রবিবার ২৭ নভেম্বর ২০২২খ্রি, রোজ রবিবার সড়েজমিনে গিয়ে দেখা যায় শাজাহানপুর উপজেলায় খরনা বাজার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উত্তরে পশ্চিমে পারতেখুর গ্রামের প্রবেশ মুখে ফসলি জমির ক্ষেতের বুক চিরে ১৪ বিঘা তিন ফসলি জমিতে প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে বীরদর্পে পুকুর খনন চলছে। বীরদর্পে আইনের তোয়াক্কা না করে পুকুর খনন করছেন খরনা ধাওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া। প্রতিটি সময় রাত ১০ টা থেকে মাটিকাটা শুরু হয় আর শেষ করেন প্রায় সকাল ৮ টায়। একটানা প্রায় ১০ ঘন্টা চলছে এই অবৈধ মাটিকাটার কাজ।
কারণ মাটি ব্যবসায়ী লাল মিয়া নিশ্চিত করে জানেন যে নতুন ইউএনও অভিযানে এই সময়টাতে বের হবেন না। তবে আমরা শাজাহাপুরের সাংবাদিক সমাজ অত্যন্ত আশাবাদী ইউএনও অভিযান পরিচালনা অতি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করবেন । বেপরোয়া মাটির বহনের ট্রাকের শব্দে স্থানীয়দের ঘুম হারাম হয়েছে। তিনি এত বেপরোয়া তার সামনে কথা বলার মত কেউ নেই। পাশাপাশি সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তার কাপেটিং ওঠে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে শাজাপুর দর্জি পাড়ায় মাটি কেটে বিশাল খাদের সৃষ্টি করেছে। খাদের পাশেই বাড়ি গুলো হুমকির মুখে। বর্ষাকাল আসলেই খাদের পাড় ভেঙ্গে বাড়িগুলো ঐসৃষ্ট খাদে পতিত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। ভয়ে বাড়ির মালিক মুখ খুলল না।
অন্য দিকে শাজাপুর চকজোড়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ভদ্রাবতি নদীর পাড় কেটে নিয়ে ভূমিদস্যূরা। সেখানে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত লোকেরা কার নাম বলেনা। দিনদুপুরে প্রায় ৬ টি ট্রাকে একটি প্যাঁকো মেশিন দ্বারা দেদারছে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই। শাজাহানপুর উপজেলা নতুন আগত ইউএনও সাইদা খানমের সংগে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অভিযোগ পেলে তিনি তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তার খুটির জোর কোথায় মাননীয় বগুড়া জেলা প্রশাসক জনাব সাইফুল ইসলাম মহোদয় বিষয়টা দেখবেন বলে আশা করছেন অভিজ্ঞ মহল।