যে আপনারা কোনো রাজনৈতিক দলই না।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে দেশবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দেশব্যাপী যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার খর্ব করার জন্যই আপনাদের রাজনীতি। জনগণের অধিকার বিচার চাওয়া, আপনারা সেই বিচারের অধিকার জনগণকে দিতে চান না। জনগণের অধিকার গণতন্ত্র, আপনারা সেটা হনন করবেন মাগুরা টাইপ নির্বাচন করে অথবা মিলিটারি শাসন, কার্ফু-ইমারজেন্সি দিয়ে মানুষকে শাসন করবেন। আপনাদের প্রতিটি কাজই এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে। আমি নিজেইতো একজন ভুক্তভোগী। আপনারাইতো ইনডেমনিটি আইন করে আমার বাবা-মায়ের হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিলেন, জাতির পিতার পরিবারের হত্যার বিচারের পথ আপনারা রুদ্ধ করে রেখেছিলেন।
শেখ পরশ বলেন, শেখ হাসিনা এখন যেটা বলেন সেটাই হয়। শেখ হাসিনা বিদেশি প্রভুদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বলেছিলেন পদ্মা সেতু হবে, হয়েছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আপনাদের ওই মাথা দিয়ে জঙ্গিবাদ ছাড়া আর কিছু বের হবে না। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মাথা থেকে দেশের উন্নয়নমূলক রাজনীতি ছাড়া নেতিবাচক কিছু বের হবে না। আমরা যারা সত্যের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে অছি আমাদের শক্তি অনেক বেশি। আপনারা মানবিকভাবে দুর্বল। তাই আপনারা এখন চোরাপথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান। মানসিক শক্তি থাকলে অপেক্ষা করুন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে মাফ চান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরুসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।