ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পনার বাড়ির মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মসুরা বেগমকে তারই ছোট ভাই মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ আমানুল্লাহ ও শফিক পুস্কুনিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নিজের চাচীকে মেরে রক্তাক্ত করে অবশেষে ধাক্কা মেরে পুস্কুনিতে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি গত ২৫ শে নভেম্বর রোজ শুক্রবার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পনার বাড়িতেই সকাল দশটা এগারোটার মধ্যে ঘটেছে। অভিযোগকারী মোঃ আলী জানান যে আমাদের পৈত্রিক সূত্রে আমাদের বাড়িতে যে পুস্কুনিটি আছে, সেই পুস্কুনিটি জোর জবরদখল করে আমার ভাই বাতিজারা বিগত পাঁচ বছর ধরে খাচ্ছেন।
কিছুদিন পূর্বে আলোচনাক্রমে ওই পুস্কুনিতে আমি মাছ চাষের উদ্দেশ্যে মাছের পোনা ছাড়ি। আমরা পুস্কুনিতে গেলি যখন তখন আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা করে এবং গালিগালাজ করেন, ঘটনার দিনেও আমার পুকুরে ওরা জোর করে মাছ ধরে, এতে নিষেধ করাতে আমারই ভাতিজা মোঃ আমানুল্লা-২২, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়ে, ও মোঃ শরিফুল ওরা যেভাবে আমাকে এবং আমার স্ত্রী সন্তানকে গালমন্দ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করার উদ্দেশ্যে আসলে আমি মোঃ আমানুল্লাহকে ধমক দিয়ে একটা ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেই।
পরক্ষণে মোঃ শফিকুল ইসলাম-২৭, ও আমার ছেলে মোঃ মিরাজ২৫ কে,এলোপাথারি লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন, তখন আমার ছেলে মিরাজকে বাঁচাতে ওর মা এগিয়ে গেলে ওর মাকেও শফিক আমানুল্লাহ এলোপাথারি মারেন। আমানুল্লাহ আমার স্ত্রীকে মুখে ঘুসি দেন এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এতে করে আমার স্ত্রীর মুখের একটি দাঁত পড়ে যায়, পরে আমানুল্লাহি লাথি মেরে আমার স্ত্রীকে পানিতে ফেলে দিয়ে ওরা দুইজনে মিলে পানির ভিতরেও চুবিয়ে চুবিয়ে পিটান।
আমার স্ত্রীকে পানিতে ফেলে পিটিয়ে ক্ষান্ত হন নিয়ে ওরা দা লাঠি সোটা নিয়ে আমার ঘরটিকে পিটিয়ে কুপিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভেঙ্গে চুরে আমার ক্ষতিই করেননি মাওলানা মোঃ তরিকুল ইসলাম-৪০ নিজে আমার ঘরের জালানা ভেঙ্গে সবাই মিলে আমাদেরকে পিটিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে আমার দরজা জানালা ভেঙ্গে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমার ঘরে সুকেছে গচ্ছিত এক লক্ষ সত্তুর হাজার টাকার গরু বিক্রি করে ছেলের বিদেশে যাওয়ার জন্য রেখেছি তা নগদ ক্যাশ নিয়ে যান এবং আমার স্ত্রীর গলায় একটি চেন ছিল তা ছিড়ে নিয়ে যান বলে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী মুসুরা বেগমের অভিযোগ।
এই ঘটনা নিয়ে এলাকার একজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম না বলার শর্তে বলেন এই ঘটনাটা মোহাম্মদ আলী মিয়ার পরিবারের উপর জুলুম করাই হয়েছে। তার ছেলে মোঃ মিরাজ ও তার স্ত্রী মসুরা বেগমকে যেইভাবে ওরা সবাই মিলে মধ্যযুগীয় কায়দায় মেরেছে তাহা খুবই অমানবিক কাজ হয়েছে।
এই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদক মাওলানা মোঃ তরিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে প্রশ্ন রাখেন ঘটনা সম্পর্কে এবং টাকা নেওয়ার সম্পর্কে, তখন তিনি বলেন টাকা নেওয়ার অভিযোগটি সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রতিবেদককে জানান।
এবং উনি এটিও বলেন যে আমি মাওলানা হয়ে এই ধরনের একটি অপরাধ করতে পারি না। উক্ত মারামারি বিষয় নিয়ে প্রতিবেদক অত্র এলাকার অনেক লোকের সাথে আলাপ করে এটাই জানা গেছে যে এটি একটি পারিবারিক ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, অত্র এই পরিবারের মধ্যে ইসলামের শিক্ষায় সুশিক্ষিত অনেক মাওলানা ও আছেন, তাহার পরেও এই দুর্ঘটনা ঘটেছে! যাহাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হন সেজন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদেরকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদকের কাছে অত্র বাড়ির আশেপাশের শান্তিপ্রিয় জনতা অনুরোধ জানিয়েছেন।