রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে শতভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, ‘রংপুর সিটির নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু করতে চায় নির্বাচন কমিশন। আমরা এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। নির্বাচন সফল করতে যা যা করা দরকার সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন হলরুমে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে এসেছেন তিনি। রাশিদা সুলতানা বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য নষ্ট ইভিএম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, নতুন ইভিএম আনা হচ্ছে। ইভিএম নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সারাদেশে রংপুরের সুনাম রয়েছে। সেই সুনাম অক্ষুণ্ন থাকবে আমরা তেমনই প্রত্যাশা করছি।
এজন্য রংপুর সিটি করপোরেশনে অংশ নেওয়া সকল প্রার্থী ও নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। ২৭ ডিসেম্বরের রংপুর সিটির নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর। এছাড়া ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ৮ ডিসেম্বর প্রত্যাহার এবং ৯ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন। নির্বাচনে ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন ভোট দেবেন। ২০১২ সালের ২৮ জুন পৌরসভা থেকে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন হয়। এরপর ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু প্রথম নগরপিতা নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর সর্বশেষ রংপুর সিটিতে ভোট হয়।
এতে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সিটির প্রথম সভা হয়। প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। সে অনুযায়ী গত ১৯ অগাস্ট থেকে রংপুর সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আর ভোটার রয়েছে প্রায় চার লাখের বেশি। ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন।